পাতা:প্রবাসী আশ্বিন ১৩৪৪ সংখ্যা ৬.pdf/৫৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রবণসী نخستوا ডিমের খোলার আশেপাশে পড়িয়া রহিয়াছে। সাধারণ পাইথনের বাচ্চা হইতে এগুলি অপেক্ষাকৃত বড় ও ভারী ছিল । পরে আর একটি পোষ পাইথনের বাচ্চ হুইয়াছিল, সেগুলি এত বড় ও ভারী হয় নাই । ডিম ফুটিয়া বাহির হইবার পর হইতে ইহার নিজেরাই নিজেদের ব্যবস্থা করিয়া লয়। এই দুইটি পাইথনের মধ্যে প্রথমটির বাচ্চাগুলির স্বাভাবিক সংস্কার অতি শীঘ্রই আত্মপ্রকাশ করিয়াছিল—তাহদের কাছে একটু হাত নাড়িলেই রাগে ফুলিয়া উঠিয়া পরিণত সাপের মতই ছোবল মারিত। দ্বিতীয়টির বাচ্চাগুলি অপেক্ষাকৃত ঠাণ্ড মেজাজের ছিল। তাহদের মধ্য হইতেই একটাকে বাছিয়। রাখিলাম। এই বাচ্চাটাকেই পরে বেঞ্জামিন নাম দিয়াছিলাম। এইগুলি পুষিবার এক অসুবিধা— ইহারা যখন-তখন কামড়াইতে চেষ্টা করে ; কিন্তু এই বাচ্চাগুলির দাত এত ছোট যে চামড়া বিদ্ধ করিয়া আর বেশী দুর বসিতে পারে না । দুইটি পাইথনের এই চল্লিশটি বাচ্চাকে প্রতিদিন আহার জোগান সভ= -৮।প নহে—কাজেই ডজন-খানেক বাচ্চ রাখিয়া বাকীগুলিকে বোতলে ভরিয়া সুরক্ষিত করা হইল । দুই তিন দিন পৰ্য্যন্ত অতি সন্তপণে এইগুলিকে কাধে, পিঠে মাথায় চড়াইবার ফলে দেখা গেল যে ইহাদের হিংস্র স্বভাব অনেকটা দূর হইয়াছে। দু-চারটা কামড় যে আমন্স খাই নাই তাহা নহে ; কিন্তু তাহাতে পিন-ফোটার চেয়ে বেশী যন্ত্রণ বোধ झ्त्व नाङ्गे । স্বাধীন অবস্থায় এই বাচ্চাগুলি যে কি খাইয়া জীবন ধারণ করে তাহা আশ্চর্য্যের বিষয়, কারণ উপযোগী খাদ্য দিয়া দেখা গেল তাহারা খাইতে চায় না । অবশেষে জোর করিয়া খাওয়াইবার ব্যবস্থা করিতে হইল। কতকগুলি ব্যাং টুকর টুকরা করিয়া কাটিয়া লইলাম। এক জন পাইথন-শিশুর মাথা ও লেজ দুই হাতে ধরিয়া থাকিত, আর এক জন সাড়াশি দিয়া ই করাইয়। তাহার মধ্যে ব্যাঙের টুকরাগুলি আস্তে আস্তে ঢুকাইয় দিত। তার পর ধীরে ধীরে বাহির হইতে গলায় হাত বুলাইয়। খাদ্য উদরের মধ্যে ঠেলিয়া দেওয়া হইত। কিন্তু পরে দেখা গেল, একটা বাচ্চ সমস্ত খাদ্য উদগীরণ করিয়া ফেলিয়াছে এবং অপরগুলিও ঐরূপ করিবার চেষ্টায় আছে । তখন আবার নূতন ব্যবস্থা করিতে হইল—পূৰ্ব্বোক্ত উপায়ে খাওয়াইবার পর তgua গলার চতুদিকে এক একটি ফিতা বধিয়া রাখিলাম, যেন ভূক্ত দ্রব্য উদগীরণ করিতে না পারে । পরে বুঝিতে পারিয়াছিলাম-ব্যাঙের ছিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ অপেক্ষ এক জাতীয় ছোট ছোট মাছই ইহারা সহজে জীর্ণ করিতে পারে। মাস-দুই পরে জোর করিয়া খাওয়ানো বন্ধ করিয়া श्रील्लात्र भट्वा खैौदख ईश्व छुष्ञिा निपड नाशिनाभ । श्रा-5र्था ইংদের লকার ধরিবার সহজাত সংস্কার । কমন করিয়া শিকার ধরিতে হয় কখনও তাহ চোখে না দেখিলেও খাচার মধ্যে ইনটি কেলিবামাত্রই ছুটিয়া আদি ধরিয়া সঙ্গে সঙ্গে লেজ দিয়া ुंवत्र नोत्र