পাতা:প্রবাসী আশ্বিন ১৩৪৪ সংখ্যা ৬.pdf/২৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অশ্বিন মৃত্তিক ԳԵ-Գ থে চলিয়াছে—স্বাধীন তাহার চলিবার ভঙ্গী। সম্মুখের রাষ্ট্ৰলিয়া পথ চলিবার সৎসাহস তাহার অাছে। দম্ভ দুঃাহীলের মত বেপরোয় । ভক্ষেপ নাই। নিজের মনের মধ্যে কত সম্ভব-অসম্ভব কল্পনা করিয়া লিদাছিলাম। কিন্তু আমারই মত কোন অনুসন্ধিৎক্ষ যুক্তির প্রশ্নে মুখ ফিরাইলাম। প্রশ্ন এবং উত্তর দুই-ই স্বামার কানে আসিল । আমার বিস্ময় সীমা ছাড়াইল । ই অশীতিপর বৃদ্ধ যাহার জীবন-প্রদীপ সামান্ত একটু দমকা গঙ্গা নিবিয়া যাইবে, সে করিয়াছে খুন, তাহাও একটা ন-জোড়া। উৎকর্ণ হইয়া শুনিতেছিলাম। প্রশ্ন হইল— বুদিন আর বঁচিবে বুড়ো ? যেন খুব একটা রসিকতার কথা স্টাছে, উপস্থিত অনেকেই টানিয়া টানিয়া হাসিতে লাগিল। প্রকারী উৎসাহিত ভাবে পুনশ্চ কহিল—কাপুনিটুকুও ত পুরোমাত্রায় আছে...ছুরি চালাবার সময় ত হাত কাপে নি। তাও এক আধটা নয়, দু-দুটো। বুৰঞ্জস চোখে নিরুপায়ের মত চতুর্দিকে চাহিয়৷ দেখিতে লাগিল। বুঝিলাম না এ দৃষ্টির তাৎপৰ্য্য। কিন্তু আমার সমস্ত চেতনা সজাগ হইয়া রহিল উহাদের আলোচনার প্রতি। পুনরায় প্রশ্ন হইল—একটি ছটাক জমির মায়া দ্বার কাটাতে পারলে না। বৃদ্ধ কথা কহিল না বটে, কিন্তু তাহার কোটরগত চক্ষু দুইটা ঝক ঝকু করিয়া জলিয়া উঠিল । ভাঙ্গার মুখে এমন একটা কঠিন ভাব ফুটিয়া উঠিল যাহ কেকোন &ny:র চোখেই ধরা পড়ে। লক্ষ্য করিলাম, *टारद्ध * হইয়াছে। ভদ্রলোকটি হঠাৎ অতিমাত্রায় "ত হইয়া পড়িলেন। আমি মনে মনে না হাসিয়া পরিলাম না। কিন্তু বৃদ্ধ সম্বন্ধে আমার মনে একটা দত্ত্বেক কৌতুহল জাগিয়া রহিল, অথচ কোন তরফ ইতেই আর সাড়া মিলিতেছিল না। জনৈক প্রহরীকে দ্বিজ্ঞাসা করিয়া যাহা বুঝিলাম তাহ না বুঝারই সামিল, তবে এইটুকু পরিষ্কার হইল যে লোকটি খুনী আসামী এবং দে একজোড় খুন করিয়াছে, এ-কথা আদালতে সত্য বলিয়া প্রমাণিত হইয়াছে। বৃদ্ধ আমার মুখের দিকে চাহিল, বারবকে মাথা নাড়িয়া মৃদু কণ্ঠে কহিল—খামক ত আর ছেড়ে দিতে পারি নে। সে বুড়ী না-হয় নেই, কিন্তু ছেলেপিলেগুলো ত আছে—তাদের ভালমন্দ দেখতে হবে ত বাবুজী :. - - تعسكتت বৃদ্ধ মুহূৰ্ত্তের জন্য থামিল, নিজের কপালের উপর একখানি হাত রাখিয়া কহিল, কপাল বাবুং-এর লেখা কেউ খণ্ডাতে পারে না, নইলে একটি করে লাঠির ঘায়ে ওরা সাবাড় হবে কেন ? আর আমাকেই বা এই বুড়ে বয়েসে হাজতে যেতে হবে কিসের জন্যে ! কটা বছর আর বচিতুম। বৃদ্ধ ক্ষীণ করুণ হাসি হাসিয়া পুনরায় কহিল, সেই মরতে ত একদিন হ’তই, না-হয় বাপ-ঠাকুর্দার আমলের এক ছটাক জমির জন্তে জান কবুল করেছি। আর এও ঠিক কথা, ছেলেপিলেগুলো এর পরে নিশ্চিন্তে ভোগ করতে পারবে। ভরসা করে আর কেউ ঠকাতে আসবে না। আমি অপর দিকে মুখ ফিরাইয়া অতিশয় মনোযোগের সহিত বৃদ্ধের কথাগুলি শুনিতেছিলাম। বৃদ্ধ বোধ করি আমার এ ছলনাটুকু লক্ষ্য করিয়াছিল। ধীরে ধীরে লে বলিয়া চলিল—বাপ-ঠাকুর্দী যা রেখে গেছেন তার উপর এক ক্টাচ্চ বাড়াতে পারি নি, এক ছটাক ছেড়ে দি কোন হিসেবে! এর পরে তাদের কাছে গিয়ে জবাব দেব কি ? বৃদ্ধ খামিল । মুহূর্তের জন্য মুখ ফিরাইয়াছিলাম। আমি দেখিলাম, শঃই দেখিলাম, বুদ্ধের চোখের কোণে অশ্রুবিন্দু টলমল করিতেছে। কিন্তু এই স্থবির খুনে আসামীর জন্ত অস্তরের কোথাও এক ফোটা অনুকম্পার স্থান হইল না। স্বৰ পুনরায় কথা কহিল—ছেলেগুলো সব বড় হয়েছে—বিরোধ দিয়েছি । ওদের জন্যে আমার ভাবনা নেই, কিন্তু যত ছশ্চিন্তা আমার ছোট মেয়েটার জন্যে। আমার ন্যায় নীরব শ্রোতা বোধ হয় বৃদ্ধ তার বনীछौबरन खात्र श्राञ्च नाई। ८न अनर्शन दक्यि छबिट । —বাবুজী, আমার কথা শুনে বিরক্ত হবেন না। এই ক'দিন ধরে কথা কইতে না পেরে আমার দম বন্ধ হয়ে যাবার জো হয়েছে। এই বুড়ে বয়েসে মেয়েটাকে নিয়ে বেলখেলেই আমার দিন কেটে যাচ্ছিল । ওকে দু-বছরের রেখে ওর মা চোখ বুজেছে—সেই থেকেই মেয়েটাকে বুকে পিঠে করে মানুষ করেছি। আমার কাছেই ওর যত আব্দীর । থিদে পেলে মুখের দিকে চেয়ে থাকত—নালিশ জানাতে হ'লে কোলের মধ্যে মুখ ঘষত। ওর মনের কথা তাইতেই আমি টের পেতুম। বুদ্ধের কণ্ঠ রুদ্ধ হইয়া গেল । الصل