পাতা:প্রবাসী আশ্বিন ১৩৪৪ সংখ্যা ৬.pdf/৭৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৮২৮ প্রবণসী ՏNՑՅՑ আশা বলিল, “আসল পয়েণ্টট বাদ দিয়ে ঘাচ্ছ কলিকাতায় কিন্তু এখনও বিশেষ শীত পড়ে নাই। কিন্তু কেন ?” বোর্ডিঙে ইচ্ছা করিতেছে বলিয়াই ত আর কিছু করিবার প্রমীলা বলিল, “বাদ দেওয়াদেয়ি আর কি ? ঘরসংসার যখন করব, তখন ঘরের কৰ্ত্ত একটা থাকবে, সে ত জানা কথা।” মৃণাল বলিল, “আমার ভাই একটি ছোট সুন্দর খড়ের চাল-দেওয়া ঘর, আর চারিদিকে খোলা মাঠ, এই ভাবতেই চমৎকার লাগে। কিন্তু কৰ্ত্তাটর্তার ভাবনা এখনও মনে আনতে পারি নে বাপু।” প্রমীলা বলিল, “তা খড়ের ঘরে কি তুই একলা হাত প ছড়িয়ে বসে থাকবি নাকি ? যত অনাস্বষ্টি কথা, চিরকেলে খুঁকি এক তুই ।” এই সময় ঢং ঢং করিয়া ঘণ্ট। পড়িয়া যাওয়ায় বেড়ানো এবং গল্প দুই-ই শেষ হইয়া গেল । সত্যই মৃণাল ভাবিয়া ঠিক করিতে পারিত না যে ভবিষ্যৎ জীবনটা কি রকম হইলে তাহার পক্ষে সব চেয়ে সুখের হয়। শিক্ষা যতদূর পাওয়া সম্ভব সব সে পাইতে চায়, কাহারও গলগ্ৰহ হইয়া পরমুখাপেক্ষী হইয়া থাকিতেও সে চায় না, কিন্তু চিরকাল চাকরী করিয়া কাটাইতেছে ভাবিতেও তাহার ভাল লাগে না । শহরে থাকিতে সে চায় না, পল্লীভবনেই ফিরিয়া যাইতে চায়। কিন্তু সেখানে কেমন ভাবে থাকিবে, কি কাজে দিন কাটিবে, তাহা এখনও তাহার মনে স্পষ্ট হইয় উঠে নাই । কিন্তু অদৃষ্টে তাহার कि श्राप्छ् डाङ् ८कङ्ग्रे द वलिएङ श्राप्द्र ? भोभ-भाभेो उ উচ্চশিক্ষার একান্ত বিরোধী। বাবা যদিও তাহাকে পড়িতে পঠাইয়াছেন, কিন্তু সেটা উচ্চশিক্ষার প্রতি অনুরাগবশতঃ নয়, অন্য কোনও উদেন্তে । মেয়ের যদি বিবাহ তিনি না দিতে পারেন, তাহা হইলে সে একেবারে অসহায় ন হইয় পড়ে, সেটা ত দেখিতে হইবে ? সেই জন্যই তাহাকে পড়িতে দেওয়া। বিবাহ দিতে পারিলে ত তিনি দিরারই যথাসাধ্য চেষ্টা করিবেন, এবং মামা-মর্মিীও ॐाङ्ॉरक नांशंघाई कब्रिट्वन । ট্রেন হইতে নামিয়া মৃণালের মাথাটা কেমন যেন ধরিয়া উঠিয়াছিল। এববার স্নান করিতে পাইলে হইত। পাড়াগায়ে সে দিব্য শীত উপভোগ করিয়া আসিয়াছে, A জো নাই ? কাজেই হাতমুখ ধুইয়া, কাপড় বদলাইয়া সে খাইতে চলিল। আয়োজন বাড়ীর চেয়ে এখানে বেশী, তবু খাইয়া মন উঠে না। প্রতি টেবিলে একজন করির শিক্ষয়িত্রী মেয়েদের সঙ্গে থাইতে বসেন, কাজেই হাজার অসন্তোষ মনের মধ্যে জমা হইয়া থাকিলেও মুখ ফুটা জি বলিবার উপায় নাই। ভাল লাগুক বা মন্দ লাণ্ডক, সক কিছু মুখ বুজিয়া খাইয়া যাইতে হইবে। খাওয়া চুকিয়া গেল, তাহার পর একটা একটা করিম ঘণ্টা পড়িবে, আর পুতুলনাচের পুতুলের মত মেয়েৰৰ তালে তালে হাত-পা নাড়িতে হইবে । একেবারে শুইবার ঘণ্টা পড়িলে তখন এই নাট্যের শেষ। কাল হইতে সমানে ক্লাস আরম্ভ হইবে, তখন আর এসব ভাবিবার অত সমৰ থাকবে না। মামার বাড়ী হইতে ফিরিয়া আসি৷ প্রথম কয়ট দিন বড় বেশী খারাপ লাগে, তাহার গল্প এখানকার কৰ্ম্মস্রোতে সে ভাসিয়া চলে, মন লইয়া নাড়াচাড়। করিবার অত সময়ও সে পায় না । বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গও তাহাকে খানিকটা ভুলাইয়া রাখে। সামনে পরীক্ষা, তাহাৰ ভাবনাও বড় কম নয়। এইবারে বাৎসরিক পরীক্ষায় নাম করিলে সে ম্যাটিক ক্লাসে উঠবে, তাহার পর ত মন্ত বড় পরীক্ষা । তাহা কি মৃণাল পাস করিতে পারিবে, ক্ষে জানে ? বয়স ত যথেষ্ট হইয়াছে ফেল করিলে ছোট ছোট সব মেয়ের সঙ্গে পড়িতে হইবে, সে এক মহা লজ্জার কথা । ম্যাটকের পর বাবা তাহাকে পড়াইবেন কিনা ৰে জানে ? মামা-মানী ত এইতেই বিরক্ত । ষোল বছরের cशाग्र श्रउ छजिल, ' ७थनe विवॉरश्द्र नाभशष नाशे । দ্বিতীয়পক্ষে বিবাহ ত অনেকেই করে, কিন্তু এমন পর হইয়া কেহ যায় না। নিতাস্ত কয়েকটা টাকা না দিলে নয়, তাই ফেলিয়া দিয়াই মৃণালের বাবা খালাস । মেয়ের কাছে বৎসরে একখানা চিঠিও লেখেন কি না সন্দেহ, বিজয়ার সময় হয়ত লেখেন। মল্লিক-মহাশয়ের কাছে কথনও কখনৰ একটা করিয়া পোষ্টকার্ড আসে, এই পৰ্য্যস্ত। মৃণাল জানে, তাহার অনেকগুলি ভাইবোন হইয়াছে, -