পাতা:প্রবাসী আশ্বিন ১৩৪৪ সংখ্যা ৬.pdf/৫৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Ե-ՏՏ প্রবাসী একটা পাইথনকে সপ্তাহে একটা মুরগী অথবা একটা খরগোস দিলেই সে একরূপ সতেজ থাকে। একবার একটা শিকার উদরস্থ হইলেই অজগর কুণ্ডলী পাকাইয়া, খাদ্যবস্তু পরিপাক না হওয়া পৰ্য্যন্ত চুপ করিয়া পড়িয়া থাকে। এই ব্যাপারে প্রায়ই সপ্তাহ থানেক, সময় সময় তারও অধিক দিন লাগিয়া থাকে। পার্থীর বড় বড় শক্ত পালক ছাড়া হাড়, ঠোঁট, নখ ও অন্যান্ত কোমল পালক প্রভৃতি ইহাদের উদরের পাচক রসে একেবারে ভস্মীভূত হইয়া যায়। মোটের উপর ইহার। যাহ। গলাধঃকরণ করিয়া থাকে তাহা হইতে বিন্দু পরিমাণ খাদ্যবস্তুর অপচয় ঘটে না ; উহাদের পরিপাক-যন্ত্রের এমনই ক্ষমতা যে অসারবস্তু হইতেও শরীর পোষণোপযোগী জিনিষ আহরণ করিয়া লইতে পারে। গিলিবার শক্তি ইহাদের অসাধারণ । যে সাপের গলার ব্যাসের পরিমাণ দুই ইঞ্চি সে অনায়াসেই তাহার চাব পাচ গুণ বেশী মোটা একটা খরগোসকে গিলিয়া ফেলিতে পারে । কস্মসেরিয়াম বহুদিন পূৰ্ব্বে ‘প্রবাসী এবং অন্যান্য পত্রিকায় প্ল্যানেটেরিয়ামের বিরাট জটিল যন্ত্রের কথা আলোচিত হইয়াছিল। আকাশে গ্রহনক্ষত্রাদির তুলনামূলক গতিবিধি হুবহু চক্ষের সম্মুখে দেখিবার জন্য ইউরোপ ও আমেরিকার কয়েকটি স্থানে এই বিরাট যন্ত্র স্থাপিত হইয়াছে। সম্প্রতি পিটার জে. বিটারম্যান, প্ল্যানেটেরিয়ামের ধরণে কসমসেরিয়াম নামে এক বিপুলকায় যন্ত্রের পরিকল্পনা করিয়াছেন । এই যন্ত্রের মডেলটি সম্প্রতি নিউইয়র্কের হেডেন প্ল্যানেটেরিয়ামে প্রদর্শিত হইয়াছে। শূন্যের মধ্যে পৃথিবী কি ভাবে অবস্থান করিতেছে তাহ, এবং তাহার ঘূর্ণনের ফলাফল, কস্মসেরিয়াম দেখিয়া সাধারণ লোকেরাও অতি সহজে উপলব্ধি করিতে পারিবে । অসীম শূন্যের মধ্যে ২০,০০০ মাইল দূরে থাকিয়া পৃথিবীর দিকে চাহিলে যেরূপ দেখায় এই কস্মসেরিয়ামটি ঠিক সেরূপ ভাবে নিৰ্ম্মিত হইয়াছে । কংক্রিট-নিৰ্ম্মিত একটি বিশাল গম্বুজের মধ্যে ১০০ ফুট ব্যাসবিশিষ্ট আর একটি প্রকাণ্ড গোলাকার স্থান আছে। এই গোলাকার স্থানটি পৃথিবীর চতুর্দিকস্থ অসীম শূন্যের প্রতীক। ইহার মধ্যস্থলে ২০ ফুট ব্যাসবিশিষ্ট একটি গোলক পৃথিবীর শূন্যে অবস্থানের মত নিরালম্ব ভাবে রহিয়াছে বলিয়া প্রতীত হয় । ঠিক যেন তারকাখচিত আকাশের মধ্যে পৃথিবী আপন মেরুদণ্ডের উপর আবৰ্ত্তন করিতেছে ; বাহিরের গম্বুজ ও 醫 o, to o 醬 靂凳 o o--- --> ー o

  • 、菸荃三型 -- * * * * 磁鑫 - F王

so-o কস্মসেরিয়াম ভিতরের এক শত ফুট ব্যাসবিশিষ্ট গোলাকার স্থানের মধ্যস্থলে কুণ্ডলীর মত দুইটি অবরোহণ চতুর্দিক ঘিরিয়া আছে। এই অৰরোহণীর বিভিন্ন স্থানে অবস্থান করিয়া দশকের বিভিন্ন উচ্চতা হইতে পৃথিবীর ঘূর্ণনের ফল প্রত্যক্ষ করিতে পারবে। আমন্ত্র যেমন চন্দ্রের হ্রাসবৃদ্ধি দেখিতে পাই, সেইরূপ স্বৰ্য্য হইতে আলো আসিয়া পৃথিবীর কোন অংশ কিরূপ ভাবে আলোকিত হয় তাহা, এবং তাহার ফলে বাহির হইতে চন্দ্রের ন্যায় হ্রাসবৃদ্ধি ও অম্ভাৰ অবস্থা অতি সুস্পষ্টভাবে পরিলক্ষিত হইবে। গোলকের উপৰ শহর-বন্দর, নদনদী সমানানুপাতিক ভাবে অঙ্কিত আছে। হইতে পরিষ্কার ভাবে দেখিবার জন্য চতুর্দিকেই বাইনোকুলাৱেৰ ব্যবস্থা আছে। f গ্রীগোপালচন্দ্র ভট্টাচাৰ্য্য