পাতা:প্রবাসী আশ্বিন ১৩৪৪ সংখ্যা ৬.pdf/১২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৭৭২ 있 এই দুঃসংবাদে আর পাচ জনে যেমন করিয়া থাকে হনয়নী কিন্তু তেমন করিলেন না। দূর-সম্পর্কের খুড়তুতো বোন ; ছেলেবেলাকার স্মৃতির সমুদ্র হাতড়াইলেও তেমন কিছু মণি বা শুক্তি হাতের মুঠায় উঠে না। রমলার ডেপুটি ম্যাজিষ্ট্রেট পিতা এ-জেল ও-জেলা করিয়া ঘুরিতেন ও ছুটির অবসরে নষ্ট-শ্ৰী পল্লীগ্রামে আসার চেয়ে কোন সৌন্দর্ঘ্য ও স্বাস্থ্যভর নগরীর অঙ্কে আশ্রয় লইতেই ভালবাসিতেন। আপন ভাইয়ের সঙ্গেই লোকে সম্পর্ক বজায় বিয়া চলিতে পারে না, এ ত দূর-সম্পর্কের খুড়তুতে ভাই ! তথাপি গ্রামের পাঁচ জনের কাছে স্বনয়নীর পিত ডেপুটি-ভাইয়ের গল্প করিতে ভালবাসিতেন এবং পিতৃস্থত্রেপ্রাপ্ত ঐ গল্পের বর্ণসমাবেশে স্বনয়নীরও দক্ষতা কিছু দেখা गियोंश्लि। ७ढ़वांद्र माल ब्रभज्ञाब्र विवारश् কুটুম্বিভাংণে তাহার এক হইবার সুযোগ পাইয়াছিলেন এবং বুদ্ধিমতী স্বনয়নী সেই হযোগ ব্যর্থ হইতে দেন নাই। রমলার শ্যামবাজারের ঠিকানাট। তিনি সযত্নে সংগ্ৰহ করিয়াছিলেন এবং পরে গোপনে আপন দুঃখময় জীবনের কাহিনী ব্যক্ত করিয়া রমলার কৃপাদৃষ্টি আকর্ষণ করিতে পারিয়াছিলেন। মাস মাস মেয়ের শিক্ষাব্যয়নিৰ্ব্বাহীর্থ যেপাচটি টাকা আসিতেছে তাহা ক্ষীণপ্রায় সম্বন্ধস্থত্রকে দৃঢ় করিয়াছিল, মুনয়নীও পাড়ার পাচ জনের কাছে গল্প করিবার এত বড় একটা সৌভাগ্য লাভ করিয়া ধন্য इद्देब्राझिालन । অতর্কিত দুঃসংবাদে কাদিবেন কি কাদিবেন না, হুনয়নী প্রথমটা ঠিক করিতে পারিলেন না। রমলার বিয়োগে তিনি দুঃখের অ্যাচ যেটুকু পাইলেন, তাহ এই পাঁচটি টাকার মারফৎ বলিয়াই মনে হইল। প্রতিমাসে পাচটি মুদ্ৰাই আসিত, রমলা দেবী কখনও ভগিনীকে লিপিমারফৎ প্রণাম পাঠান নাই বা কুশল জিজ্ঞাসা করেন নাই । ধাতুমূৰ্ত্তির মধ্যে যদি স্নেহ থাকা সম্ভব হয়, তবে সমল দেবী নিশ্চয়ই স্নেহময়ী ছিলেন, দয়ার প্রশ্ন উঠলে তিনি দাবতী। তার ধন-সমৃদ্ধির সঙ্গে স্নেহ-মমতার মশলা মিশাইয় যেসকল গল্প স্থনয়নী তাহার প্রতিবেশীদের *" উপহার দিয়াছেন, তাহতে এই দুঃসংবাদে না প্রবণসী ১৩৪৪ কাদিলে সম্পর্কের অসার দিকটাই প্রকাশ হইয়া জ্ঞা আবার সাংসারিক কাজ না সারিয়া কাদিবার সমন্ত্ৰ স্থা কোথায় ? নিষ্ঠুর সময় রূঢ় মুহূর্বের সঙ্কেতে আছি তাড়নারত মাহুষগুলিকে স্বাভাবিক হৃদয়বৃত্তি বঞ্চিত করিয়া ঘড়ির মধ্যে টিক্ টক্‌ শব্দ दक्लिारें চলিয়াছে। वानप्न जङ शङ 5ाजाश्रङ क्लाजाश्प्ड डिनि श्रि বলিলেন, ‘চিঠিখান তুলে রাখ, দেখ, গে উন্থনে আঁচ উদল কি না। আর দেখ, এখুনি যেন ছাদে উঠে এ-কথা কাউন জানাস নে, যা বলবার আমি বলব।' সুতরাং আঞ্জি যাইবার পূৰ্ব্বে একমাত্র স্বামী ছাড়া এ-কথা আর মে জানিল না। {{. ס\ সারা দুপুর ও বৈকাল ভগিনীর মৃত্যুসংবাদ গ্রম করিয়া স্বনয়নী দেবী ক্লাস্ত হইয়া পড়িলেন। কাপড়-কাচা ও গা-ধোওয়া শেষ করিয়া তিনি ধরে আসিয়া শুইলেন। কিন্তু শুইবামাত্রই মনে হইল । করিয়া শুইবার অবসরই বা তার কোথায় ? এই শ্রাৰে। দিন, অন্তত দিন-দুই পুৰ্ব্বে সেখানে পৌঁছান मत्वकोश । কাজের বাড়ীতে শুধু খাইতে যাওয়াটা বড়ই বিত্র দেখাইৰে। পাচ জনের সঙ্গে আলাপ-পরিচয়, তাদের মুখ-দুন সমবেদন প্রকাশ, কাজের বাড়ীতে श्रॅ-4क्शन शश কাজে হাত দেওয়া ইত্যাদিতে কিছু সময়ও ত যাইরে। তার পর ভগিনীপতিকে বলিয়া স্বধার বিবাহের মানৱ কিছু সংগ্রহ করা—সেও মায়ের পক্ষে অবখ্যকৰ্ত্তব্য । শুইবামাত্রই তিনি উঠিয়া বসিলেন এবং ডাকিলেন, ‘মধা, সুধা, একবার এ-ঘরে আয় ত, মা ? - স্বধা আসিলে বলিলেন, ‘পরশু ধোপাবাড়ী থেকে ৰে কাপড়গুলো এসেছিল, মিল ক’রে রেখেছিলি ত ? স্বধা ঘাড় নাড়িয়া বলিল, “সব মিলে গেছে, sেs, তোমার লালপাড় সিস্কের শাড়ীখানা দেয় নি।’ সুনয়নী দেবী প্রচণ্ড বিস্ময়ে দাড়াইবার চেষ্টা করিলেন এবং চোখে মুখে আতঙ্ক ফুটাইয়া ভগ্নকণ্ঠে কহিলেন, ‘সেইখানাই দেয় নি ? এখন উপায় ?”