পাতা:প্রবাসী আশ্বিন ১৩৪৪ সংখ্যা ৬.pdf/১২৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

. ". | o অণশ্বিন নিষিদ্ধ দেশে সওয়ণ বৎসর Ե-ԳՓ ২৫শে এপ্রিল রওয়ানা হইলাম । খচ্চর নিজের এবং সেগুলি বলিষ্ঠ, হুতরাং চার-পাচ দিনে গ্যাঞ্চী পৌছানো সম্ভব মনে হইল। এ-অঞ্চলে লাল উলের গুচ্ছে শোভিত স্বাক দ্বারা চাষ চলিতেছিল । দ্বিগ্রহরে ছু-শরে উপস্থিত ইয়া দেখিলাম, ক্ষেতে বীজ অঙ্কুরিত হইয়াছে। এখানে গাছের পাতাও খুব বড় হইয়াছে দেখিলাম। এখন আমার আরভিখারী-বেশ নাই, পরণে পোস্তিনের চোগ, মাথায় ফেণ্ট হাট। ছু-শরের শ্রেষ্ঠ বাড়ীর সৰ্ব্বোত্তম কক্ষে উঠিলাম, ঘরের অধিকারী মহা যত্নে সেবা করিতে লাগিল। গৃহস্বামিনী এক অৰ্দ্ধ-চীনার স্ত্রী। বহুদিন পতির কোনও সংবাদ সে পায় নাই, সুতরাং যখন শুনিল আমরা কালিম্পং বাইব তখন অশ্রুসিক্ত মুখে আমাদের বলিল যে, সে শুনিয়াছে, তাহার স্বামী সেখানে আছে এবং আমরা সেখানে কোনও খবর পাইলে যেন তাহাকে জানাই । পরদিন প্রাতে যাত্রা করিয়া নিকটস্থ ব্রহ্মপুত্রের খেয়াঘাটে পৌছিলাম। এখানে স্রোতের বেগও অধিক নহে, নদীর বিস্তারও কম। নৌকায় উঠিতে উঠিতে আরও তিনটি সওয়ার আসিয়া জুটিল এবং পার হইয়া আমরা পাঁচজনে একত্রে চলিলাম। সঙ্গীদের ভাড়াতাড়ি থাকায় ক্ৰত চলিতে চলিতে থম-বে-লা চড়াই পার হইলে পরে দেখিলাম এক দিকে ব্রহ্মপুত্রের ক্ষীণ ধারা দেখা যাইতেছে এবং অন্য দিকে ন-গ-চের বিশাল ঝিল । উৎরাইয়ের সময় খচ্চর ছাড়িয়া পদব্রজে চলিয়া হম্‌-লুঙ গ্রামে উপস্থিত হইলাম। সঙ্গীরা সওদাগর, এ-পথে তাহদের সবই পরিচিত, সুতরাং রাত্রিযাপনের ব্যবস্থা সহজেই হইল। Lপরদিন ঝিলের পাশ দিয়া পথ চলিতে তীব্র শীত-বাতাসে वभ्रै कटे इईल ।। २७ शजाब फू डफ़ ७ई बिलब কিনারায় ও জলনালীতে বরফের চাপ বাধিয়া আছে। পথ চলা দুরূহ দেখিয়া আমরা পথের ধারে এক গ্রামে আশ্রয় লইয়া অtহারাদির পর কয়েক ঘণ্টা বিশ্রাম করিলাম। কিন্তু হাওয়া সমান তীব্র। আজ কোন উচু “ল।” চড়াই নাই জানায় আমি মুখে হাতে ভেসেলিনের প্রলেপ দিই নাই, ফলে শরীরের সকল উন্মুক্ত স্থানের চামড়া শীতে জমিদা কালো হইয়া গেল। ধৰ্ম্মকীৰ্ত্তির সেরূপ কিছু হয় ন। যtহ হউক, কোন গতিকে বেলা সাড়ে তিনটায় __ - كـا আমরা ন-গা-চে গ্রামে পৌছিলাম। এখানকার ভেড়ার পশম অতি মোলায়েম হয় শুনিয়া আমি একই কালো রঙের চুকটু কিনিলাম। শীতের আধিক্যে এখানে চাষ আরম্ভই হয় নাই। o, ২৮শে অতি প্রত্যুষের অন্ধকারে আমরা যাত্রারম্ভ করিলাম। চারি দিক তুষারাচ্ছন্ন, আমার সঙ্গিগণও শীতে আড়ষ্ট। দ্রুত চলিয়া সেদিন রাত্রে লোণ্ড-মর গ্রামের প্রধান ব্যক্তির গৃহে আশ্রয় লুইলাম। পরদিনও প্রাতে শীতের মধ্যে রওয়ান হইলাম। তখন ২৯শে এপ্রিল, কিন্তু এ-অঞ্চলের প্রখর শীতে গাছের পাতা জন্মায় নাই এবং সকালে সব জল-প্রণালী জমিয়া বরফ হইয়া আছে। লাল হইতে যাত্রা করার সাড়ে পাচ দিন পরে সেদিন দ্বিগ্রহরে গান্ধীতে পৌছিলাম। এখানে ছু-শিঙ-শী কুঠির ব্রাঞ্চ দোকান গ্যা-লিঙ-ছোম্পাতে উঠিলাম এবং দুই রাত্রি সেখানেই বিশ্রাম করা গেল । ন্যান্ধীতে ইংরেজ-সরকারের ট্রেভ-এজেন্সীর গৃহকে এখানে কেল্লা বলে। বিরাট পুরু দেওয়াল, শতাধিক সৈন্ত, উপরন্তু ইংরেজ-দূতাবাসের জমিতে চাষ করার জন্ত বই ওৰ আছে যাহার পূৰ্ব্বে সৈনিক ছিল। তিব্বতের সহিত সন্ধির সপ্তানুসারে এদেশে ব্রিটিশ পোলিটিক্যাল এজেন্ট থাকিতে পারে না। সেই জন্য এই ট্রেড-এজেন্ট, তাহার সহকারী এজেণ্ট এবং এক জন ইংরেজ ডাক্তার এখানে আছেন। আশ্চর্য্যের বিষয় এই যে, এদেশে কি ভারতীয়, ন্ধি ব্রিটিশ কাহারও বাণিজ্যের অধিকার নাই। একজন মাড়ৱারী সজ্জন—সৈন্যদের রসদাদির ঠিকা লণ্ডয়ায় এখানে থাকেন, তিনিই একমাত্র ভারতীয় “ট্রেড”কারী। এখানকার খরচ কি ভারতবর্ষ দেয় ? ব্রিটিশ ডাক- ও তার- ঘর কেল্লার ভিতর। ডাক এক দিন অন্তর আসিয়া থাকে। ১লা মে আমরা দুইজন টণী-লুনপো রওয়ানা হটলাম । আকাশ মেঘাচ্ছন্ন, পথ কুয়াসায় ঢাকা এবং সুধামপাত হইতেছিল। রাস্তা ত বিশেষ কিছু ছিল না-হতরাং ক্ষেতের भभा निद्रा १५ श्रृंविग्ना इजिप्डझिलाभं । निगडम इईवॉब বেশী ভয় ছিল না, কেন-ন, দক্ষিণে নদী ও বামে পর্বতমালা পথরোধ করিয়াছিল। কিছুক্ষণ পরে এক গ্রামে পৌছিলাম। এখন আমি কু-খে। (সয়ান্ত ব্যক্তি ), ভিখারী নহি,