পাতা:প্রবাসী আশ্বিন ১৩৪৪ সংখ্যা ৬.pdf/১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

* .. দিব্য-প্রসঙ্গ . Z স্ত্রীউপেন্দ্রনাথ ঘোষাল, এম-এ, পিএইচ-ডি , - একাদশ শতাব্দীর শেষ ভাগে বাঙ্গালার রাজনীতিক ব্লঞ্চের অন্যতম শ্রেষ্ঠ অধিনায়ক দিব্যের চরিত্র ও কার্যাবলী সম্বন্ধে সম্প্রতি বাঙ্গালী ঐতিহাসিকদিগের মধ্যে বহু বাদানুবাদ চলিতেছে। কেহ কেহ তাহার অমুকুলে, কেহ বা তাহার প্রতিকূলে, যুক্তিতর্কের অবতারণা করি। রায় দিতেছেন। দিব্যের জীবনীর উপাদানের স্বপ্রাচুর্য্যই যে এই মতভেদের অন্যতম প্রধান কারণ, দন্দেহ নাই। স্বগীয় মহামহোপাধ্যায় হরপ্রসাদ শাস্ত্রী কর্তৃক ১৮৯৭ সালে আবিষ্কৃত এবং ১৯১০ সালে বেঙ্গল (র্যাল) এশিয়াটিক সোসাইটির আনুকূল্যে প্রকাশিত, ধারিত কাব্যই তাহার লুপ্ত ইতিহাস উদ্ধারের প্রধান উপকরণ। কবি সন্ধ্যাকর নন্দী রামপালের কনিষ্ঠ পুত্র নদনপালের রাজ্যকালেই এই মূল্যবান গ্রন্থ রচনা করেন। সন্ধ্যাকর নদীর পিতা পালরাজগণের অধীনে উচ্চ ৰাজকর্মে নিযুক্ত ছিলেন এবং তজ্জন্য সমসাময়িক সত্য ঘটনা জানিবার তাহার যথেষ্ট অবকাশ ছিল । সুতরাং রামপালের রাজত্বকালের এবং উহার অব্যবহিত পূৰ্ব্ব ৭ পর্ক্সে ঘটনাবলী সম্বন্ধে রামচরিত একটি শ্রেষ্ঠ প্রামাণিক গ্রন্থ, ইহা অনায়াসে স্বীকার করা যাইতে পারে। কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে গল্পে কথিত মনুষ্যচিত্রিত দিহের ন্যায় ইহা এক পক্ষেরই উক্তি। তদুপরি ‘রামচরিত' একটি কাব্য মাত্র। কেবল তাহাই নহে, ইহা রাঘবপাগুৰীয়মের মত একটি দ্ব্যর্থ কাব্য । ইহার শ্লোকগুলি এক পক্ষে দশরথতনয় রামচন্দ্র ও অপর পক্ষে পালরাজ রামপালের প্রতি প্রযোজ্য। যেখানে কবি ঐতিহাসিকের আসন অধিকার করেন, সেখানে ইতিহাসের মর্য্যাদা সম্যক্ রক্ষিত হইবে, ইহা প্রত্যাশা করা যায় না। সুতরাং বর্ণনীয় ঘটনার স্থান ও কালের নির্দেশ, ঘটনাপরম্পরার স্থসম্বদ্ধ বিবরণ, প্রধান নায়কদিগের চরিত্রের স্বৰ্ম্ম বিশ্লেষণ প্রভৃতি ইতিহাসসুলভ সাধারণ লক্ষণগুলি কাব্যে উপেক্ষিত হইবে, ইহাই ত স্বাভাবিক। রামচরিত কাব্যেও এই স্বাভাবিক নিয়মের ব্যতিক্রম হয় নাই। রামচরিত’ দ্ব্যর্থ কাব্য হওয়ায় আর একটি ফল হইয়াছে যে, ইহার বর্ণিত তথ্যগুলি রামায়ণের পক্ষে সুবিদিত হইলেও সমসাময়িক ইতিহাসের পক্ষে একান্তই অস্পষ্ট। ফলতঃ এক অসম্পূর্ণ টীকার সাহায্যেই শেষোক্ত তথ্যগুলির অর্থ আমরা কিছু কিছু উপলব্ধি করিতে পারি। এক্ষণে আমরা দিব্যকে কেন্দ্র করিয়া যে-সকল প্রম উত্থাপিত হইয়াছে, তাহাদের কথঞ্চিৎ মীমাংসা করিতে প্রয়াস পাইব । দিব্যের জীবনের শ্রেষ্ঠ ঘটনা তৎকর্তৃক বরেন্দ্রী গ্রহণ। যে হতভাগ্য পালনৃপতি তাহার জনকভূ"র (অর্থাৎ জন্মভূমির ) অধিকার হইতে এইরূপে বঞ্চিত হইলেন, তিনি কি চরিত্রের লোক ছিলেন । রামচরিতের আটটি পরস্পরসম্বন্ধ শ্লোকে (কুলকে ) বর্ণিত হইয়াছে শিক্ষণ জনকতনয় সীতা রাবণ কর্তৃক অপর্বত ट्झे८व्जन 4द६ कि श्वकारत्र भाजद्राक्कत्र ‘वनदङ्क' दवसी দিব্য কর্তৃক গৃহীত হইল। কুলকের আদ্য শ্লোকটি હરું – প্রথমমুপরতে পিতরি মহীপালে ভ্রাতরি ক্ষমাভারম ৷ বিভ্রত্যনীকা রংভ ]রতে রামাধিকারিতাং দধতি ॥ ১।৩১ রামপালপক্ষে ইহার অর্থ :-"প্রথমে পিতার পরলোকগমনের পর ভ্রাতা মহীপাল রাজা হইয় অনীতিক আরম্ভে’ রত হইলে রামপাল অত্যধিক মানসিক ক্লেশ প্রাপ্ত হওয়া"- এখানে তর্ক উঠিয়াছে এই *অনীতিক আরম্ভ শব্দের বুৎপত্তি লইয়া। এক পক্ষ ইহার টীকাসম্মত সাধারণ অর্থ গ্রহণ করিয়া বলিতেছেন, মহীপাল নীতিবিরুদ্ধ । कारा ब्रड हिाजन ।। ७३ भण्डद्र श्रुश्च ४९* *** একটি শ্লোক উদ্ধৃত করিয়াছেন – লোকান্তরপ্রণয়িণে দুনীয়ভাজোহগ্রজন্মলে বাদল" | পতিতান্ধকারবত্যনুভাবাদুদহারি গৌতমী তিন " "**