পাতা:প্রবাসী আশ্বিন ১৩৪৪ সংখ্যা ৬.pdf/১৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

|\ ԳԳՆ, হামবর্ণের বউটি জিজ্ঞাসা করিল, ‘রিমার্কের ঘরে কিছু আছে ? ‘এই যে—’ বলিয়া মেয়েটি মৃদু হাসিয়া এক জায়গায় আঙুল রাখিল । * ‘ও’—বলিয়া বউটিভ হাসিল । , q বউ এবং মেয়ের নির্দেশমত সুনয়নীর বাস যেখানে নিদিষ্ট হইল, সেটা একেবারে অন্দরের শেষ । পুরানো দোতলা ঘর, দুয়ার কম, জানালা একটির বেশী দুটি নাই। বৎসরে একবার করিয়া গোল ফিরানো হইলেও অত্যন্ত পুরাতন বলিয়া নোনা ধরিয়া সেই চূণ-কামের ঐ ভাল করিয়া ফুটিতে পায় না। ঐ না ফুটিলেও বিশেষ ক্ষতি নাই, কারণ এই মহলে যাহারা আশ্রয় লাভ করে তাহাদের সঙ্গে বাসভবনের বিশেষ যোগস্থত্র থাকা বাঞ্ছনীয় বলিয়াই হয়ত ইহারা মনে করেন না। ro ঘরের সাজসজ্জা মন্দ নহে। ইচ্ছা করিলে ছোট খাট একখানা মিলিতে পারে, ইচ্ছা করিলে মেঝেয় শয়নের ব্যবস্থাও আছে। জাপানী চিত্র-বিচিত্রিত মাছুর, ধবধবে চাদর, বালিশ ও পাতলা তোষক একখানা করিয়া সকলেই পাইয়াছেন। আর পাইয়াছেন হাত-পা ধুইবার জস্থ্য পিতলের ঘাট, মাঝারি বালতি, জলপানের জন্ত এলুমিনিয়মের মাস। ঘরের কোণে জলভরা একটি কুজা অrs विश<-दाडिव्र दलTारन निब्रा"लाई शउज्जहिप्ड श्प्द न। বেশ ব্যবস্থা। অতিথি-সৎকারের জন্য এই সাৰ্ব্বজনীন ব্যবস্থাটা হুনয়নীর মনঃপুত হইল না। agf: মেয়ে আর পাচ জনের সদে গল্প করিতে করিতে বহুক্ষণ হইতে স্থনয়নীকে লক্ষ্য করিতেছিল এবং ফিক ফিক্ করিয়া হাসিতেছিল । মেয়েটির বয়স পচিশ-চাবিবশ হইতে পারে, ত্রিশ-বত্রিশ হওয়াও আশ্চর্য্যের নহে। সজ্জার পারিপাট্যে যেমন বয়স অষ্টমান করা সময়ে সময়ে দুঃসাধ্য হইয় উঠে, ত্রইনার যৌবনের সৌষ্ঠব তেমনই সব সময়ে প্রকাশ-গৌরব লাভ করে না । মেয়েটির হাসি শোকের বাড়ীতে দুঃস্বপ্নের মতই বোধ হয়। স্বনয়নী অপ্রসন্ন কটাক্ষে মেয়েটির পানে চাহিবামাত্র সে

প্রষণসী Տ՝ՏՅՏ - সশব্দে হাসিয়া উঠিল, এবং হাসিতে হাসিতেই सि কাছে আসিয়া বিনীতভাবে জিজ্ঞাসা করিল, ‘আজ এল বুঝি ? তা আপনি রমলাদির কে হন ? সুনয়নী ভ্ৰ কুঞ্চিত করিয়া মনের অপ্রসন্নতাকে নীয় প্রকাশ করিলেন, কথা কহিলেন না। মেয়েটি ভ্ৰকুঞ্চনে হাসি থামাইল না, বরং পূর্মাকে মাস্ত্রা বাড়াইয়া কহিল, ‘যার সঙ্গে গল্প করছিলাম উল সম্পর্কে রমলাদির পিসি। কাল এলেন। আসবামাষ্ট্র সে এক মহামারী ব্যাপার। পড়লেন আছাড় জে৷ কলতলায়, সঙ্গে সঙ্গে সে কি মড়াকান্না! সবাই অাৰু। ধরাধরি ক’রে নিয়ে এল এই মহলে। বুড়ো মানুষ হন্ত হাত-পা ভেঙে গেছে ব’লে ডাক্তারকে দেওয়া হ’ল ৰম্বর ডাক্তার এসে দেখলেন, হাত-পা ত ভাঙেই নি—কোৱাং আঁচড়টি পর্য্যস্ত লাগে নি ওঁর। বলিয়া হাসিয়া নুমন্ত্র লড়িল । স্বনয়নী কথা কহিলেন না। হাসি থামিলে মেয়েটি পুনরায় আরম্ভ করিল, আর ওই পাশে ব’সে যিনি হাত নেড়ে কথা কইছেন, উনি মাস | Ra টাকা মাসোহারা পেতেন, থাকতেন কাশীতে। তা বোনঝির শোক পেয়ে মাথা এমন খারাপ হয়ে গেছে ষে রাতের খাবার লুচি থেকে কাল চারখানা সরিয়ে রেখেছিলেন, জৰ সকালে জল থেলেন ।” আবার দমূকা হাসি ~ - কুনয়নী বিরক্ত হইয়া বলিলেন, “আমার শরীর খাৱ আপনি দয়া ক’রে ঘরে যান ।” মেয়েটি পা ছড়াইয়া নিশ্চিন্ত হইয়া বসিল ও পুত্ৰ মতই হাসিতে হাসিতে বলিল, ‘পিস’-শাশুড়ীর কাই শুনবেন না ? আহা ! খাতায় ছ-টাকা মাসোহারা ছিল শুনে যা শাপমন্নিটা দিলেন আজ। বলেন, চিরট। কা চার টাকা ক’রে পেয়েছি—এখন হ’ল দুই ? হনয়নীর মুখ হইতে হঠাৎ বাহির হইল, তার মানে ? - “মানে সোজা। এরা কুটুম্ব-বিদায় দেবেন একখান কাপড়, এই বিছানাপত্র সব আর যে যত টাকা কৰে মাসোহারা পেতেন—তাকে এককালীন টাকায় দশ মন । ক’রে । বুঝে দেখুন পিসশাশুড়ীর লোকসান কত ? |