পাতা:প্রবাসী আশ্বিন ১৩৪৪ সংখ্যা ৬.pdf/৪০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

o নামে প্রচলিত আইনে শাসিত o ԳՏԵ করিয়া পুরাতন স্ত্রীকে অসহায় ও অকমণ্য করিয়া দিতে পারে । পুরুষের যদি অর্থের সচ্ছলতা থাকে তবে মামলা করিয়া স্ত্রী কিঞ্চিং ভরণপোষণ পাইতে পারেন-তাহ ছাড়া কোনও ধরণের স্বাধীনত। অর্জন বা ভোগ করিতে পারেন না; তবে স্বৈরিণী হইলে পারেন, কিন্তু সে ধরণের অবস্থার কোন বিচার এ-প্রবন্ধে করিব না, আর নবনারীরাও সে ঘৃণিত অবস্থার বিচার করা অতি হের কাজ মনে করিবেন। যাহাদের বিবাহ হয় নাই, কিন্তু আইনের বিধানে হইয়াছেন বালীগ, তাহারা জিজ্ঞাসা করিতে পারেন— বিবাহের এমন অনুষ্ঠান আছে কি-না যাহাতে কোন-একটা বিশিষ্ট ধর্মে দীক্ষা না লইয়া, আর আপনাদের জন্মফলের জাতীয়ত্ব বা ‘হিন্দুত্ব বজায় রাখিয়া ব্যক্তিনিষ্ঠ প্রাকৃতিক স্বাধীনতা ক্ষুন্ন না করিয়া বিবাহ করা চলে। উত্তরে বলিব—আইনের বিধানে এইরূপ অনুষ্ঠান আছে। যাহার শোনা-কথায় এই বিষয়ের আইনের নাম শুনিয়াছেন, তাহাদের হয়ত মনে পড়িতে পারে—১৮৭২ অব্দের তিন আইনের নাম, সেই আইনের বিকল্পে রচিত আইনের নাম, যাহা ব্যারিষ্টার গৌরের উদ্যোগে পাস হুইয়াছে। এই দুইটি আইনের ব্যবস্থাতেই বিবাহ হয় একনিষ্ঠ, অর্থাৎ বিবাহিতেরা খামখেয়ালিতে একে অন্তকে ছাড়িয়া নূতন বিবাহ করিতে পারেন না,--স্ত্রীকে আইনের ব্যবস্থায় গোলামির বোঝা বহিতে হয় না। কোন বিশেষ-বিশেষ কারণে এই দুই আইনের ব্যবস্থায় আপত্তি না থাকিলেও কেহ-কেহ সরকারী আইনে বিবাহ রেজেষ্ট্রি করা উচিত মনে করেন না ; তাহদের আপত্তির বিচার অল্প দুই-একটি কথার বিচারের পরেই করিতেছি। প্রথমে উল্লিখিত আইন দুইটির কোন-কোন ব্যবস্থার তুলনায় ; বিচার করিব । গৌর মহাশয়ের উদ্যোগে বিধিবদ্ধ আইনের নিয়মে বিবাহিতেরা ডাক ছাড়িয়া বলিতে পারেন—তাহার হিন্দু: , সেখানে শব্দের অর্থ যাহাঁই হোক। এই আইনে বিবাহিতেরা ও তাহাদেব সন্তানেরা কিন্তু সম্পত্তির অধিকার উত্তরাধিকার প্রস্থতিতে হিন্দু ল হইবেন না,— \.

  • -

\. প্রবাসী SN088 শাসিত হইবেন সেই আইনে যাহাতে এদেশবাসী বিষ্ট্রে আর খ্ৰীষ্টিয়ানেরা শাসিত হন। তাহা ছাড়া এই আল্ল বিবাহিত পুরুষের পিতা ইচ্ছা করিলেই তার স্থা পোষ্যপুত্ৰ লইতে পারেন। ১৮৭২ অশের গোড়ীম্বর আইনে যাহারা বিবাহিত হন, তাহারা কিন্তু শান্ত্ৰি হইতেছেন পাকা রকমে হিন্দু ল অনুসারে, অর্থাং ‘জাতিতে (ব্রাহ্মণ্য-বিধানের বর্ণে নয় ) হিন্দু বলিয় ৰীক্ষ হইয়া। কোনও বিবাহিতের পিতা ব্রাহ্মণ্যধৰ্ম্ম না-মান দরুন বিবাহিত পুত্রের স্থলে পোষ্যপুত্ৰ লইতে পারেনন গোড়াকার তিন আইনের বিধানে বলিতে হয়—বিবাহিন্ত্ৰে হিন্দু রিলিজন মানেন না ; অর্থাৎ যে সনাতন ীি বা অনুষ্ঠানে আছে ব্রাহ্মণের প্রাধান্য আর যাহাতে বিবান্ত্ৰি পুরুষ ইচ্ছা করিলেই বহু বিবাহ করিতে পারেন জার সেই ধৰ্ম্ম বা রিলিজন মানেন না। ইহা না মানায় তাহার জাতীয়ত্বের নামের হিন্দুত্ব হারান না আর কোনও গ্রাম আইনগত অধিকার হইতে বঞ্চিত হন না। গৌর মহাশনে প্রবর্তিত বিধানে ডাক ছাড়িয়া হিন্দু নাম জারি করিলেও বন্ধ অধিকারে বঞ্চিত হইতে হয়, ইহা বলিয়াছি। গোড়া একথাও বলিয়াছি যে, উভয় আইনের বিবাহেই স্ত্রীজাতির স্বাধীনতা তুল্যরূপে বজায় থাকে। গোড়াকার তিন আইন সম্বন্ধে অনেক শিক্ষিতদের মধ্যেও এই ভুল ধারণা চলিত আছে যে এই আইন ব্রাহ্মান বিবাহের আইন,—যদিও আইনের মধ্যে কোথাও ব্রাহ্মধৰ্ম্মে নামগন্ধ নাই। ব্রাহ্ম-সম্প্রদায়ে না জুটিয়া নিজেদের স্বাধীন মত বজায় রাথিয়া এই আইনের মতে বিবাহ কৰিলে জাতীয়ত্বের হিন্দুত্ব ও একনিষ্ঠ বিবাহ রক্ষা করা চলে, তাই বুঝাইলাম। এখানে উল্লেখ করি—যুক্তপ্রদেশের এলাহাৰা। প্রভৃতি অঞ্চলে কয়েক জন অতি বিখ্যাত বনিয়াদি ব্রাক্ষবংশের লোক প্রথম কিস্তির তিন আইন অনুসারে ছেলেমেয়েদের বিবাহ দিয়াছেন। ইহারা ব্রাহ্ম নন বা ব্ৰাক্ষ সম্প্রদায়ের সঙ্গে যোগ রাখেন না ; কেবল তাহীদের মড়ে এই বিবাহে অাদর্শ একনিষ্ঠ বিবাহ সম্পাদিত হয় বলিয়াই ঐ আইন অবলম্বিত হইয়াছে। - সরকারী আইনে রেজোষ্ট্র করিয়া বিবাহ করায় জনকস্তত্ব লোকের আপত্তি আছে ; এখন সেই আপত্তির বিচার |