बच्चाइँथ्रा 4भन °" ?' দিল যে ইদুরের "ীল। - देिय इदेश । - -| است. এদিকে ক্রমশ: এতগুলি প্রাণীর আহার সংগ্ৰহ o, সমস্যা হইয়া উঠিল । কাজেই উহার মধ্য হইতে কত। * ব্যবস্থা করিয়া আটটা মাত্র রাখিলাম। এই আটটি অজগরে o জোগানও সহজ ব্যাপার নয়। এত ইছর পাওয়া যায় কোণ্ড । বর্ষার সঙ্গে সঙ্গে ব্যাণ্ডিকুট নামক বিড়ালের মত ড্র এক জাতে ইন্ধ । পাওয়া গেল । ব্যাশুিকুট একটা বিদকুটে ভয়াবহ জানোয়া- গায়ে ভালুকের মত লোম ও শূকরছানার মত ঘোং ধো শৰ করে । এইরূপ একটা পূৰ্ণবয়স্ক ব্যাণ্ডিকুটকে সাপের খাচার মন । ছাড়িয়া দিতে ইতস্তত: করিতে লাগিলাম। যদি এটাই সাগর আক্রমণ করে ? হয়ত এটা আক্রমণ করিলে প্রায় দুই হাতেৰে । বেশী লম্ব একটা পাইথনের পিঠ ভাঙিয়া দিতে পারে। আবাৰ । মনে হইল—পাইথনের মত একটা হিংস্র প্রাণীর আত্মরক্ষা কৰি । পারা উচিত। ভাবিয়া চিন্তিয়া শেষে ব্যাণ্ডিকুটটাকে খাচা মন্ত্ৰ ছাড়িয়া দিলাম। একটি ছাড়া অন্য সাতটি সাপই ফোস ফোম শৰ । করিয়া খাচার চতুর্দিকে নড়াচড়া করিতে লাগিল। অন্তটি । ইহা । নাম রাখিয়াছিলাম জ্যাকব ) কিন্তু শত্রুর উপর কড়া নজর রাৰিছ অতি সন্তপণে ধীরে ধীরে অগ্রসর হইতে লাগিল। তখন বাওঁফুট আসন্ন বিপদ বুঝিতে পারিয়া, লাফাইয়া উঠিবামাত্রই জাক বিয়েবেগে ছুটিয়া গিয়া তাহাকে শূন্যেই ধরিয়া ফেলিল। তার নৱ তাহার শরীরের চতুর্দিকে লেজ জড়াইয়া ফেলিয়া আছে তি প্যাচ কৰিতে গগিল। কয়েক মিনিটের মধ্যেই ব্যাণ্ডিকুল - ঝুলিয়া পড়িল, সব মাথার দিক হইতে আর কক্ষ শিকারটাকে আস্তে আস্তে গলাধঃকরণ করিয়া ফেলিল । কেহ যেন মনে না করেন ইহারা আমাদের একদিনৰ কামড়ায় নাই । কিন্তু কামড় খাইয়াছি প্রায়ই আমাদের নিজেৰ দোষে । একটি সাধারণ ভুল হইতেছে—পাইথনের মুখের কাছে সোজাসুজি হাত বাড়াইয়া দেওয়া । কারণ ইহাদের গান সংস্কারই এই যে, কোন কিছু সম্মুখে উপস্থিত ठुझेtज३ ३३ কামড়াইবে নয় জড়াইয়া ধরিবে । এ কথাটা সৰ্ব্বদাই স্মরণ রাখা উচিত যে পোষী অজগsেs কামড়াইলে তাহাদিগকে সেজন্য মার বা শাস্তি দেওয়া অন্নতি কারণ দোষ তাছাদের নয়, আমাদেরই। তাহদের স্বভকতি বিশেষ ভাবে লক্ষ্য করিতে হইবে ; কারণ তাহাদের যতাত সাধারণতঃ অনুরূপ অবস্থায় বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন রূপ হয় না। কাজেই একটু ভুল করিলেই সঙ্গে সঙ্গে খেসারৎ দিতেই ফুৰে। দৃষ্টান্তস্বরূপ, ইহাদের কটি স্বভাবের কথা বলা যায়-বায়নি দিলেই ইহার o ফণী তুলিয়া ছোবল মারিত্বেই মারিবে । সকল অজগরের আহারে রুচি এক প্রকার নাই । জ্যাকব ছিল খাওয়ার বিষয়ে কতকটা খুতখুতে মেজাজের—তাইৰ পছন্দমত খাবার না হইলে সহজে রুচিত না ; কিন্তু তাইৰ তুলনায় সাইমন ( অপর একটি পোষা পাইথন-বাচ্চা) ছিল সৰ্ব্বভূক—জীবিত কি মৃত সবই সে গলাধঃকরণ কৰি অবখ্য, মৃত হইলেও সেটা টাটক না হইলে চলিত । কেবল একটা জিনিষকে সে পছন্দ করিত না–কুকুর-ই