পাতা:প্রবাসী আশ্বিন ১৩৪৪ সংখ্যা ৬.pdf/৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

- আশ্বিন মেঘকন্ত ।

  • ひゞ

হয়। না-হয় জলে ভিজেই হ’ল । কেমন জল পড়ছে ছে না। " * রাণী জানাল দিয়ে হাত বাড়িয়ে দিল । সমস্ত মন ষ্ট্রে কল্যাণীর খবণ্যে আর প্রাবল্যে উপচে উঠেছে, খুশীতে ভরে উঠেছে সমস্ত প্রা, —দূেহে লেগেছে শিহরণ। মুকুমার ধমক লাগাল—আবার তুমি জলে ভিজছ ? —বা! একে বুঝি ভেজ বলে ? শিশুর মত সচকিত হয়ে কল্যাণী বলত, এই ত মোটে দুটে ফোট পড়েছে হাতে। দেব না এসে, মোটে ত দুটে ফোটা। অনুনয় ক’রে দাবারের ভঙ্গীতে আবার বলতে লাগল—তুমিও এস না, হাত দিয়ে ধরতে কি চমৎকার লাগে—এতেই ত বেশী মজা । অবসন্ন ভাবে স্বকুমার বলল—তোমাকে নিয়ে কিছুতেই পারা যায় না। আবার দেখছি অস্থখ টেনে আনবে। দামাকেই ত পোয়াতে হবে হাঙ্গামা। এখানে এসে ব’স বীট, কটা দিন যাক। আগে ভাল ক'রে ভাল হয়ে ওঠ । তার পর যা খুশী ক’রে কিছু বলব না। মুখ ভার ক'রে কল্যাণী এসে স্থকুমারের কাছে বসল। পরের দিন সুকুমার আপিস থেকে ফিরে এসেই শুনল, কল্যাণী বাড়ী নেই। মা বললেন, এত ক’রে বললাম এই দল-বড়ে বেরিও না বোমা কোথাও । শোনে কি আমার কথা ? -কোথায় গেল ? —কি জানি, এই জলের মধ্যেই চ’লে গেল। জল দেখলে যেন মেয়েটা লাফিয়ে ওঠে । –ত কোথায় গেছে বলল না কিছু । —কে জানে। ওর এক বন্ধুর কাছে না কোথায় । —তুমি বারণ করলে না কেন ? —তুই কি যে বলিস স্বকু ! মা অবাক বিস্ময়ে বললেন, বারণ করি নি ? কত ক'রে বললাম, ষেও না বেীমা, যেও ন, এই বাদলার মধ্যে যেও না, শুনল কি ? পা জড়িয়ে ধরে বলল—এক্ষুনি আসব মা । ওকে ব’লে না, ওর আসার আগেই ফিরব । সুকুমার ছাতার সন্ধান ক’রে বলল—একটা ছাতাও নিয়ে স্বায় নি। বর্ষাতিও ত ছিল। কেমন যে মেয়ে । E ՂաՆ) o - - - لا মা বললেন—ষাট ! ও আমার লক্ষ্মী মেয়ে। চব্বিশ ঘণ্টা ঘরে আটকান থাকে—একটু বেড়িয়ে আসতে গেছে, না করতে পারলাম না । —তা ছাতা নিয়ে গেলেই ত পারত। —তা কি জানি বাপু ! কি যে দিনকাল হয়েছে। ছাতা নিয়ে কেউ বেরতে চায় না। স্বকুমার গজ গজ করতে লাগল—এতগুলো লোক বাড়ীতে, আর কারও খেয়াল নেই। এই সেদিন উঠল অস্থখ থেকে—এরই মধ্যে ছেড়ে দিল। আর কল্যাণীটাও হয়েছে তেমনি, মায়ের কোলে উঠে, প৷ জড়িয়ে কত কায়দাই না যে জানে। স্বকুমার যেন কল্যাণীকে নিয়ে দস্তুরমত ঘেমে উঠেছে। স্বকুমার বিবর্ণ মুখে স্তন্ধ হয়ে বসে রইল। ছোট বোন মিলুর স্কুলের গাড়ী এসে পৌছতে-ন-পৌছতে সে লাফিয়ে এসে ঘরে ঢুকল—বোঁদি । ঘরের মধ্যে বৌদিকে দেখতে না পেয়ে বলল—বৌদি কোথায় দাদা। —জানি নে ৷ —মার ঘরে ? —বলছি জানি নে—তবু মার ঘরে । বিকৃত স্বরে মিষ্ণুরই কথার প্রতিধ্বনি ক’রে বলল—মার ধরে ! মিনু ঠোঁট উলটিয়ে বলল—বারে! তুমি মিছিমিছি অামায় বকছ কেন ? স্বকুমার নিস্তেজ হয়ে পড়ল। সব মেয়েদের রকম দেখছি এক, কিছু না বলতেই ছোট বোনটা পৰ্য্যস্ত ক্ষেপে উঠেছে। না, আর টিকতে দেবে না কেউ ! অগত্যা গল! নামিয়ে সুকুমার বলল—বোঁদিকে কেন ? —দরকার আছে । —দরকার আছে, মুকুমার বলল, দরকার আছে সে ত বুঝতেই পারছি। কি দরকার ? মিছ বললে—রবি ঠাকুরের দুটাে নূতন গান বেরিয়েছে। বৌদি আমায় লিখে আনতে বলেছিল । —এনেছ ? মিনু একটা কাগজ বার করে বললে—এনেছি। —বেশ করেছ। / &