পাতা:প্রবাসী আশ্বিন ১৩৪৪ সংখ্যা ৬.pdf/৩৭

হে তারকাবলি, তোমরা কি মহাশূন্যে জোনাকি কেবলি, আলোকের কীট শুধু, আঁধারে জলিছ স্পনীহারা ? তোমরা কাহারা ? ওই ক্ষীণ স্কিন্ধোজ্জল আলো কেন এত বাসি আমি ভালো ? কেন আমি প্রতি সন্ধ্যাবেলা নীরবে একেল - চেয়ে থাকি উৰ্দ্ধমুখে ? কেন ওই জ্যোতিষ্ক-জটলা করে মোরে স্বপ্নাতুর বিস্ময়ে উতল, হই আত্মহারা ? আর কিছু নও, শুধু কিরণকন্দুক, শুধু তারা ? তিমির সাগরবক্ষে লক্ষ লক্ষ আলোক-তরণী ভাসিয়া চলেছে কোথা ? ক্ষুদ্র এই মৃন্ময়ী ধরণী যুগ-যুগান্তর ধরি চেয়ে আছে কুহক-বিহবল কত লক্ষ বরফের অফুরন্ত জিজ্ঞাসা কেবল চঞ্চল করিছে তারে অন্তহীন কালে পলে পলে ! মাটির শিশুর বক্ষে তাই কি উথলে সে অনন্ত প্রশ্ন-পরম্পরা সসাগরা ধরা লভিল না যে উত্তর, সস্তান তাহার জ্যোতির্বেত্ত অভ্রান্ত গণিতে অলক্ষ্যের বক্ষ হতে সদুত্তর পরিবে আনিতে ? অজ্ঞান তিমিরে ভ্ৰণসম অন্ধঅণথি এই আমি, তবু মোরে ঘিরে মাতৃ কুক্ষি-প্রবাহিণী জীবনের ধারা, রহস্যে রহস্যে ফুলহারা উথলিছে অহৰ্নিশ নক্ষত্রের কিরণে কিরণে, কঁাপিতেছে প্রশ্নভরা জীবনের স্পন্দনে স্পন্দনে । নিশীথে . শ্রীস্থরেন্দ্রনাথ মৈত্র কি প্রশ্ন সে ? কি জিজ্ঞাসা জাগে প্রাণে অসীমের লাগি ? ক্ষুদ্র প্রাণ হয় যে বিবাণী । জানি না বুঝি না যারে কাদি তার তরে ; বুঝি যারে, জানি ষারে রহস্যসাগরে তারে আমি দিই বিসর্জন । জানি সে মরালী মোর অঙ্কুলে করিবে সস্তরণ কতু ডুবিবে না, চির পরিচয় মাঝে হবে সে অচেনা অসীম রহস্যপারাবারে । ভুমার মাঝারে হারায় সে ক্ষুদ্র সীমা, শাশ্বতী স্থষমা - তাহারে যে করে নিরুপমা । নক্ষত্র দীপালি, হতে যদি আলিসার কম্প্রশিখা দীপাবলি খালি, দীপ্তি ঢালি রাতে পরদিন নিভিতে প্রভাতে, তাহলে কি বিস্ময়ে গৌরবে হ’ত কি এ মুগ্ধ হিয়া উদ্বেলিত বাণীহীন স্তরে ? অন্তহীন দেশকালে জলে কোটি শিখ, নিকষে হিরণদীপ্তি আলোকের ঋকুমন্ত্র লিখা। অক্ষরে অক্ষরে তার বিলিথিত আলোক-পুরাণ স্বষ্টিস্থিতিলয়ে অফুরান । উৰ্দ্ধমুখে তাই থাকি চেয়ে, জু-নয়ন বেয়ে আনন্দের মন্দাকিনী ঝরে দরধারে, তারকার কিরণ-আসারে মিশে স্বতঃনিষ্যন্দিত মোর অন্তঃসলিলার বারি | মনে হয় কোটি নরহার পরি খামাঙ্গিনী নারী নগ্নবক্ষে মহাশূন্যে রয়েছে বসিয়া । থাকি থাকি কণ্ঠহার হতে তারা পড়িছে খসিয়া الحد