পাতা:প্রবাসী আশ্বিন ১৩৪৪ সংখ্যা ৬.pdf/১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আশ্বিন স্বনানী শুইয়া পড়িবার উদ্যৌগ করিলেন। হানি ধামাইয়া মেয়েটি পুনরায় কহিল, আর মাসীর গাটা শুনুন। ওই যে খয়ের স্কার্ট শাড়ী পরে ঘুরে ড়োচ্ছেন দস্যি’র মত, উনি । ও-মহলে গিয়েছিলেন কাজ করতে। বলেন, ‘কাজের বাড়ী, গতর কোলে ক’রে দেখাকা কি ভাল। বউরাণী কি বলেছেন জানেন ? লেছ, আপনার নিকট-আত্মীয়, আপনাদের কি খাটাতে প্ররি। ওসব ঠাকুর-চাকরের কাজ ওরাই করবে।’ কথাটার মানে বুঝিতে ন পারিয়া স্থনয়নী অবাক হইয় फ्रांछि|ब्रश्रित्नन । মেয়েটি হাসিতে ফাটিয়া পড়িয়া কহিল, আপনি ত ভরি বোকা! বুঝলেন না ? পরকে কেউ কি বিশ্বাস করে ভাড়ারে হাত দিতে দেয় । আমরা খুব নিকটদারী কিনা ? - স্বনানী শুইয়া পড়িয়া কহিলেন, ‘আঃ, মাথাটা য স্থরেছে। মেয়েটি হাসি থামাইয়া কহিল, টিপে দেব একটু ? স, বেশ ত আপনি ! ওরা বড়লোক, ওদের সঙ্গে ত্যিকারের সম্বন্ধ হয়ত গড়ে ওঠে না, কিন্তু আপনার আমার *ধ্য কেন ফাক থাকবে ? দিই না টিপে ? স্বনানী বিরক্ত হইয়া ঝাঝিয়া উঠিলেন, “না।’ অগত্য মেয়েটি ক্ষুণ্ণমনে উঠিল এবং দুয়ারের বাহিরে 1शिरै छ*९ फिब्रिञ्च नाज़ाईब कश्ञि, ‘किरू बजरजनन ত—আপনি রমলাদির কে ? রাঝের মুখেই স্থনয়নী উত্তর দিলেন, ‘কেউ নই।’ মোট হাদিতে হাসিতে চলিয়া গেল । Ե হনী ঝাঝের মুখে উত্তর দিলেন বটে কেউ নই', দ্ধি মন স্থির করিয়া আর একবার সম্বন্ধ-বন্ধনের কথাট ভাবিতে বসিলেন। কে বলিল, রমলার সঙ্গে তার আত্মীয়তা ওই পাতানো দাদী পিসির মতই মৌখিক । রমলার মৃত্যুসংবাদ প্রাপ্তি iাত্র তিনি চীৎকার করিয়া কাদেন নাই সত্য, ইচ্ছা করিলে দই মূহূর্বে চোখে নদী বহাইয়া কাদাটা কিছু বিচিত্র ছিল স্নেহ না থাকিলে রমলা তাহাকে মাস-মাস টাকা 5B-\ס - A স্থনয়নীর মৃত্যু ꬃጫጫ পাঠাইত না। আর তিনিও কি ওই দুঃশীলা পিস্শাশুড়ীর মত কম প্রাপ্তির লোভে রমলার মেয়ে বউকে শাপাস্ত করিতে পারিতেন ? রমলার মেয়ে ও বউ যদিও ঐ সমস্ত মুখসৰ্ব্বস্ব আত্মীয়ের ব্যবহারে আসল-নকলের পার্থক্য বুঝিতে না পারিয়া তাহার বাসস্থানও এই অতিথিশালায় নির্দেশ করিয়া দিয়াছে, তবু, আজ হউক কাল হউক, সে ভুল তাহাদের ভাঙিবেই। বাল্যের সাহচর্য্যে মধু বা বিষ কোনটাই দুই বোনের অন্তরে জমা ছিল না, যৌবনের হৃদ্যতায় আস্তরিকতা খানিকট ছিল বইকি। যে দুরসম্পর্কের খুড়তুত বোনের ঐশ্বৰ্য্য লইয়া তিনি পাঁচ জনের কাছে নিজেকে বিস্ফারিত করিয়া অতুল আনন্দ ও গৌরব উপভোগ করিয়াছেন, হয়ত নিরালা মুহূৰ্ত্তে সেই ঐশ্বর্ঘ্যের অগ্নিশিখা নীরবে তাহাকে দগ্ধ করিয়াছে। দগ্ধ করিলেও সেই ভস্মরাশি তিনি কোন দিনই মুখে মাখেন নাই। বাড়ী ফিরিয়া তিনি প্রতিবেশিনীদের কাছে গল্প করিবার অনেক কিছু পাইবেন। চোখোচোথি এমন সমারোহময় প্রাসাদ ও রাণীতুল্য বউঝির দেখা কম ভাগের कथां नरश् । डिनि उांश्नादउँी दलिब्रांडे 4भनधन একটা রাজসিক ব্যাপারে নিমন্ত্রিত হইয়াছেন। সঙ্গে সঙ্গে তিনি চক্ষু মুদিলেন ও কল্পনা করিলেন, এই প্রদাদের চেয়ে সেই দুখানি স্যাতসেতে এক তলৰ চুণবালি-খলা অন্ধকারময় ঘরের মূল্য কতখানি । তুলনা করিলেন, এখানকার ফরসা চাদর, নূতন মাছর ও বালিশ তোষকের সঙ্গে সেই দুর্গন্ধযুক্ত ময়লা ছেড়া কাথ, ফুট বালিশ ও ছেড়া মাদুর। এখানে দিনে পাচ তরকারি ভাত, রাত্রিতে লুচি আর সেখানে মোট চালের সঙ্গে একটিমাত্র তরকারি, এক বেলার আয়োজনে দুই বেলা চলিয়া যায়। আর লাভের কথা ? এই কয় দিন রাজভোগ ছাড়া বিদায়কালের মোটা লাভট,—এই বিছান, বালিশ, মাদুর, pদর, ঐ বালতি, ঘটি, গ্লাস, গামছা । আর পীচ টাকা মাসোহরার এককালীন পঞ্চাশ টাকা প্রাপ্তি। কাপ 蠶 হইবে না, কাদিতে হইবে না, চাই কি, ওই পিস 4াগুড়ীর মত শাপমন্নি দিলেও এককালীন টাকাটা কেহ বন্ধ রাখিতে পারিবে না। খাতায় রমলার নিজের হাতের লেখা যে • • •