পাতা:প্রবাসী আশ্বিন ১৩৪৪ সংখ্যা ৬.pdf/৫৯

- সেতু শ্ৰীস্থধানন্দ চট্টোপাধ্যায়, বি-এসসি, বি-ই ইহ নদী, ক্ষুদ্র জলধারা কিংবা পথের উপর দিয়া রাজপথ ক্তির রেলপথ নিৰ্ম্মাণের গঠনই সেতু বা পুল। সমুদ্রমধ্যস্থ দুই দ্বীপের সংযোজক গঠনকেও সেতু বলা হয়, আবার বং নালার উপর কোন গঠনকে ক্ষুদ্র সেতু বলে । দেহু নদীর ঠিক কোন স্থানে অতিক্রম করিবে এবং সেতুর বাহিক আকৃতি কিরূপ হইবে, এই দুইটি বিষয় সেতু-নিৰ্ম্মাণে প্রেথম লক্ষণীয়। আকৃতিনির্ণয়ের সঙ্গে সঙ্গে সেতুর নিৰ্ম্মাণের এবং সংরক্ষণের ব্যয়ও স্থির হয়, সেই সঙ্গে দেহুর আয়ু-নিরূপণও প্রয়োজন। কিরূপ আকৃতির দেকুর কিরূপ স্থায়িত্ব তাহা অভিজ্ঞতা দ্বারা জানা গিদাছে। স্থাপত্য-বিদ্যার দিক দিয়া সেতুর বাহ্যিক রূপের প্রতি ইঞ্জিনিয়ারদের লক্ষ্য রাখিতে হয়। সেতুর মূল্য নির্ভর করে প্রথমতঃ উহার উপরের গঠনকার্য্যে—প্রকৃত দেহু বলিতে সাধারণে যাহা বুঝিয়া থাকে ; দ্বিতীয়তঃ, নিয়ের গঠনকার্য্যে—স্তম্ভ এবং ভিত্তি প্রস্তুতকরণে। যাহারা সেতুর উপর দিয়া নিত্য গমনাগমন করেন, ঠাহীদের মধ্যে অল্প লোকই জানেন, যে, সেতু-নিৰ্ম্মাণের মোট ব্যয়ের প্রায় অৰ্দ্ধেক কি তদধিক অর্থ ব্যয়িত হয় সেতুর ভিত্তিতে ও নিয়ের গঠনকার্ধ্যে। সাধারণের অর্থ এইরূপ ভাবে যাহারা মৃত্তিকার মধ্যে প্রোথিত করেন সেই ইঞ্জিনিয়ারদের দায়িত্ব কম নহে। রেলপথ কিংবা যানপথ সেতুর বিভিন্ন অলে অবস্থিতি অনুযায়ী সেতুকে তিন শ্রেণীতে বিভক্ত করা যাইতে পারে— ১। শিরোনাম শ্রেণীর বা ডেক শ্রেণীর (Pee" ); ২ । অৰ্দ্ধমধ্যগামী শ্রেণীর ( Half through ), ৩। পূর্ণমধ্যগামী শ্রেণীর (Full through ) | শ্ৰেণী-বিভাগের আলোচনার পূৰ্ব্বে গোড়ার কথা একটু অবতারণা করি। ছাদের ভার গ্রহণের জন্ত কাঠের কড়ির স্থলে বর্তমানে লোহার কড়ি দেওয়ার অত্যধিক প্রচলন। এই কড়িগুলি সাধারণত ইংরেজী I-এর আকৃতির মত। অর্থাৎ উপরে ও নীচে চেপটা পাত এবং মধ্যস্থলে একটি সরলোন্নত দণ্ড বা গ্রীবা। উপরের পটটিকে শির এবং নিমের পাটটিকে নিম্নশির বা স্কন্ধ এই আখ্যা দিব। সেতুনিৰ্ম্মাণে দুইটি সমান এক সমান্তরাল গঠন থাকে, প্রত্যেক গঠনকে গার্ডার বলা হ' ' প্রত্যেক গভর্ণরেরই শির, নিম্নশির বা স্কন্ধ 5 গ্রীবা অাছে, ইংরেজীতে যাহাকে যথাক্রমে uPPe" flange, lower flange e web <ICái ১। ডেক্‌ বা শিরোগামী শ্রেণীর সেতু – যে-সেতুর উপর দিয়া রেলগাড়ী গমনকালে নাড়ীর সম্পূর্ণ ভার উপরের শিরের উপর প্রথমত: अलिड इs ७दt cबन्नभाड़ी जप्यूर्व बाहिब ******* স্বায় তাহাকে শিরোগামী বা ভেক্ট শ্রেণীর সেতু বা পুল বলে । ২ । আধুমধাগামী শ্রেণীর সেতু –বখন ণ" গাড়ীর ভার গ্রীবা বা দণ্ডের উপর অপিত হয় তখন তাহাকে অৰ্দ্ধমধ্যগামী সেতু -বলে । এই শ্রেণীর