পাতা:প্রবাসী আশ্বিন ১৩৪৪ সংখ্যা ৬.pdf/৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

سميتحو6 প্রবণসী SNC 53 আমি নিঃশব্দে শুনিতেছিলাম । বৃদ্ধ পুনশ্চ বলিতে স্বরু করিল—পুলিস হাতকড়া দিয়ে টেনে নিয়ে চলল। মেয়েটা আমার আছাড় খেয়ে মাটিতে পড়ল। মাকে শেষ বারের মত একবার বুকে ধরতে চেয়েছিলাম । ওরা দিলে না। বাবুজী, আমার কলিজ ভেঙে যেতে লাগল। মেয়েটার সে কি কান্না ! বুদ্ধ কিছুক্ষণের জন্ত থামিল, পুনরায় বলিতে লাগিল—আজও আমি শুনতে পাচ্ছি। বলছিল ‘বাবাগে৷ আমাকে সঙ্গে নিয়ে যাও !... বুদ্ধ একটি দীর্ঘনিঃশ্বাস ফেলিয়া কহিল—বুড়োমানুষ দেখে হাকিম দ্বীপাস্তরের হুকুম দিলেন, ফাসিটা আর হ’ল না । এর চেয়ে ফাসি হওয়াই আমার ছিল ভাল । বেঁচে থেকেই বা লাভ কি। বৃদ্ধ নিরুপায়ের ন্তায় লৌহ বলয়জোড়া দেখিতে লাগিল । আমি নিজের বসিবার স্থানে ফিরিয়া আসিলাম, অজ্ঞাতে মুখ হইতে বাহির হইয় পড়িল-দুর্ভাগ” আমার পাশ্বোপবিষ্ট ভদ্রলোকটি এতক্ষণ কোথায় ছিলেন —দেখিলাম, আমি ফিরিয়া আসিবার সঙ্গে সঙ্গে তিনিও আসিয়া জুটিলেন। আমার মুখের প্রতি খানিক চাহিয়া দেখিয়া মুছ হাসিয়া কহিলেন—খুনে বুড়োর আত্মবিলাপ শোনা হচ্ছিল বুঝি ? আমি কিন্তু হাসিতে পারিলাম না। কহিলাম—কতকটা তাই বটে ! আমার গাম্ভীৰ্য্য বোধ করি তার আত্মসম্মানে আঘাত করিল, তার ভ্রযুগল ঈষৎ কুঞ্চিত হইল। কতকটা যেন অবজ্ঞাভরেই তিনি কথা কহিলেন—দয়া দেখাতে বা দয়া করতে আমরাও জানি দাদা, কিন্তু এ শ্রেণীর লোককে অনুকম্প দেখান মানে সোজাসুজি দুর্নীতির প্রশ্রয় দেওয়া। ইচ্ছা হইতেছিল বলি, কথাটা এমন কিছু নূতন নয়. আমরাও জানি কিন্তু মুখে কোন কথা কহিলাম না। নীরবে তার কথাই মানিয়া লইলাম। তিনি পুনরায় কহিলেন— কত বড় বীভৎসতা বলুন ত•••মাত্র এক ছটাক জমির জন্তে এতবড় একটা দুর্ঘটনা। কথা মহিলাম না । এই সম্বন্ধে বেশী বাদানুবাদ করিতে আমার প্রবৃত্তি নাই । কি জানি কেন আমার কানে একটি ম-হারা মেয়ের আর্ত ক্ৰন্দন আসিয়া বারে বারে আছাড় খাইয়া পড়িতেছিল, “বাবাগো আমায় তোমার সঙ্গে নিয়ে —a যাও গো”••• হয়ত এ আমার ভাবুকত কিন্তু কেক আমার সারা অস্তর প্লাবিত করিয়া ফিরিতেছেপ্রকাশ করিতে আমার লজ্জা নাই । o পুনরায় ভদ্রলোকটি কহিলেন—একহাত হবে নাকি? ভাস আমার সঙ্গেই আছে। ঘাড় নাড়িয়া আণৱি জানাইলাম। মুখে কহিলাম—তাসখেলা আমি জানি নে তিনি আমার মুখের দিকে খানিক সন্ধি ভাবে চান্তি থাকিয়া সম্ভবত অন্ত লোকের সন্ধানে উঠিলেন। জার্তা বৃদ্ধের প্রতি দৃষ্টি ফিরাইলাম। তার সম্মুখে একটি স্বাম মধ্যে কতগুলি চিড়-মুড়কি পড়িয়া রহিয়াছে। আমার মরি দৃষ্টিবিনিময় হইতেই বৃদ্ধ কথা কহিয়া উঠিল—মেট্রেন একটি বেলা নিজে হাতে খাইয়ে না দিলে তার খাজ হ’ত না । কওঁ দিন যে একসঙ্গে খাবার জন্তে বসে ষ্ট্রে মার আমার একটি বেলা খাওয়াই হ’ত না...বুদ্ধের জন্ম * বাহিয়া অশ্রুর ধারা নামিয়া আসিল, নিরুপায়ের কা ক্ৰন্দন। বৃদ্ধ পুনরায় অশ্রুসিক্ত কণ্ঠে কহিল-বদুনন্তর্জ এগুলো কি ক’রে থাই। বৃদ্ধ সহসা উঠিা 型 প্রহরীদের জানাইল, তাহাকে মুখ হাত পা ধুইতে হবে। জন্য দুই প্রহরী তাহাকে নীচে লইয়া গেল। কি জা কেন এক অনাবখ্যক কৌতুহল আমাকেও উহাদের শি পিছু টানিয়া লইয়া গেল। বুদ্ধ হাত মুখ ধুইতেছিল, আী অদূরে ইতস্তত পায়চারি করিতেছিলাম। সহসা জলে উপরে একটা ভারী বস্তুর পতনশবে কিন্ত টি মুখ ফিরাইলাম। প্রহরীদ্বয় হতভম্বের છે. iাড়াই আছে—বৃদ্ধ তাহাদের পাশে নাই। সারা" একটা ছড়াছড়ি পড়িয়া গেল। আসামী পলাইয়াং আমি নিঃশব্দে তরঙ্গায়িত জলরাশির প্রতি সচেতন d মেলিয়া দাড়াইয়া রহিলাম। কোথায় বৃদ্ধ ? তার ক্ষো চিহ্নই নাই। চোখের সম্মুখে ধুধু জলশাঘুমাইয়াছে, তার অস্তিম শয্যা ঐখানেই রচিত হইয়াছে সে পলাইয়াছে কিন্তু তার এই যে মহাপ্রস্থান একি শুধুমাত্র কন্যার প্রতি স্নেহের আকর্ষণ, না অন্য কিছু। আমার চিন্তাধারা পুনশ্চ এই পথে চলিবার যে যথার্থ কোন হেঃ মাই তাহ নয়। আমার বেশ মনে পড়ে, বৃদ্ধ একবাং বলিয়াছিল, মানুষের সবই শেষ পৰ্য্যন্ত স'য়ে যায়। আমাৰ