পাতা:প্রবাসী আশ্বিন ১৩৪৪ সংখ্যা ৬.pdf/৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রচলিত দণ্ডনীতি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আজ একটি বিশেষ নির্দিষ্ট দিনে বন্দীদের দুঃখে দরদ জানাবার জন্যে তোমরা সভা আহবান করেছ । সম্প্রতি আমাদের দেশে বিশেষ উপলক্ষ্যে বিশেষ দিনে দল বেঁধে আন্দোলন করবার একটা রীতি দাড়িয়ে যাচ্ছে। তাতে কিছুক্ষণের জন্যে নিজেদের নালিশ উপভোগ করবার একটা নেশায় আমাদের পেয়ে বসে। সেটার রাষ্ট্ৰীয় সার্থকতা যদি কিছু থাকে তো থাকু কিন্তু ক্ষণে ক্ষণে এই রকম পোলিটিকাল দশা পাওয়ার উত্তেজনা উদ্রেক করা আমাদের এথানকার কাজের ও ভাবের সঙ্গে সঙ্গত হয় ব’লে আমি মনে করি নে। দেশের বিশেষ অনুরোধে ও প্রয়োজনে আমার যা বলবার সে আমি আশ্রমের বাইরে যথোচিত জায়গায় বলেছি, আজ আমার এখানে কিছু যদি বলতে হয় তবে আমি বলব প্রচলিত দগুনীতি সম্বন্ধে আমার সাধারণ মন্তব্য । মনে আছে ছেলেবেলায় পুলিসকে একটা প্রকাও বিভীষিকা বিভাগের অন্তর্গত ব’লে মনে করতুম। যেমন স্বাভাবিক মানবজীবনের সঙ্গে দৈত্য দানব ভূত প্রেতের সহজ সামঞ্জস্য নেই এ যেন সেই রকম। তাই তখন মনে করতুম চোরও বুঝি মানুষজাতির স্বভাবগণ্ডির অভ্যস্ত বাইরেকার বিকৃতি। এমন সময়ে চোরকে স্বচক্ষে দেখলুম, अभिाप्नबई दाफ़ि cथरक अडाख खख श्ध्न नहब्रांप्रांनरन्त्र লক্ষ্য এড়িয়ে পালিয়ে যাবার চেষ্টা করছে। বিস্মিত হয়ে দেখলুম, সে নিতাস্ত সাধারণ মানুষেরই মতে, এমন স্কি তার চেয়ে দুর্বল । আমার সেদিনকার চমক আজো ভাঙবার সময় আসে নি। যারা যে কারণেই হোক আইন ভেঙে অপরাধীর শ্রেণীতে গণ্য হয়েছে তাদের সম্বন্ধে এমন একটু সংস্কার বদ্ধমুল হয়ে গেছে যে তাদের প্রতি অমানুষিক ব্যবহার করতে মন বাধা পায় না। ধরে রেখেছি তারা t - আমাদের মতো নয়, আর যারা আমাদের মতে তাদের প্রতি আচরণ অত্যাচার হয়ে উঠলে চর সমাজেরই যেন সমর্থন পাওয়া যায়। সমাজের श्रू षतः। যে নির্দয় প্রবৃত্তি আছে তাই চরিতার্থ করবার উত্তৰ হয়ে ওঠে এরা । আমার আর একটি অভিজ্ঞতার কথা বলি, এ ছন্ন পরের বয়সে। একদিন কোলকাতার রাস্তায় যেতে ৱে দেখলুম, পুলিস এক জন আসামীকে—সে অপরাধ জন থাকতেও পারে নাও পারে—কোমরে দড়ি দিয়ে স্থা টেনে নিয়ে চলেছে সমস্ত রাস্তার জনতার মাঝখান নি মানুষকে এমন জন্তুর মতো করে বেঁধে নিয়ে যাওয়া এর আমাদের সকলেরই অপমান। আমার মনে এটা এ যে লেগেছিল তার একটা কারণ এ রকম কুদৃগু আন ইংলণ্ডে বা যুরোপের আর কোথাও দেখি নি। এর st দুটো আঘাত একত্রে ছিল—এক হচ্ছে, মানুষের । অপমান, আর এক, বিশেষভাবে আমার মেলোকের প্রতি অপমান, এক হচ্ছে আইন ভাঙা অগst প্রতি নির্দয়ত, আর এক; আমাদের স্বদেশীয় অগst প্রতি অবজ্ঞা । সুতরাং সেই অবজ্ঞার ভাগী আমরা সৰন আমাদের দেশেই বিধিনির্দিষ্ট দণ্ডপ্রয়োগের অতিরি অপমান প্রয়োগ সমস্ত জাতকে লাঞ্ছিত করে। ای নির্দয় প্রণালী যে কার্যকরী এই ধারণ বর্বর গ্রুঞ্জ স্বভাবসঙ্গত। পাঠশালা থেকে আরম্ভ করে পাগলাগাং। পর্যন্ত এর ক্রিয়া দেখা যায়। এর প্রধান কারণ মানৱ মনে যে বর্বর মরে নি নির্দয়তায় সে রস পায়। সভা কে সেই রসসম্ভোগের স্থান সংকীর্ণ হয়ে এসেছে। তার নাম কালক্রমে মাহুষ খানিকটা সভ্য হয়েছে, সেই খান-২ সভ্য মানুষ আপনার ভিতরকার বর্বর মানুষকে লৱ দেয় এবং সংযত করে। যেখানে সেই সংযমের দাং নেই সেখানে বর্বর সম্পূর্ণ ছাড়া পায়, নির্দয়তাই বৈ ৷ l