পাতা:প্রবাসী আশ্বিন ১৩৪৪ সংখ্যা ৬.pdf/১২৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নিষিদ্ধ দেশে সওয়া বৎসর Ե-ԳՊ এক থম-জন ( বিদ্যালয় ) জরিমানায় দণ্ডিত হইয়াছে। অধিকারিগণ বিদ্যালয়ের সম্পত্তি বিক্রয় করিয়া সে-টাকা লিতেছেন। আমি স্থবিধা দরে ২১টি অতি মূল্যবান চিণ্টে এই হযোগে ক্রয় করিলাম। টাকা থাকিলে আরও ক্র করিতে পারিতাম। ১৬ই মে এক স্থানীয় লামা একটি ভালপত্রের পুথি বিক্রয়ার্থে পাঠাইলেন । পুথির “কুটিল” অক্ষর দৃষ্টি বুঝিলাম ইহ খ্ৰীষ্টীয় দশম-একাদশ শতকের মহামূল্য গ্রন্থ। লামা ইহা অামাকে দান করিলেন। আমি পূর্বেই লদার্থে সন্ধান পাইয়াছিলাম যে টশী-লুনপোর নিকটস্থ এক বিহারে ও স-ক্য বিহারে বহু তালপত্রের পুথি আছে। এবার তাহার চক্ষুষ প্রমাণও পাইলাম কিন্তু দুঃখের বিষয়, এ-বিষয়ে অধিক অনুসন্ধান এ-যাত্রায় সম্ভব ইল না। ১৫ই মে আমার পুস্তক ( স্তন-গুর ) ছাপিয়া দাগিল। সেগুলি ও অন্যান্য পুস্তকাদি উত্তমরূপে বাধিয়া প্যাক করাইয়া গাধার পিঠে চপাইয ফ-রী জোঙ রওয়ানা করাইয়৷ দিলাম। এখান হইতে ফ-রী যাইবার সোজা পথ আছে । 를 * ২১শে মে আমি ও ধৰ্ম্মকীৰ্ত্তি যাত্র শুরু করিলাম । আমাদের পথের দুই-আড়াই মাইল অন্তরে প্রাচীন ভারতের নকলে নিৰ্ম্মিত শা-লু বিহার আছে। আমরা দেখানে যাইয়৷ বহু প্রাচীন পুথি এবং অসংখ্য চন্দনকাষ্ঠের এবং পিত্তলের মূৰ্ত্তি দেখিলাম, সেগুলি পূৰ্ব্বকালে ভারত হইতে গিয়াছে। একটি মূৰ্ত্তি ব্ৰহ্মদেশের ধরণে চীবরপরিহিত। বিহার-দর্শনের পর যাত্রা করিয়া সেই রাত্রে এক _গ্রামে থাকিয়া ২২ মে সকাল ১১টায় গ্যাঞ্চী-পৌছিলাম। এক সপ্তাহের স্থলে বাইশ দিন শী-ণচীতে থাকায় ভারতপ্রত্যাবর্তনে দেরি হইল। আমার কোনও খবর না পাওয়ায় সিংহল হইতে ভদন্ত আনন্দ চিঠিপত্রে খোজ আরম্ভ করিয়া ছিলেন। এবার সিংহলে ফিরিয়া আমাকে ভিক্ষুব্রত লইতে হইবে । এইরূপ ভিক্ষু-দীক্ষা দেওয়া সংঘের নিয়মানুসারে দুই-একবার মাত্র হয়। সে সময়েরও দেরি নাই, সুতরাং আমাকে দ্রুত ফিরিতে হইবে । একটি খচ্চর পীড়িত হওয়ায় আরও একদিন দেরি হইল । ২৩শে মে দ্বিপ্রহরে প্রত্যাবৰ্ত্তনের যাত্রা আরম্ভ হইল। গ্যাঞ্চী হইতে ভারতের পথ ইংরেজ-সরকারের দেখাশুনার ফলে ভাল মেরামত থাকে। পথে পুল ও ডাকবাংলা আদি আছে, টেলিফোনের ব্যবস্থাও আছে। পথের গ্রামগুলি অত্যন্ত দরিদ্র। ২৪শে মে নদীর পাশে পাশে চড়াইয়ের পথে চলিলাম, পাহাড় বৃক্ষগুল্মশূন্ত। পাহাড়ের স্তর দেখিতে আশ্চর্ষ্যপ্রায় মনে হয়। নিশ্চয়ই ইহার মধ্যে মূল্যবান খনিজ আছে। এই সব দেখিতে দেখিতে ও ধৰ্ম্মকীৰ্ত্তির সহিত বাক্যালাপ-ধৰ্ম্মালাপ করিতে করিতে ৩.৩১ মাইল পথ চলিয়া সম্-দ্য গ্রামে পৌছিলাম। এগ্রামটি অপেক্ষাকৃত অবস্থাপন্ন। ইহার পর পথে গ্রাম বসতি আতি অল্পই দেখিলাম। অধিকাংশ গ্রামই পতনেমুখ, ক্ষেতগুলিও পরিত্যক্ত। যত উপরে যাইতেছিলাম ক্ষত ক্রমেই বৃদ্ধি পাইতেছিল। পথে একটি প্রাকৃতিক সরোবর দেখা দিল। গ্যান্ধী হইতে ৬৪ মাইল এইরূপে চলিবার পর হিমালয়ের হিমাচ্ছাদিত ধবল শিখর দর্শনে বুঝিলাম ভারতমাতার নিকটেই আসিয়াছি । সম্মুখের এক বিশাল সরোবর নয়ন তৃপ্ত করিতেছিল, যদিও বৃক্ষপত্রে খামলিমার কোনও চিহ্ন ছিল না। " মাইল অঙ্কিত প্রস্তরের কাছে দোজিঙ গ্রাম এবং তাহার নিকট শুষ্ক জলাভূমি আছে। দোজিঙ গ্রামে আশ্রয় লওয়া গেল । গ্রামে যে-গৃহে ছিলাম সেখানে দুই ভগ্নী এক পতির সহিত বাস করে । এদেশে दछ्डर्द्धकांडे अधिक, दिख কয়েক স্থলে দেখিলাম কয়েক ভগ্নীর এক পতি। শুনিলাম, পুরুষ বা স্ত্রী যে নিজ পিত্রালয় ছাড়িয়া অন্তের ঘরে বাস করিতে রাজী হয় তাহার পারিতোষিক হিসাবে এইরূপ বহু পতি বা পত্নী জোটে । এইরূপ ব্যাপারের বৈজ্ঞানিক অর্থ এই যে, এদেশের ন্যায় অনুৰ্ব্বর স্থানে সম্পত্তি-বিভাগ রোধ করা একান্ত কৰ্ত্তব্য, স্বতরাং পরিবার যাহাতে পৃথক না হয় ভজন্ত এইরূপ ব্যবস্থা করা হয়। চারি ভ্রাতার এক স্ত্রী বা দুই ভগ্নীর এক পতি হওয়ায় পরিবার একই থাকিয়া যায়, সম্পত্তি বিভাগের প্রয়োজন হয় না। جیسی এদিকে চাষ অপেক্ষ পশুপালনের চেষ্টাই অধিক। এখানে ছোট ছোট ছাগলও দেখা গেল, কিন্তু লোকে তাহ বেশী রাখে না, কেন-না, একে তো পশম হয় না, তার উপর ছাগলের মাংসে চব্বি কম। -- |