পাতা:প্রবাসী আশ্বিন ১৩৪৪ সংখ্যা ৬.pdf/৩৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আণশ্বিন মৃত্তিক। ^SS বোকার মত চাহিয়া রহিলাম। মানুষ হইয়া মাহুষের দুতিও সহজ ভাবে মিশিবার উপায় নাই—এমনই কুটিল দুনিয়ার গারিপাশ্বিক অবস্থা। অন্যমনস্ক ভাবে তোরঙ্গপ্টের গোছগাছ করিতে লাগিলাম। ষ্টীমারের বঁাশী ঘন ঘন বাজিতে সুরু করিয়াছে, উঠিয়া দাড়াইলাম । ষ্টেশনে নামিয়াও বারকয়েক ভুবনবাবুর খোজ করিয়াছিলাম কিন্তু দেখা মেলে নাই, হয়ত আমারই মত কোন দুর্ভাগ তাহার প্রশ্নবাণে অতিষ্ঠ হইয়া উঠিয়াছে। চাকুরীজীবী, কাজ না করিলে প্রমোশন নাই। আমারই মত যুবক সম্মুখে বিরাট ভবিষ্যৎ, কত অগণিত ধাপ তাহাকে ডিঙাইতে হইবে... ...নিশ্চেষ্ট থাকিলে চলিবে 6दम । আবার সেই ট্রেনের ঠাসাঠাসির মধ্যে আসিয়া পড়িাছি। দীর্ঘ ছ-সাত ঘণ্টা এমনি ঠায় বসিয়া থাকিতে হইবে। আর মুখ খুলিব না ইহা এক প্রকার মনে মনে প্রতিজ্ঞ করিয়া ফেলিয়াছি। ভুবনবাবু ভদ্র, তাই পরিচয়ের সামান্ত একটু স্বত্র ধরিয়াই আমাকে রেহাই দিয়া গিয়াছেন। লাকসাম আসিয়া ট্রেন হইতে নামিয়াছি, কাধের উপর করম্পর্শ অনুভব করিলাম, মুখ ফিরাইয়া দেখি ভুবনবাবু। প্রশ্ন করিলাম—আপনি ! —ই আশ্চর্ঘ্য হবেন না, ভুবনবাবু কহিলেন, পিছু নেওয়াই আমাদের কাজ। আপনি বুঝি এখন নোয়াখালির ট্রেন ধরবেন ? চলুন একসঙ্গে গোটাদুই ষ্টেশন যাওয়া যাক। আমাকেও দিনকয়েকের জন্যে দেশে যেতে হবে । একসঙ্গেই যাওয়া যেত, কিন্তু হুকুম এসেছে চিটাগং হয়ে যেতে হবে। ত হোক, তার পরে দীর্ঘ অবকাশ–প্রায় মাগধানেক দেশেই থাকতে পারব । যাবেন আপনি—ভুবন পোদারকে ভুলবেন না যেন ! এইবার লইয়। দ্বিতীয় বার অনুরোধ। লক্ষ্য করিলাম কিন্তু হাসিয়া জবাব দিলাম, যাব—হাতিয় যাওয়া যখন নিশ্চিত তখন আপনাকে ভোলা আমার হ’তেই পারে না। দিনসাতেকের মধ্যেই আমি যাচ্ছি। ভুবনবাবু মৃদু মৃদু হাসিতে লাগিলেন–বিনয়ের হাসি। গাড়ী ছাড়িবার দ্বিতীয় ঘণ্ট। পড়িতেই ভুবনবাবু সহসা ব্যস্তভাবে উঠিয় পড়িলেন, বড় ভুল হয়ে গেছে -- আমাকে এক্ষুনি নামতে হচ্ছে। আমাকে কথা বলিবার অবকাশ না দিয়া চোখের পলকে তিনি অদৃপ্ত হইয়া গেলেন। আমি অবাকবিস্ময়ে চাহিয়া রহিলাম। লোকটি আগাগোড়াই কেমন খাপছাড়া। বুঝিলাম না তার বর্তমান শিকার কে—আমিই, না অপর কেহ । গাড়ীটা ফাক ছিল। খানিক ঘুমাইয়া লইলে হইত। নিজের সম্বন্ধে আমি নিঃসন্দেহ যে সে নিশ্চয় আমার প্রহরায় নিযুক্ত আছে। থাকারই সম্ভাবনা। ঘুমাইয়াছিলাম বেশ নিশ্চিন্তে নিরুপদ্রবে। কুলির চাংকারে চোখ রগড়াইয়া উঠিয়া বসিলাম। চাহিয়া দেখি, গন্তব্যস্থানে পৌছিয়াছি। চোখে পড়িল মেঘনা নদীর প্রবল জলোচ্ছ্বাস, কানে আসিল জলের গম্ভীর ডাক । নদীর ফুলে আসিয়া দাড়াইলাম। সারি সারি ডিঙ্গি বাধা রহিয়াছে। ষ্টেশনে লোক আসিয়াছিল, হাত দিয়া ডিঙ্গি দেখাইয়া সে অামাকে জানাইল, ‘সাম্পানে করিয়া আমাদের ট্রামার-ঘাটে যাইতে হইবে। কিন্তু এই তরঙ্গসকুল মেঘনাবক্ষে ঐ এতটুকু ক্ষুদ্র ডিঙ্গি যে কেমন করিয়া ভাসিবে ভাহা বুৰিয়া উঠতে পারলাম না। এদেশের লোকের কি छौवप्नञ्च भाञ्च वजिग्न ८कन अनार्थ नाझे । अभिाँब इंडडड ভাব দেখিয়া সঙ্গী ভদ্রলোকটি একটু হাসিয়া কহিলেন, অন্ত উপায় ত আছে—গাড়ীতে যাবেন ? দ" মিনিটের পথ দু-ঘণ্টায় যেতে হবে। কহিলাম, তাই চলুন— ভুবন পোদ্ধারকে আমি ভুলি নাই। তাহাকে এত সহজে ভোলা আমার পক্ষে সম্ভবও নয়। আমার একঘেয়ে পথ চলায় খানিকট পরিবর্তন। মোটের উপর তর্কে ७द६ फ़िखांम्र नभर्धा? ७क चकांद्र कांछिब्र शिप्र८िछ् ! ***** পথ চলিয়াছি বাবাকে সঙ্গে করিয়—ঠাসাঠাসির दांलांझे নাই। বাবা কোম্পানীর পরিচালক । ষ্টীমারের শ্রেষ্ঠ কেবিনটি আমার আয়ত্তাধীনে। নিৰ্ভয়ে নিঃসঙ্কোচে চলিয়া ফিরিতেছি। সারেং, মুকানী, ড্রইভার মায় খালাসীরা পর্যন্ত তটস্থ। পদমৰ্যাদার প্রভাব। এই ব্যবস্থাই সর্বত্র। বাবার পরিচালনায়ও ভর এতটুকু ক্রটি লক্ষিত হইল না। হইবার কথাও নয়—তিনিও মায়য। لك