পাতা:প্রবাসী আশ্বিন ১৩৪৪ সংখ্যা ৬.pdf/৩৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

^ఏ8 প্রবাসী ՏNՑՅՅ উঠলেন, স্বর্থ-স্বর্থ-লোকে আমায় গালাগাল দেয়... শাপাস্ত করে বলে, মাটির মায়ায় আমি অনেক কুকাজ করেছি •••করেছিই ত...এক-শ বার - ক’রেছি...কে না করে শুনি ! দেশের রাজা থেকে দীনদুঃখী প্রজাটি পৰ্য্যস্ত। তবে আবার এত কথা কেন ! ইহাকে পাগলের প্রলাপ বলিয়া ভাবিতে পারিলাম না, বরং এর মধ্যে যে নিখুত সত্য লুকাইয়া আছে তাহা আমি মৰ্ম্মে মৰ্ম্মে উপলব্ধি করিলাম। কিন্তু ইহা লইয়া থামক কথা বাড়াইয়া নিজেকে মিথ্যা অপরাধী করিয়া লাভ কি ! দীনদুঃখী সেই অশীতিপর বৃদ্ধ“যে শুধু শক্তির অভাবে আত্মবলি দিয়াছে... সে আসিয়া আমার পথরোধ করিয়া দাড়াইল। আমি থমকিয়া দাড়াইলাম। বুদ্ধের এতক্ষণে ছস হইল। প্রকৃতিস্থ কণ্ঠে কহিলেন—থামলে কেন বাবা ? - কহিলাম—আমার যাওয়া হ’তেই পারে না। বৃদ্ধের কণ্ঠস্বরে ব্যাকুলতা ফুটিয়া উঠিল, যাবে না ? কেন ? ইয়ারকি পেয়েছ নাকি ? সে বুড়ীকে গিয়ে আমি জবাব দেব কি ! কহিলাম—ত আপনিই জানেন...সে কথা ত আমার ভাববার নয়। আমি মুখ ফিরাইয়া উন্ট পথে চলিলাম— এই একই কারণে আর এক অসহায় বৃদ্ধকে আমি মৰ্ম্মাস্তিক উপেক্ষা করিয়াছিলাম। সে কথা আমি ভুলি নাই । পোদ্দার মহাশয় ছুটিয়া আসিয়া আমার দুখানি হাত ধরিয়া করুণ কণ্ঠে কহিলেন—আমাকে ঘেন্না কর দুঃখ নেই.. ও সবাই করে, কিন্তু বুড়ী আমার বড় ভালমাহুয, তাকে উপবাসী রেখো না...বলে, একটা কানা খোড়াও যদি থাকত নিঃসন্তান কিনা বুঝলে বাবা...তাই বটা ক’রে এত আয়োজন • অদূরে জলের উপর একটা প্রচও পতনশৰ শোনা গেল। সম্ভবত মাটিভাঙার শব্দ। বৃদ্ধ কান খাড়া করিয়া শুনিলেন, পর মুহূৰ্ত্তেই আৰ্ত্তনাদ করিয়া চুটিয়া অগ্রস হইলেন, আমায় সৰ্ব্বস্বাস্ত করলে.আমায় ন করলমেরে ফেললে বৃদ্ধ পাগলের মত নদীর কিনারায় ফুট গেলেন। আমার দৃষ্টিশক্তি তাহাকে দ্রুত অনুসরণ করিল। ۔ یہ, -- " o আকাশে পূর্ণিমার গোলাকার চাদ উঠিয়াছে। বা সীমাহীন নদী-দক্ষিণে দ্বীপের একখানি পরিপূর্ণ ছবি" আঁকাবঁকা একটি সরু রাস্তা...আর আমি এই নির্জ নদীতটে দাড়াইয়া একাকী...কত কথাই ভাবিতেছি" ভাবিতেছি সভ্য জগতের কথা...ভাবিতেছি নিজে কথা... ভাবিতেছি মানব-চরিত্রের রকমারি অভিব্যক্তিৰ কথা ... পিছনে গলার শব্দ পাইলাম। ফিরিয়া দেখি শৰ্শনৰ কহিলাম—তুমি ! তোমার ত এ-সময় এখানে আসবার স্থা नमग्न ] শশীনাথ হাসিয়া কহিল—এমন যে হবে তা আষ্ট্রে জানতুম, তাই দূরে দূরে আপনাকে নিঃশব্দে অনুসরণ করেছি। চলুন••• কহিলাম—কিন্তু পোদ্দার মশাই ? শশীনাথ কহিল—আজ আর তার দেখা পাওয়া যাবে না। সবই গেছে, কিন্তু স্বভাবটা বুড়ে আজও বদলাতে পারে নি। প্রশ্ন করিবার ইচ্ছা থাকিলেও কথা বাড়াইলাম না। কহিলাম—চল। অগ্রসর হইয়া চলিয়াছি, কিন্তু অবাধ্যমে দুইটা বারে বারে পিছন ফিরিয়া বৃদ্ধকে অনুসন্ধান করিতে ছিল । শশীনাথ যত নজিরই দেখাক না কেন, একটা মোৰ আগাগোড়া ফাকির উপর তার জীবনটা কাটাইয়া দিতে পারে, এ-কথা আমি বিশ্বাস করিলাম না । কিন্তু মনের এই বিপ্লব বাহিরে প্রকাশ্ন করিলাম না। পথ চলিতে লাগিলাম, কিন্তু পোদার মহাশয় সম্বন্ধে একটা কৌতুহল লইয়া ফিরিলাম লোকটি সত্য সত্যই উন্মাদ !