পাতা:প্রবাসী কার্তিক ১৩৪৪ সংখ্যা ৭.pdf/১৩৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কীৰ্ত্তিক বিবিধ প্রসঙ্গ—অন্যান্য দেশে সংখ্যালঘুদের জন্ত ব্যবস্থা たいごお অত্যাচার-প্রতিরোধক পৌরুষের উপর। কিন্তু যদি কোন প্রকার শাসনপ্রণালীর উৎকর্ষহেতু অত্যাচার নিবারিত হইতে পারে, তাহ গণতান্ত্রিক শাসনপ্রণালী। এই প্রণালী অনুসারে সংখ্যাগরিষ্ঠদের সমষ্টি পরিবর্তনশীল । আমাদের দেশের দৃষ্টান্ত লইলে বলিতে হয়, ভারতবর্ষের শাসন-প্রণালী ও প্রতিনিধি-নিৰ্ব্বাচন প্রণালী গণতান্ত্রিক হইলে সংখ্যাগরিষ্ঠ ও সংখ্যালঘু দলগুলি কেবল হিন্দু বা কেবল মুসলমান বা কেবল অন্য কোন সম্প্রদায়েরই লোক থাকিবে না, প্রত্যেক দলেই নানা সম্প্রদায় ও শ্রেণীর লোক থাকিবে— কখন বেশী, কখন কম। এবং যে-সদস্য ষে-ধৰ্ম্মাবলম্বীই ইউন, তাহাকে নিজ ধৰ্ম্মাবলম্বী ভোটারদের মত অন্ত ধৰ্ম্মাবলম্বী ভোটারদের ভোটের উপরও নির্ভর করিতে হইবে। স্বতরাং সাম্প্রদায়িক পৃথক নিৰ্ব্বাচনপ্রণালী অনুসারে নির্বাচিত সদস্যেরা যেমন কেবল নিজ সম্প্রদায়ের ভোটারদের দ্বারা নিৰ্ব্বাচিত হওয়ায় বেপরোয়াভাবে অন্য সব সম্প্রদায়ের অভিযোগ দুঃখ স্বাৰ্থ অবহেলা করিতে পারেন এ নিলজিভাবে নিজ সম্প্রদায়ের আস্থার ও অত্যাচার সমর্থন করিতে পারেন, গণতান্ত্রিক নির্বাচনপ্রণালীতে নিৰ্ব্বাচিত সদস্যেরা তাহা করিতে পারিবেন না। anসরিষ্ঠদের দ্বারা অত্যাচার নিবারণের ইহাই শ্রেষ্ঠ 어 1 এরুত গণতান্ত্রিক প্রণালী অবলম্বন ব্যতিরেকে, স্বরাজgর আগে বা পরে কংগ্রেগকে যে-কোেন চুক্তিতেই আবদ্ধ लf८ कन, जुझाब दाब अङ्ग्राप्टोब निवाबिउ হইবে না। "দিগকে ন্যায্য পাওনার চেয়ে বেশী সদস্য । ६ीघ्र, यशि। হইলে, তাহারা হয় তাহাতেও সংখ্যালঘু যুক্তরাং তাহাদের অত্যাচরিত হইবার সম্ভাবনা , নতুবা তাহাদেরই সংখ্যাগরিষ্ঠ হইয়া অত্যাচারী કાછાત્રના પવિ !

