স্বন্ধুর সেতু পার হইবার জন্য যে সেতু আছে তাহাও উপরিউক্ত শ্রেণীর। কিন্তু জগতের মধ্যে বৰ্ত্তমানে সৰ্ব্বাপেক্ষা দীঘ সেতু আমেরিকার স্তান ফ্রানসিস্কো সেতু। ইহা ঝুলন শ্রেণীর। ইহা প্রস্তুত করিতে পূর্ণ চারি বৎসর অতিবাহিত হইয়াছে এবং ব্যয় হইয়াছে ৭৭,২০০,০০০ ডলার। ইহাতে পাশাপাশি ছয় সার গাড়ী যাতায়াত করিতে পারে। ইহাতে রেলপথের কোন সংস্থান নাই। ইহার দৈর্ঘ্য সাত मांश्ज । ৬। ঝুলন অথবা খিলানযুক্ত এক দিক সংলগ্ন ও সন্ত দিক মুক্ত সেতু –বৰ্ত্তমানে হাবড়ার যে নূতন সেতুর নিৰ্ম্মাণকাৰ্য্য চলিতেছে, তাহা ঝুলনমিশ্রিত একদিক সংলগ্ন অন্য দিক যুক্ত শ্রেণীর সেতু। ইহার নদীতীরস্থ দুই দিক হইতে প্রসারিত বাহুর দৈর্ঘ্য ৭৬৮ ফুট এবং মধ্যস্থিত কুলমান অংশের দৈর্ঘ্য ৫৬৪ ফুট। মধ্যস্থিত অংশটি লৌহনিগড়ে শূন্যে ভাসমান থাকিবে। ফলে মোট দৈর্ঘ্য ১৫০০ ফুট। নিম্নে ইহার রেখাচিত্র দেওয়া হইল । এতদ্ভিন্ন ভাসমান সেতু (Pontoon Bridge), কঙ্করেষ্টক সেতু,আয়ুষ্কঙ্করেষ্টক সেতু,কজাযুক্ত বৃত্তাভাস সেতু প্রভৃতি আছে। ভাসমান সেতু –ভাসমান সেতুর প্রথম পরিকল্পনা করেন শ্রীরামচন্দ্র। "শিলা ভাসে জলে* হওয়া অসম্ভব। যদি তাই সম্ভব হয়, তাহ হইলে শিলাকে ভাসাইবার কৌশল তিনি জানিতেন। তিনি বহু বৃক্ষকাণ্ডের উপর শিলা সংস্থাপন করিয়া ভারতবর্ষ ও লঙ্কাদ্বীপের মধ্যে গমনাগমনের পথ করিয়াছিলেন। সেতুটি ভাসমান বলিয়াই লক্ষ্মণ সীতা-উদ্ধারের পর বাণাঘাতেই কিয়দংশ বিচ্ছিন্ন করিতে পারিয়াছিলেন। তাই কিয়দংশ ভাসিয়া যায় এবং সেতুর কিয়দংশ আজিও বর্তমান । এই পরিকল্পনাই জাৰ্ম্মানীর কাইসারের মনে ছিল। তাই তিনি বিগত মহাযুদ্ধে স্থির করিয়াছিলেন ফরাসীকে জয় করিয়া ডোভার হইতে ক্যালে পৰ্য্যস্ত এই ভাসমান সেতু ত্বরিত প্রস্তুত করিয়া লইয়া ইংলণ্ড আক্রমণ করিবেন । পুরাতন হাবড়ার পুল ভারতের মধ্যে ভাসমান সেতুর উদাহরণ। হোমারের পুস্তকে এই ভাসমান সেতুর কথা আছে, নৌকা গায়ে গায়ে সংলগ্ন করিয়া প্রাচীন পারস্য, বাবিলন দেশের রাজারা যুদ্ধের সময় সৈন্য পার করিয়া লইয়া যাইতেন। সে আজ ২৫০০ বৎসর আগের কথা । আমেরিকায় কঙ্করেষ্টক ও আয়ষ্কস্করেষ্টক সেতুর বিশেষ চলন । ভারতবর্ষেও ঐ শ্রেণীর ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র সেতু প্রস্তুত হইতেছে। কজাযুক্ত বৃত্তাভাস সেতু —এই বৃত্তাভাসে দুই বা ততোধিক কাজ সংলগ্ন করা যায়। এই প্রবন্ধের অন্তত্ব ওয়েরমাউথ সেতুর যে চিত্র দেওয়া হইয়াছে তাহা এই শ্রেণীর। উহা দৈর্ঘ্যে ৬০০ ফুট । 电 |
- , , ,翁一
~ : ৩২৪ ফু৮–+ কপিরাওma-fiচ
