পাতা:প্রবাসী আশ্বিন ১৩৪৪ সংখ্যা ৬.pdf/৩৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মৃত্তিক। 9אפ6 —িসব জলের তলায়। নইলে বুড়োর আজ এই দশা #1. * শশীনাথ মুহূৰ্ত্তের জন্য থামিয়া পুনশ্চ কহিল—এক সময় ੋ ছিল হাতিয়া-দ্বীপের বার আনার মালিক। এক আঙুল জমীর জন্তে কত মাথা ওর পায়ের তলায় গুড়ে হয়ে গেছে তার ঠিক নেই—অথচ ভোগ করবার একটা প্রাণীও নেই। - আমি বিমনা হইয়া পড়িলাম। চোখের সম্মুখে স্পষ্ট হইয়া দেখা দিল এক অশীতিপর বৃদ্ধ, যে এক ছটাক জমির হন্ত দুটি মাথা লইয়া অবশেষে দেশের মাটিতে শেষ নিঃশ্বাস কেলিতে আত্মহত্যা করিয়াছে –এরা সকলেই সমান, শুধু শিক্ষা এবং চালচলনের রকমফেরে আমরা বিচার कब्रिाउ छून दब्रिग्र। दनि । শশীনাথ পুনরায় কহিল—বুঝবার উপায় নেই...এমনি দুধ মিষ্টি, আর তেমনি চাপা। তবে একটা কথা বুড়ো, সকল সময়েই গলাবাজি ক'রে বলত, হাতিয়-দ্বীপের যোল আনার উপর প্রভুত্ব যেদিন সে করতে পারবে সেই দিন নিবৃত্তি হবে তার বুদ্ধির স্পৃহা। ওঁর আশা প্রায় পূরণ হয়েও ছিল, কিন্তু মানুষের অতিবড় দন্ত ভগবান সহ করেন না। ও শুধু নিতেই জানে, স্বেচ্ছায় কিছু দিতে শেখে নি, তাই ওর ভার উপরওয়ালা নিজের হাতে তুলে নিয়েছেন। মেঘনা ওকে ধীরে ধীরে গ্রাস করতে স্বরু করলে। কহিলাম—মেঘনাই বুঝি শেষ পৰ্য্যন্ত পোদ্দার-মশাইকে সৰ্ব্বস্বাস্ত ক’রে ছাড়ল ? শশীনাথ যে ভাবে গল্প ফাrদয়া বলিদাছে তাহাতে কতক্ষণে যে সে তাহ শেষ করিত জানি ন, তাই ইচ্ছা করিয়াই আলোচনাটা বন্ধ করিয়া দিলাম। আমার শেষ কথাটা বোধ করি পোদ্দার-মহাশয়ের কানে গিাছিল, তাহার হাত-পা ছোড়া এক মুহূৰ্ত্তে বন্ধ হইয় গেল। তিনি ধীরে ধীরে আমার সন্নিকটে আসিয়া দাড়াইলেন। মুখের প্রতি কিছুক্ষণ নীরবে চাহিয়া থাকিয়া কহিলেন—কোন দিন দেখি নি ত.এখানে নুতন বুঝি. তোমার নাম কি বাবা ? -- কহিলাম... বিমৰ্ষ কণ্ঠে তিনি কহিলেন–কিছু নেই...বুঝলে বাবা । 7 թա(: সে সোনার হাতিয়া কি আর আছে! সব উড়েপুড়ে গেছে...আর আমি বুড়ো সেই ভাঙা হাটে বসে বেসাতি করছি। বৃদ্ধ হো হো করিয়া হাসিয়া উঠিলেন। কি করুণ মৰ্ম্মস্তুদ সে হাসিটুকু. তিনি পুনরায় কহিলেন-বাবাজীর কি এখানে বেড়াতে আসা হয়েছে ? কহিলাম—এটা আমার জন্মস্থান. বৃদ্ধ পোদ্ধার-মহাশয় ঘন ঘন মাথা নাড়িতে লাগিলেন, কিছুই নেই বুঝলে...তা হোক.যদি একবার বুড়োর ভাঙা কুটীরে পায়ের ধুলো দাও ত আনন্দিত হব। - মুখের উপর না বলিতে পারিলাম না, অথচ ইহার ও সেই অশীতিপর বৃদ্ধ খুনে আসামীর মধ্যে আমি কোন প্রভেদ দেখিলাম না। কিন্তু সেই দরিদ্র নিম্নশ্রেণীর বৃদ্ধের সহিত একটা ভদ্রভাবে কথা কহিতেও আমার শিক্ষিত মন সঙ্কুচিত হইয়া পড়িয়াছিল। এমনি মজা, শুধুমাত্র বর্ণের তফাতে । এবং কথা বলিবার ধরণে একে উপেক্ষা করা ত দুরের কথা বরং আগ্রহের সহিত বলিলাম—আপনি এত ব্যস্ত হচ্ছেন কেন.চলুন আপনার সঙ্গে কোথায় যেতে হবে। শশীনাথকে কহিলাম—তুমি বরং যাও, আমি কিছুক্ষণের মধ্যেই আসছি । শণীনাথ চলিয়া গেল—আমি বুদ্ধকে অনুসরণ করিলাম । পথ চলিতে চলিতে পোদার মহাশয় কহিলেন–ত্রিসসারে আমার কেউ নেই, এক স্ত্রী ছাড়া। আর ছিল মাটি অনেক.. অনেক. মুহূৰ্ত্তের জন্য বৃদ্ধ থামিলেন, কহিলেন—ষখন ছিল তখন কি কারণে, কি অকারণে কারুর জন্যে একটি পয়সা ব্যয় করি নি—সৰ্ব্বস্ব জলাঞ্জলি দিয়েছি এক মাটির নেশায় । কিছু নেই”বুঝলে বাবা, আমার নিজের বলতে কিছু নেই, তাই আজ স্ত্রীর কথায় উঠি বসি। বুদ্ধ টানিয়া টানিয়া হাসিতে লাগিলেন । আমি অবাক হইয়া বুদ্ধের মুখের দিকে চাহিয়া রহিলাম। তিনি কহিলেন—বুঝলে না...নিজের খেয়ালে ত প্রায় নিঃস্ব হয়েছি..যেটুকু অবশিষ্ট আছে তা না-হয় ত্রীর খেয়ালেই যাক...তাই যত রাজ্যের চেনা-অচেনা ছেলেদের নিয়ে গিয়ে খাওয়াই । +. বৃদ্ধ মুহুর্তে যেন বদলাইয়া গেলেন,—বলতে পার ছোকরী, মুখ কোথায় পাওয়া যায় ? বৃদ্ধ হো হো করিয়া হাসিয়া 5. الد