পাতা:প্রবাসী আশ্বিন ১৩৪৪ সংখ্যা ৬.pdf/৩৮

ԳՏՆ2 প্রবণসী ՏՎ8 উল্কাবেগে ধরাপারে খধুপরেখায়, বাষ্পীভূত বহ্নি-দীপ্তি শূন্যে গলে যায়। যদি সে ভস্মাবশেষ রত্নোপল লাগিত এ বুকে মরিতাম সুখে । প্রাণ মোর উড়ে যায় উৰ্দ্ধপানে আঁধারের পার্থী, ওই যে জলিছে তারা, তারি পানে স্থির দৃষ্টি রাখি। লক্ষ তারকার মাঝে কেন চাই তারে, কে বলিতে পারে ? প্রথম মেলিয়া অভ্যাথি যেদিন চাহিস্থ শূন্যপানে, করুণ নয়ানে স্নিগ্ধদৃষ্টি ঢেলেছিল সে কি মুখপরে বহু স্নেহভরে ? মোর সদ্য চেতনায় সে দৃষ্টি কি গিয়াছিল মিশি ? তাই প্রতিনিশি সে আমারে ডাকে ‘আয়’ ‘আয়, কিরণ-রণিত ইসারীয় ? তাই কি জীবনপথে চলিতে চলিতে মনে হয় চকিতে চকিতে, জলিছে নিভিছে যেন অন্ধকারে নক্ষত্রনিচয় এ বিপুল জনসজেঘ নিত্য যারা ভিড় করি রয় আমার চৌদিকে, কেহ চায় অনিমেষে, কেহবা নিমিথে ? নরনারী কভু নয় এরা, শুধু আলোকের বিন্দু অন্ধকারে ঘেরা জটলা বেঁধেছে চারিধারে, ভেসে যায় কাতারে কাতারে তিমির সাগরচক্রবালে। সেই জনতার মাঝে কে যেন কিরণ-ইন্দ্রজালে বন্দী করে মোরে, কী অটুট ডোরে পড়ি বাধা নয়নে নয়নে । - . \ ওই সন্ধ্যাতারাসম দিগন্তের স্বদুর গগনে भरन इग्न डॉटब, f নিশাস্তের শুকতারকারে কেন স্মরি, সে যখন অচল নয়ানে চাহে মুখপানে ? N তোমরা ত নয় শুধু তারা, তোমরা যে অনস্তের আলোক-ইসার মরতের প্রাণে । নও শুষ্ক জালাময় জ্যোতিষ্কমণ্ডলী নিশাস্তে নিভিয়া যাও সারা নিশি জলি । তোমরা পেয়েছ প্রাণ নরজন্মে এ মোর অন্তরে গৃঢ় চিদম্বরে। * বৃস্তহার অবন্ধন আলোকের ফুল, শূন্যেও গতিতে বদ্ধমূল। তাই তোমাদের মাঝে ফিরি আমি আত্মীয়-সভায় যাদেরে বেসেছি ভালো তারা দীপ্তি পায় তোমাদের মাঝে । রণিয়া রণিয়া বীণা বাজে তোমাদের কিরণে কিরণে প্রাণের গহনে ৷ বহু স্মৃতি অনুভূতি বিস্ফুরিত ফেনোচ্ছাসরাশি তোমরা ষে, হৃদয়ের মহাশূন্যে উঠিতেছ ভাসি। নভোনীলে ভাসমান আলোকের দীপপুঞ্জ নহ, দরিয়ায় ভাসায়েছি জালিয়া যে প্রদীপনিবহ ভোমরা তাহার, নহ শুধু গগনের ক্ষুদ্র গ্ৰহতারা।