পাতা:প্রবাসী আশ্বিন ১৩৪৪ সংখ্যা ৬.pdf/৬৩

আণশ্বিন সেতু ち->° সেতু অপেক্ষ অল্পব্যয়সাপেক্ষ, ৩ । ইহা অপ্রাথমিক টান श्रउ भूङ । বিভিন্ন রীতিতে সেতুর ভার ভিত্তির উপর প্রদান করিবার উপর সেতুকে ছয় ভাগে বিভক্ত করা যায় :– ১। সহজভাবে বসান সেতু, ২ । অবিচ্ছিন্ন কড়ি-নিৰ্ম্মিত সেতু, ৩। বৃত্তাভাসাকৃতি সেতু, ৪ । এক দিক সংলগ্নও অপর দিক মুক্ত সেতু, ঝুলন সেতু, ৬। ঝুলন কিংবা খিলানযুক্ত এক দিক সংলগ্ন অন্য দিক মুক্ত সেতু, S Azęstoo qata Gig ( simply supported girder ) :–একটি কড়ি অথবা কড়িজাতীয় লৌহের গঠনকে দুইটি সরলোন্নত স্তম্ভের অথবা কোন আধারের উপর স্থাপন করিলে কড়ির ভার দুই দিকে ঋজুভাবে ন্যস্ত হইবে, এইরূপ অবিচ্ছিন্ন কড়ি-নিৰ্ম্মিত সেতু । সেতুকে সহজভাবে বসান সেতু বলে । সাধারণ ইস্পাতে ৬০০ ফুট এবং নিকেল-মিশ্রিত ইস্পাতে ৭৫ ফুট সেতু এই শ্রেণীর হইয়া থাকে। ওহিয়ে নদীর উপর সেতুটি ৭২০ ফুট লম্ব জ্য-বিশিষ্ট । ২। অবিচ্ছিন্ন কড়িনিৰ্ম্মিত সেতু : বদি একটি দীর্ঘ কড়ি তিন বা ততোধিক ভারগ্রাহী স্তম্ভের উপর স্থাপিত করা স্থাৎ, তাহাকে অবিচ্ছিন্ন ভাবে বসান কড়ি কহে। ইহাতে ভার ঋজুভাবে & আসে, কিন্তু বক্রীকরণের শক্তি (bending m9r:ént ) & স্তম্ভের মধ্যস্থলে সহজভাবে বসান কড়ি অপেক্ষা কম। ৩। বৃত্তাভাসাকৃতি সেতু —ইহার আকৃতি বাড়ীর খিলানের অনুরূপ কিন্তু আকারে বৃহৎ । ইহু িইষ্টক কিংবা ??ーbr প্রস্তর কিংবা কঙ্করেষ্টক ( concrete ) কিংবা লৌহের কাঠামর হইভে পারে। ইহাতে ভার কতক ঋজুভাবে এবং কতক পাশ্বভাবে ন্যস্ত হয়। নিকেল ইম্পাতের তৈয়ারী হইলে ৩০০০ ফুট জ্যায়ের পর্য্যস্ত করা যায়। নিউইয়র্কের হেলগেট সেতু ৬৯৭২ ফুট জ্যা-বিশিষ্ট। পাশ্বের চাপ পাশ্বস্থ ভূমি নিরাপদভাবে বহন করিতে পারিলে বৃত্তাভাসাকৃতি সেতুর আশ্রয় লওয়াই সমীচীন। ৪ । এক দিক সংলগ্ন ও অপর দিক মুক্ত আকৃতির সেতু —একটি স্তম্ভের গাত্র হইতে কোন গঠন সরলোন্নত ভাবে নির্গত হইলে এবং তাহার উপর কোন ভার ন্যস্ত হইলে স্তম্ভের অভিগতি হইবে ভারের দিকে ঝুকিয়া পড়া । কিন্তু স্তম্ভের দুই দিকে ঐরুপ গঠন বাহিরে নির্গত হইলে ভার ঋজুভাবে স্তম্ভের উপর পড়িবে। আবার কোন গঠন ক্রমিক দুই স্তম্ভের উপর দিয়া দুই স্তম্ভের দুই দিকে নির্গত হইলে তাহাকে উপরিউক্ত সেতু বলে। এক দিক সংলগ্ন ও অন্য দিক মুক্ত গঠনের প্রকৃষ্ট উদাহরণ বাটার বাহিরস্থ অলিন্দ যাহার নীচে কোন ভারগ্রাহী গঠন নাই । উল্লিখিত শ্রেণীর সেতুর প্রাচীন নির্দেশ জাপানের নিকো শহরের ‘সোগান’ সেতুতে পাওয়া যায়। ইহা অহমানিক খ্ৰীষ্টীয় চতুর্দশ শতাব্দীতে নিৰ্ম্মিত। ভারত-সরকারের ইঞ্জিনিয়ার সর এ. এম. রেণ্ডেল পরিকল্পিত সিন্ধুনদের উপর “মুকুর সেতু” দৈর্ঘ্যে ৮২০ ফুট, -- টাইবার নদীর উপর প্রাচীনতম প্রস্তরনিৰ্ম্মিত সেতু। নিৰ্ম্মাণকাল খ্ৰীষ্টপূর্ব ২১ শতাব্দী। বৰ্ত্তমানেও ইহা ব্যবহৃত হইতেছে ।