পাতা:প্রবাসী আশ্বিন ১৩৪৪ সংখ্যা ৬.pdf/১২৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নিষিদ্ধ দেশে সওয়া বৎসর রাহুল সাংকৃত্যায়ন ।

  • > * উর্গেন কুশে ঘোড়ার ব্যবস্থা করিয়াছিলেন। ১১ই এপ্রিল আচাৰ্য শাস্তরক্ষিতের কীৰ্ত্তি সম্-য়ে বিহারের উদ্দেশে প্রণাম করিয়া আমরা বিদায় লইলাম। চার-পাচ মাইল ঘাইবার পর হং-গো-চং-গং গ্রামের একটি লোকের সঙ্গে দেখা হইল, সে আমাদের ফিরিয়া যাইবার জন্য অনুরোধ করিয়া বলিল যে, পথ-খরচের টাকা সে দিবে। কিন্তু আমাদের পক্ষে ফিরিয়া যাওয়া সম্ভব ছিল না। এখানে পথ চড়াইয়ের এবং রাস্ত ভাল। দুই-তিন ঘণ্টা চলিবার পর নির্জন স্থানে একটি এক-কক্ষযুক্ত গৃহ পাইলাম। এই গৃহে সুম-য়ে বিহার-নিৰ্ম্মাতা সম্রাট ঠি-স্ৰোং-লদে-বচন জন্মগ্রহণ করিয়াছিলেন । আরও চন্ত্রিীর পর একটি ধ্বংসোন্মুখ গ্রাম এবং তাহার পর হংঙ্গা-চং-গং গ্রাম পাইলাম । শেষোক্ত গ্রামে রাত্রি যাপন করা হইল। কয়দিন স্নান হয় নাই, পরদিন প্রাতে গ্রামের সেচ-নালায় স্নান করিয়া গ্রামকৰ্ত্তার সৌজন্যে প্রাপ্ত দুইটি ঘোড়ায় চড়িয়া আমরা রওয়ানা হইলাম। পথে চড়াই কম এবং পনর হাজার ফুট উচ্চতার হিসাবে ঠাণ্ডাও কম। কিছু দূর যাইবার পর রাস্তার ডাহিনে একটি মঠের ধবংসাবশেষ দেখিলাম, শুনিলাম, ইহা তিব্বত-বিজেতা গুশি থানের মঙ্গোল-সেনার কার্য্য। _" ৭টায় আমরা লাসার নদী উই-ছু তটে দে-ছেন-জোঙ

নামে উপস্থিত হইলাম। এই গ্রাম চীন ও মঙ্গোলিয়ার সহিত তিব্বতের ব্যাপারিক মার্গে স্থিত। এখান হইতে গং-দন মঠ এক দিনের পথ। প্রসিদ্ধ সপ্তরিক চোং-খ-প পঞ্চদশ শতাব্দীর প্রারম্ভে এই মঠকে নিজ পীঠস্থান করেন এবং এখানেই ১৪১৯ খ্ৰীষ্টাব্দে তাহার দেহান্ত হয়। তিব্বতের সংস্কারপন্থী পীতটুপিধারী সম্প্রদায় (টশীলামা ও দলাইলাম। এই সম্প্রদায়ভুক্ত ) এই মঠের নামে গং-দন-পা বলিয়া খ্যাত । গং-দন মঠ দর্শন আমাদের বাকী মধ্যে ছিল, স্থতরাং ১৩ই এপ্রিল ধৰ্ম্মকীৰ্ত্তি | 3 ج ـجع اه يخ \

  • — _-- -

–––. পদব্রজে এবং আমি ঘোড়ায় চড়িয়া সেইদিকে রওয়ান হইলাম। আমার সঙ্গের পুস্তকাদি বস্তাবন্দী করিয়া সীলমোহর লাগাইয়া রাখিয়া গেলাম। গং-দন মঠ পাহাড়ের শিখরে অবস্থিত, কাছে ঝরণা বা নদী নাই, স্বতরাং জলের কষ্ট খুবই, পথেও যথেষ্ট চড়াই। চারি দিকে নগ্ন পাহাড়ের সারি। মঠে পৌছিয়া প্রথমেই যে মন্দিরের ভিতর এক স্তুপে চোং-খপার দেহাবশেষ রক্ষিত আছে তাহা দৰ্শন করিতে চলিলাম। স্তুপের উপর মঙ্গোল-সর্দার প্রদত্ত শামিয়ানা বিস্তারিত। সঙ্গী বলিলেন, এখানে জে-রিন পোছের শির আছে। পরে যে কক্ষে মহান সংস্কারক থাকিতেন সেখানে তাহার কাষ্ঠাসন ও যে-সিন্দুকে তাহার স্বহস্তলিখিত গ্রন্থরাজি আছে তাহাও দেখিলাম। এ মন্দিরেও স্বর্ণরৌপ্যের ছড়াছড়ি। পরে নীচে ১০৮ স্তম্ভে সজ্জিত এক বিরাট উপসোথাগার দেখিলাম, সেখানে চোং-খ-পার সিংহাসন রহিয়াছে। অন্য আর এক স্থলে দেখিলাম এক সিংহাসনের উপর বর্তমান দলাইলামার পুরুষপ্রমাণ মুক্তি আসীন। আজকাল এই মঠে তিন হাজার ভিক্ষু থাকে। যে মঙ্গোল ভিক্ষু আমাদের স্থান দিয়াছেন, শুনিলাম, তিনি গুশি থানের বংশজ। চঙ্গেজ খানের বংশোদ্ভব বলিয়া তাহার সমাদরও অধিক । - ১৪ই এপ্রিল গংদন হইতে দে-ছেন-জোঙে ফিরিলাম। পথে ধৰ্ম্মকীৰ্ত্তির পরিচিত এক মঙ্গোল ও তাহার সঙ্গিনী এক থম-দেশবাসিনীর সঙ্গে দেখা হওয়ায় আমরা স্থির করিলাম এখীন হইতে লাস ক ( চামড়ার নৌকা)-যোগ ইব । অতিপ্রত্যুষে যাত্রা করিব বলিয়া রাত্রিটা নৌকার মাঝির কুটীরেই কাটাইলাম। এদেশে যত কুটার দেখিয়াছি তাহার भtथा इंश३ ८वीप इव नक्षीरअझ और्न ७ नॉबिय/* विड ইহাতেও তিন-চারিখানি চিত্ৰপট ও দুই-তিনটি স্বন্দর মুক্তি আছে এবং মূৰ্ত্তিগুলি আমাদের দেশের অনেক বড় মন্দিরের