পাতা:প্রবাসী আশ্বিন ১৩৪৪ সংখ্যা ৬.pdf/৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

- _T ?○○ আমাদের কিছু করবার নেই । আমরা জানাতে পারি কোনটা ভদ্র কোনটা ভদ্র নয়, মানবধমের দোহাই দিতে পারি। কিন্তু জানাব কাকে, দোহাই দেব কার সামনে দাড়িয়ে । জানাতে হবে তাদেরই যারা বেণী ধরে টান দেবার দলে, যারা মধ্যবর্তী, যারা বিদেশী রাজ্যশাসনের আধারে স্বদেশীর প্রতি অসম্মান ভরে তুলতে কুষ্ঠিত হয় না । একটা কথা মনে রাখতে হবে, কোনো অপরাধীকে দণ্ড দেবার পূবে আইনে বাধা অত্যন্ত সতর্ক বিচারের প্রণালী আছে । এই সভ্যনীতি আমরা পেয়েছি ইংরেজের কাছ থেকে। এই নীতির পরে আমাদের দাবী অভ্যস্ত হয়ে গেছে। এক সময়ে সরাসরি কাজির বিচার প্রচলিত ছিল । ব্যক্তিগত আন্দাজের উপর, পক্ষপাতের উপর যে বিচারপ্রণালীর ভিত্তি ছিল তাকে আমরা অশ্রদ্ধা করতে শিখেছি। এ কথা আজ আমাদের কাছে সহজ হয়েছে যে অপরাধের অপবাদ আরোপের পর থেকেই কোনো অভিযুক্তের প্রতি মন্তায় করা সহজ ছিল যে-যুগে, সে-যুগের দণ্ডনীতি সভ্য সাদশের ছিল না ; মানুষের স্বাধীনতার অধিকার তখন অনিশ্চিত ভিত্তিতে স্থাপিত ছিল । সভ্যদেশে এ কথাও স্বীকৃত হয়েছে যে, অপরাধের নিঃসংশয় প্রমাণের জন্য প্রমাণভবের অনুশাসনের ভিতর দিয়ে বৈধ সাক্ষ্যের সন্ধান ও বিশ্লেষণের জন্য অভিজ্ঞ বিচারক ও বিশেষজ্ঞ ञाङ्गेनखैौवौव्र थरग्राख्न श्राप्छ् ।। 4३ विधोप्नब्र '°रद्र इनि बाही ना द्राशि डा ८शप्ट आईन-बॉनॉलडरक প্রকাগু অপব্যয়ের খেলা বলতে হবে । এই ব্যবস্থার মধ্যে নিবিশেষে সকল মানুষের পরে যে সম্মান আছে এতদিন ধরে সেই নীতিকে শ্রদ্ধা করতে শিখছি। এও জানি, এত সাবধান হয়েও অনেক ঘটনায় অপরাধের শেষ মীমাংসা হয় নি। বহু নির্দোষী দওভোগ করেছে । স্তত্ব দি স্থির হয় যে, বিশেষ স্থলে অপরাধের গুরুত্ব অনুসারে গোপনে সাক্ষ্য বিশ্লেষণ করে, আন্দাজে বিচার ও জাপ্ত পাতি দান অনিবার্য তবে তা নিয়ে তর্ক করতে চাই নে কিন্তু এ কথা বলতেই হবে এমন স্থলে শাস্তির ऋब्रिभाव झुनङ् न श्eञाडे ७डि, धन श्खा झाङ्गे योरङ विष्ठोरत्नत्र ड्रेन निद्र'बिोए१ 2डि °ाष्ठि अङि কঠোর হয়ে অনুতাপের কারণ না ঘটে। কেবলমাত্র বন্দিদশাই তো কম দুঃখকর নয় তার উপরে শাসনের ঝালমসলা প্রচুর করে তুলে তার তীব্রতা বাড়িয়ে তোলাকে ভে কোনোমতেই সভ্যনীতি বলতে পারি নে। ঝালমসলা