  • "...i. স্বাটোয়ারার মত গণতন্ত্রবিরোধী (antidemoci“ tic) 3 ateştfēąvētfitātē (anti-national ) e ie সহ করিয়া এবং অন্ত অনেক রকমে বিস্তর হিন্দুকে . পারি, কংগ্রেস মুসলমানদের মন রাখিবার চেষ্ট ੋ। কিন্তু কিছুতেই তাহদের মন পাইতেছেন

नl l অন্যান্য দেশে সংখ্যালঘুদের জন্য ব্যবস্থা মিঃ জিন্না ইংলণ্ড, কানাডা, চেকোস্লোভাকিয় প্রভৃতি দেশের সংখ্যালঘু সমস্যার উল্লেখ করিয়াছেন। তাহ করিবার উদ্দেশ্যটা তাহার কি ছিল জানি না। কি উপায়ে সেই সব দেশে সংখ্যালঘু সমস্যার সমাধান হইয়াছে, তাহ তিনি বলেন নাই। এই জন্তই কি বলেন নাই, ষে, সেই সব দেশে সমস্যাটার সমাধানার্থ সাম্প্রদায়িক বাটোয়ারাটার মত কোন ব্যবস্থা করা হয় নাই, সাম্প্রদায়িক পৃথক নির্বাচন নাই, সাম্প্রদায়িক আসন-সংরক্ষণ নাই, সংখ্যালঘুদিগকে ন্যায্য পাওন। অপেক্ষ বেশী প্রতিনিধি দিয় তাহাদের ওজন বাড়ান হয় নাই ? তিনি চেকোস্লোভাকিয়ার জামান সংথ্যালঘুদের উল্লেখ করিয়াছেন। কিন্তু তাহাদের জন্যও সাম্প্রদায়িক বাটোয়ারার মত কোন ব্যবস্থা নাই। তা ছাড়, তাহার। রাষ্ট্রে জাতি হিসাবে এবং ভিন্ন ভাষাভাষী বলিয়া সংখ্যালঘুসমষ্টি ( racial and linguistic minority), stoo: Tiānfāāl Śto নহে। ভারতবর্ষীয় প্রায় আট কোটি মুসলমানের মধ্যে বিদেশাগত মুসলমানদের বংশধর অল্পসংখ্যক ও তাঁহাদের মধ্যেও ভারতীয় রক্তের মিশ্রণ ঘটিয়াছে, এবং যাহারা বা যাহাদের পূৰ্ব্বপুরুষেরা ভারতীয় কোন-না-কোন ধৰ্ম্ম ত্যাগ করিয়া মুসলমান ধৰ্ম্ম গ্রহণ করিয়াছিল, তাহদের সংখ্যাই বেশী। ভারতবর্ষের প্রধান প্রধান যে-সব ভাষা মুসলমানের ব্যবহার করে, হিন্দুরাও তাহ করে—উর্দুও কেবল মুসলমানদেরই ভাষা নহে, লক্ষ লক্ষ হিন্দু উহা ব্যবহার করে। অতএব চেকোস্লোভাকিয়ায় জামানদের মত ভারতবর্ষে Hääätää affo (racial ) s stfix (linguistić) সংখ্যালঘু সমষ্টি নহে। - মিঃ জিন্ন সংখ্যালঘুদের ভাষা, সংস্কৃতি ও ধৰ্ম্ম বিষয়ক অধিকার রক্ষার কথা তুলিয়াছেন। ভাষার কথা আগেই বলিয়াছি। মুসলমানদের ধৰ্ম্মের উপর হস্তক্ষেপ করিতে গবন্মেণ্ট, হিন্দুরা, কংগ্রেস –কেহই চায় নাই। সুতরাং এ-বিষয়ে তাহীদের আশঙ্কা করিবার কারণ নাই । গোবধ করা যদি ইসলামের একটি অপরিহার্ষ্য অঙ্গ হয় ( ইহা সৰ্ব্ববাদিসম্মত নহে ), তাহ হইলে ইহা যেমন সত্য, যে, কোথাও কোথাও হিন্দুরা ইহাতে বাধা দিয়াছে, তেমনি ইহাও সত্য যে মুসলমানের হিন্দুদের নানা ধৰ্ম্মানুষ্ঠানে তদপেক্ষ বেশী বাধা দিয়াছে ও ব্যাঘাত জন্মাইয়াছে। পরমতসহিষ্ণুতা ও ঔদার্য্য কাহার বেশী কাহার কম, সে বিষয়ে তর্ক করিয়া কোন লাভ নাই । মিঃ জিন্না বলিয়াছেন, সংখ্যাগরিষ্ঠেরা নিজেদের সংস্কৃতি ও আদর্শ সংখ্যালঘুদের উপর চাপাইয়া দিতে পারে। হিন্দুরা নিজেদের সংস্কৃতি ও আদর্শ কাহারও ঘাড়ে চাপাইতে । চায় না। যাহারা প্রচারশীল ধৰ্ম্মসমূহে ( missionary religionsএ ) বিশ্বাস করে, যেমন খ্ৰীষ্টিয়ান ও মুসলমান, তাহারাই ইহা বেশী করে। হিন্দুরা কিছুদিন হইতে যে ইহা করিতেছে তাহ। আত্মরক্ষার নিমিত্ত অন্তদের অনুকরণ। খ্ৰীষ্টিয়ান ও মুসলমানদের পক্ষে যাহ। আইনসঙ্গত, হিন্দুদের لص_