পাতা:প্রবাসী কার্তিক ১৩৪৪ সংখ্যা ৭.pdf/১২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Sミミ প্রবাসী ১৩৪৪ ঘুমের ঘোরে আচ্ছল্পের মত হয়ে রয়েছেন, জ্ঞান ट्छा न| | ডাক্তার [ একটুখানি চুপ করিয়া থাকিয় ] আচ্ছ, এর বড় ছেলে রমেনকে আসবার জন্যে একটা ‘তার? ক’রে দিলে झ्व्र नl ? নিৰ্ম্মল [ চমকিয়া উঠিয়া ] কেন বলুন দেখি, তবে কি--- ডাক্তার। দেখুন যতক্ষণ আশা থাকে ডাক্তারেরা বাড়িয়ে ভরসা দিয়ে থাকে। কিন্তু আমি এদের অনেক দিনের পুরনো পারিবারিক ডাক্তার, জ্ঞানদাবাবুর স্বাস্থ্যের কথা বিলক্ষণ জানি । এর ব্লড-প্রেশার বডড বেশী । সেদিন যে হঠাৎ মাথা ঘুরে পড়ে গেছলেন, সেদিনই ওঁর ব্লড ভেদল ছিড়ে গেছে। অনেক সময় ব্লড ভেসল ছিড়ে যাবার পরেও সাত দিন পর্য্যন্ত রোগীকে টিকে থাকতে দেখা গেছে--- किङ्ख--- নিৰ্ম্মল। আপনি কি বলছেন, তবে কি, না না ডাক্তারবাবু আপনি নিশ্চয় ভুল করেছেন । এ কেমন ক’রে হবে, এ কি হ’তে পারে. . . ডাক্তার। ভুল নিশ্চয়ই হ’তে পারে আর সেই জন্যই - আমি ডাক্তার সরকারের কাছে যাবার পথে একবার নামব s এবং তাকে কনসান্ট করবার জন্য ডেকে আসব। আমরা দু-জনে একসঙ্গে বেলা দশটা এগারটা আন্দাজ আবার আসব। আপনার কথা যেন বাস্তবিকই সত্য হয় নিৰ্ম্মলবাবু, আমার যেন ভুলই হয়। কিন্তু আমার বড় সন্দেহ <८६छ्... নিৰ্ম্মল । [ অভিভূতের মত ] কিন্তু ওঁরা যে এখনও পরম নিশ্চিস্ত হয়ে আছেন, ওরা ত স্বপ্নেও ভাবতে ?甘郊びリ না যে মাথার উপর তাদের কি সৰ্ব্বনাশ উদ্যত হয়ে আছে। ডাক্তার। জ্ঞানদাবাবুর ত্রীর কথা বলছেন ? ওঁর মত সহিষ্ণু ও ধৈৰ্য্যশীলা আমি খুব কমই দেখেছি। কিন্তু ওসব কথা এখন থাক, চলুন নিৰ্ম্মলবাবু চট্‌ ক’রে ওষুধটা তৈরি ক’রে পাঠিয়ে দিই। অভিভুত নিৰ্ম্মলকে একটা ঠেল দিয়া ডাক্তার তাহাকে সঙ্গে লইয় মোটরে উঠিলেন । ] পঞ্চম দৃশু s ইন্দির মেঝেতে বসিয়া বেদানার রস প্রস্তুত করিতেছিল। নিৰ্ম্মল একটা ঔষধের শিশি হাতে লইয়া ঢুকিল। তাহার দৃষ্টি উদভ্ৰান্ত, গতি শ্লথ। ] - ইন্দিরা । [ তাহার দিকে চাহিয়৷ ] আপনার কি হয়েছে বলুন ত ? মুখ চোখ এত শুকুনো ! নিৰ্ম্মল। তোমার বাবা এখন কেমন ইন্দু ? ইন্দির। তিনি ত কেবলই ঘুমুচ্ছেন। আজ সকাল থেকে আর ওঠেন নি। অনেকক্ষণ কিছু খান নি, তাই বেদানার রস ক’রে রাখছি, যদি খেতে চান ঘুম ভেঙে ! উঠে । | নিৰ্ম্মল । মা কোথা ? ইন্দির । তার কথা আর জিজ্ঞেস করছেন কেন, দিন রাত্রি মাথায় বরফের টুপি ধরে বসেই আছেন। ডাক্তার আসাতে একবার পাশের ঘরে দাড়িয়েছিলেন এখন আবার বাবার মাথার কাছে ব’লে আছেন । আজ আর স্নান-আহ্নিক করতে একবার ও ওঠেন নি । হঠাৎ নন্দী সাহেব ও ফুল্লর ঘরে ঢুকিল । ফুল্লর রীতিমত জিন্ত বেশে । নন্দীও সাহেবী পোষাকে । ] ফুল্লরা। ইন্দু, শুনলুম মেসোমশায়ের নাকি অন্তৰ হয়েছে ? আমরা মার্কেটে যাচ্ছিলুম, গাড়ী দাড় কৱিৰে একবার ভাবলুম খবর নিয়ে আসি। কবে থেকে হ’ল অস্বথটা ? কি অস্বথ ? দেখছে কে, আমাদের ডাক্তাৰ মুখাজি ত। লোকটার টাটুমেন্ট, বড় ওল্ড ফ্যাশনের। আমি বলি কি, তার চেয়ে কাপ্তেন চ্যাটাজিকে একবার এনে দেখা। সত্যিকার কোয়ালিফিকেশন আছে। নয় মি নল । মিঃ নন্দী। নিশ্চয়! লণ্ডনের এফ-আর-সি-এস মুখের কথা নয়, পথে ঘাটে আর কিছু মেলে না। হ্যা, আমিও তাই বলি মিস গুপ্ত, আপনার দিদির কথামত ॐप्स्रे । বরঞ্চ একবার আনিয়ে দেখান। কিন্তু কবে থেকে ময়ৰ৯ হয়েছে তার ? ইন্দিরা । আমার জন্মদিন গেল, সেই শুক্রবাল নেই তিনি অসুস্থ । আজ চার-পাচ দিন হ’ল । ফুল্লরা। ওহ, আই অ্যাম সে সরি! তিনি, চল দেখে আসি । নিৰ্ম্মল। [ একটু কঠিন স্বরে ৷ না, তিনি নি পড়েছেন। এখন সে-ঘরে গিয়ে গোলমাল করা সাত হবে না । নন্দী। বেশ, তাই ভাল। মিস গুপ্ত আপনার বাবা উঠলে বলে দেবেন আমরা তাকে দেখতে এসেছিলুম। না-হয় একটা কার্ড রেখে যাই । ইন্দিরা। কার্ড রেখে যাবার দরকার নেই মি: নদী তিনি উঠুন, আমি তাকে বলব । - ফুল্লরা। তাই ব’লে দিও ইন্দু। কেন-ন, আর ও আমাদের আসবার ফুরসৎ হবে না। কাল মা, আমি, জাৰ নন্দী সাহেব যে বেড়াতে যাচ্ছি কাশ্মীরে। কালত কহ কোথায় | সারারাত্রি উত্তেজনায় আমার ঘুম হয় নি। কাশ্মীরে যান। সেই ডাল-হ্রদে, নৌকো ক’রে বেড়াচ্ছি চাrদর আলোয়, সেই to