মে কটুজাতীয়, বাহির থেকে তার আন্দাজ করতে পারি মাত্র । প্রবাসী Տ Տ88 যখন বৈধ উপায়ে নিঃসন্দেহে দোষ প্রমাণ চেষ্টার অনুদি আছে ব’লে মনে করা হয়, অন্তত তখন এই সংশয়ের ক্ষো করুণার স্থান রাখা চাই । কারাগার থেকে অস্তিম মুহুতে যাদের মায়ের স্কোর ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে ফক্ষারোগে মরবার জন্তে, তারা সমল এই বিলম্বিত মৃত্যুঘন্ত্রণ ভোগের নিশ্চিত যোগ্য এমন না বিনাবিচারে তোমরা কি নিঃসংশয়ে বলতে পারে । আমার দেশবাসীর স্বদেশী প্রতিনিধি । বহুদিনসঞ্চিত একটা দুঃখের কথা কি আজ বন। অল্প কালের মধ্যে দেশে অনেক বড়ো বড়ো মারা খুনোখুনি হয়ে গেছে । যারা চক্ষে দেখেছেন, আত্নী স্বজনসহ তারা অসহ্য দুঃখ পেয়েছেন । যারা ভিত্তরে কথা জানেন তাদের যোগে যে সব জনশ্রুতি দেশে রা হয়েছে, দেশের লোক তাকে বিশ্বাস করবার যুক্তিসার কারণ পেয়েছেন । কিন্তু কতৃপক্ষ এই নির্দয় ব্যাপার পোলিটিকাল অপরাধের শ্রেণীতে গণ্য করেন নি ৰ'র অনুমানকে শেষ পর্যন্ত নিয়ে গিয়ে বিনা জবাবদিমির পাতরা কোনো দণ্ডবিধান করেন নি। অপর ক্ষেত্রে ঞ্জ করেছেন এবং দেশের প্রতিনিধিরা একে ন্যায্য বীর সমর্থনও করেন । পলিটিক্সে খুনজখম লুঠপাটের জন্ম যারা দায়ী তারা ঘৃণ্য, অপর ক্ষেত্রেও যারা দায়ী ভা কম ঘৃণ্য নয়। এক ক্ষেত্রে গোপন সন্ধানে তাদের আবিষ্কার করা সহজ, অপর ক্ষেত্রে সহজ নয়, এমন অদ্ভুত কৰা স্বয় চলে না। উভয় ব্যাপারেই শাসনের প্রয়োজন আছে। হয়তো গুপ্ত পাপচক্রাস্তের বিধিনিদিষ্ট প্রমাণ পাওয় সম্ভব নয়—তবুও পাপের হেয়তা ও পরিমাণ কোনে পক্ষেই কম নয় । পূর্বেই বলেছি দও প্রয়োগের অতিরুভ রূপকে জা বর্বরতা বলি। আমি কোনো পক্ষেই হিংসার মূল্য হিমন্ত্র দিয়ে দিতে চাই নে কিন্তু সমাজ ও রাজার তত্ব থেকে ধিক্কারের দ্বারা বিচারের প্রয়োজন আছে, উড় পক্ষেই । নির্জন কারাকক্ষবাস বা আন্দামানে নিৰ্বাম আমি কোনো প্রকার অপরাধীর জন্য সমর্থন করি নে যারা দেশবাসীর প্রতিনিধির পদে উচ্চ শাসনমঞ্চে সমানী তারা যদি করেন আমি নিচে দাড়িয়ে তাদের প্রতিবা করব । গত ২৯শে শ্রাবণ শ্ৰীযুক্ত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বিশ্বভারতীর অধ্যাগঃ এবং ছাত্রী ও ছাত্রদিগকে যাহা বলিয়াছিলেন, তাহ তিনি এই প্রবন্ধের আকারে লিখিয়া দিয়াছেন –প্রবাসীর সম্পাদক ] -