পাতা:প্রবাসী কার্তিক ১৩৪৪ সংখ্যা ৭.pdf/১২

SNご83 ফুলকুদন। অনুষ্ঠানে আগুনের উপর দিয়া হাট যাইবে ইহা কিরূপ বর্ণ-নিৰ্ব্বিশেষে অনুষ্ঠিত হইয়া থাকে — হাণু আহির, মহাদেও লোহার, বিরস। উরাও, জগন্নাথ মুণ্ড, মাংকু লোহার, টুকরু উরাও, বুধন মুওাঁ, পুরজু মুণ্ডু, হিরুয়া লোহার, বোখ লোহার, পোর্টু, মিরধার পুত্র ( ডোম) ইত্যাদি। বৈষ্ণব পুরোহিত ইহাদের পৌরোহিত্য করিতে বিন্দুমাত্র কুষ্ঠিত হয় না, এবং আশ্চর্যের বিষয় মাণ্ড-পরবে পুরোহিত বিন-দ্বিধায় মহাদেবের পূজা করিয়া থাকে। মাণ্ডা-পরবে শিব এবং পাৰ্ব্বতী উভয়ের পূজা হইয়া থাকে। - মাও-পরবটি তিন দিন ধরিয়া হইয় থাকে ৷ পরবের পূৰ্ব্বে যাহারা ভোক্ত হইবে তাহাদের উপর দেবতার ভর হয় এবং সচরাচর এইরূপে প্রত্যাদিষ্ট হইলে লো: ভোক্তা হইয়া থাকে। উৎসবের প্রারম্ভে রামাইত গোসাই ভোক্তাগণকে যজ্ঞোপবীত পরাইয়া দেয় এবং তাহার তিন দিন দিদির পিঠে ভাই ঘুমাইয় পড়িয়াছে মাছ, মাংস, নুন, হলুদ, মশলা প্রভৃতি খাওয়া ভ্যান করে ; শুধু ভাত, ফল, দুধ ও মিষ্টান্ন খাইয় তাহার কয়েক নি কাটাইয়া দেয়। ভোক্তাগণ বিচিত্র সাজে সজ্জিত ৷ গ্রামের প্রতি বাড়ীতে ভিক্ষা করিতে যায় এবং পরে সেই পয়সা খরচ করিয়া আমোদ-আহ্লাদ করে। উৎসবের দ্বিতীয় দিনে গ্রামের মধ্যে মহাদেবের “আস্থানে” ইহারা সমৰেন্থ হইয়া অনেকগুলি অনুষ্ঠান করে । তাহার মধ্যে छ्शेफ़े বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য । একটির নাম "कोफोड़ेश", অপরটির নাম “ফুলকুদনা"। কান্ধাইয়া অনুষ্ঠানে ভোক্তাগন সারবন্দী হইয়া মাটিতে উপবেশন করে এবং পুরোহিত তাহাদের কাধের উপর পা দিয়া হাটিতে থাকে। যাহার কাধের উপর দিয়া ইটো হইয়া যায় তাহারা আবার ঘুরিয়া সামনে আসিয়া বসে। এই ভাবে পুরোহিঙ এক স্থান হইতে মহাদেবতলায় অবিচ্ছিন্নভাবে মানুষের কাম - ---