পাতা:প্রবাসী আশ্বিন ১৩৪৪ সংখ্যা ৬.pdf/৩৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৭৯২ ১৩৪৪ আমি সারেঙের পাশে গিয়া দাড়াইলাম। উঠিয়া দাড়াইয়া সে চেয়ার ছাড়িয়া দিল। আমি বসিলাম না। ষ্টীমার তীরের মত ছটিয়া চলিয়াছে, বিরামহীন। সম্মুখে खल श्रांद्र खल-नैौभांशैन अखशैन । मारद माट्व नांना মেঘের পাহাড় জলের অতল তল হইতে ঠেলিয়া উঠিয় আকাশকে চুম্বন করিতেছে। আকাশ এবং পাতালের সহিত একটা গভীর যোগাযোগের স্বষ্টি করিয়াছে। দক্ষিণে একটি কাল রেখা দেখা দিয়াছে। স্বন্দরী প্রকৃতির ঠোঁটের পাশে যেন ছোট একটি তিল। চমৎকার মানাইয়াছে— লোভনীয় করিয়া তুলিয়াছে। মুগ্ধ চোথে চাহিয়া দেখিতেছিলাম। সারেং বলিল, ঠাণ্ড বাতাস দিচ্ছে, ঝড় উঠতে পারে... আপনি কেবিনে যান বাবু। কিন্তু আমি তাহার অনুরোধ রক্ষা করিলাম না। আমি এখানে থাক নাথাকায় ঝড়ের কিছুই আসিয়া যাইবে না। মিছামিছি নিজেকে কেন বঞ্চিত করি। নদীর রুদ্র মূৰ্ত্তির সহিত আমার কখনও পরিচয় ঘটে নাই। শুনিয়াছি মেঘ দেখিয়াই মেঘনা নদী মাতিয়া উঠে। কথাটির সত্যতা উপলব্ধি করিলাম। এতক্ষণের শাস্ত জলরাশি হঠাৎ যেন কঁপিয়া কাপিয়া ফুলিয়া উঠিতেছে, উদ্ধে চলিয়াছে মেঘের দুরন্ত থেলা। চাহিয়া চাহিয়া দেখিতেছি, অকস্মাৎ আমার চোখের সম্মুখে সব অন্ধকার হইয়া গেল। ভয়ার্ক আরোহিগণের অর্তি কণ্ঠরোল কানে আসিতে লাগিল। অন্যমনস্ক হইয়া পড়িয়াছিলাম, প্রচণ্ড একটা জলের ঝাপটা আমাকে সম্পূর্ণরূপে ভিজাইয়া দিয়া পিছনে গড়াইয় গেল। জলের উপর ষ্টীমারখানি প্রবলভাবে আছাড় খাইতে লাগিল । আমার সমস্ত শরীর নিম বিন করিতে লাগিল। ইচ্ছা হইতেছিল চোখ বুজিয়া খানিক পড়িয়া থাকি, কিন্তু নদীর অশান্ত পাগল মূৰ্ত্তি আমাকে অনড় করিয়া রাখিয়াছে। এক দিকে ভ, অপর দিকে আকাজ। আর এক ঝাপটা...তার অীর দাড়াইয়া থাকিতে পারিলাম পরে আর একটা । না। পা দুখান ঠক ঠক করিয়া কঁাপিতেছিল—হৃদস্পন্দন an iন নিয়াছে। সহজ অঙ্গভূতিটুকুও হারাইয় কেনেছি। প্রার আধ ঘট ধরিয়া চলিল জুৰ বাতাস a sল সহিত মানুষের ক্ষুদ্র শক্তির প্রবল সংগ্রাম। .. , সারেঙের কণ্ঠস্বর কানে আসিল—ভয় পাবেন না বায় আকাশ পরিষ্কার হয়ে গেছে। বাতাসের তেজ নেই। কি যে আছে, কি যে নাই, তাহ ভাল করিয়-বো করিবার মত সহজ বুদ্ধি তখনও আমার মধ্যে ফিরি আসে নাই। বাবার সড়া পাইলাম,—কাপড়-জাম বদলে আয় । কেবিনের দিকে অগ্রসর হইলাম, সমন্ত্ৰ শরীর, তখন কঁাপিতেছে । হাতিয়া-দ্বীপে গিয়া ষ্টীমার পৌছিল রাত আটটা জলাভাবে ষ্টীমার স্কুলে ভিড়িতে পারিল না। রেলি ধরিয়া দাড়াইলাম। আরোহিগণ একে একে নৌকার সাহায্যে তীরে উঠিয়া গেল। এই আমার জন্মস্থানএই মাটিতেই আমার সহিত পৃথিবীর প্রথম চেন। জন্মস্থানের উপর মাহুষের কোন মোহ আছে কিনা আমি জানি না, কিন্তু দূর হইতে দ্বীপের যতটুং আমার চোখে পড়িয়াছে তাহা একখানি জীবন্ত ছবি বলিয়াই মনে হইল। অতিরঞ্জিত নহে-সত্য । বাবাকে বলিয়া কহিয়া দ্বীপেই দিনকয়েকের জন্ম রহিয়া গেলাম । ভুবন পোদারকে পরদিন স্মরণ কৰি মনে মনে স্থির করিয়া সেদিনকার মত ওখানকার সাবএজেণ্ট শশীনাথের তত্ত্বাবধানে রহিয়া গেলাম। কিন্তু বিস্ময় আমার সীমা ছাড়াইল যখন সত্য সত্যই পোক্ষা মহাশয়ের দেখা পাইলাম । बूद्म-अ८क्षांचाॉल••• 1 - আমি সংশয় প্রকাশ করিয়া কহিলাম—বল কি, ইনিই ভুবন পোদ্দার ? শশীনাথ কহিল—অজ্ঞে ইনিই কিন্তু আপনি কি পোদার-মশাই সম্বন্ধে অন্য কিছু শুনেছেন ? কহিলাম—দেথেওছি, কিন্তু থাক সে-সব কথা। চাহিয়া দেখিলাম পোদার মহাশয় নদীর তীরে দাড়াইয়া শূন্ত্রে হাত-পা ছড়িয়া চীৎকার করিতেছেন।” শশীনাথ কহিল—মানুষের সাড়া পেলেই সব থেমে যাবে। ওর যত আক্রোশ এই মেঘনা নদীর উপর। জিজ্ঞাসা করিলাম—কেন ? শশীনাথ কহিল—নদীর জালায় মানুষ কি আর স্বস্তিতে সুমতে পারে । সাবেক দিনের হাতিয়ার আজ আছে o