পাতা:প্রবাসী কার্তিক ১৩৪৪ সংখ্যা ৭.pdf/২৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

339 প্রবাসী ১৩৪৪ ছেলেদের নিখুঁত ভাবে সাঁওতাল রমণী সাজাইয়া দিয়া সে নিজে সাজিল সাওতাল। মাথায় চূড়াবাধা পরচুলায় পালক গুজিল—বুকে, গলায়, হাতে পরিল কড়ির গহন, কপালে কালি দিয়া উল্কি আকিল, তার পর মাদলট গলায় ঝুলাইয়া দলবলসমেত সে ষ্টেজের উপর বাহির श्ब्रां ॐक्लिल । • সাহেব মেমের দল হাসিয়া সারা হইয়া গেল। মাদল বাজাইতে বাজাইতে বিশ্বনাথের অঙ্গভঙ্গী, তাহার নৃত্য একেবারে নিখুত । মধ্যে মধ্যে তালের মাথায় সে —উর-র-র—একটা শব্দ করিয়া লাফ निम्न उठेिर डष्ट्रिल । গানও সে নিজেই গাহিতেছিল। নাচগান শেষ করিয়া সে সাজঘরে পোষাক খুলিতেছিল, তাড়াতাড়ি এক জন ভক্ত শিষ্য তাহাকে বাতাস দিতে আরম্ভ করিল, সত্যই সে ঘামিয়া যেন স্নান করিয়া উঠিয়াছে। অমূল্য হাসিতে হাসিতে আসিয়া বলিল—এস ! সাহেবরা ডাকছে তোমাকে ! হাসিয়া বিশ্বনাথ বলিল—দাড়াও পোষাকটা খুলি। —আরে ঐ পোষাকেই এস, খুব খুশী হবে। যাকে বলে একেবারে ড্যাম গ্র্যাড ! পোষাক পরিবর্তন করিয়াই বিশ্বনাথ দেখা করিতে গেল। মনে মনে স্থির করিল এই সুযোগে সাহেবকে একটা চাকরির কথা বলিবে । বাড়ীর অবস্থা সত্যই जनश्नौघ्र श्ब्र उठिंब्रारछ ! সাহেব খুশী হইয় করমর্দন করিয়া বলিল-ওয়াণ্ডারফুল মিঃ চৌধুরী ! বিশ্বনাথ ধন্যবাদ দিল, বলিল-আমার সৌভাগ্য নারা খুশী হয়েছেন! মেমসাহেবের দল তখনও হাসিতেছিল। সাহেব সিগারেটকেস খুলিয়া সম্মুথে ধরিয়া বলিল--নাও ! বিশ্বনাথ ধন্যবাদ দিল । गारिहत बनििज-आदि अमूलाबान्त्र काप्छ नत्र শুনেছি মিষ্টার চৌধুরী ! তোমার পূর্বপুরুষ রাজা ছিলেন । মেমসাহেবের দল সবিস্ময়ে বিশ্বনাথের দিকে ছহিদ রহিল। এক জন বলিয়া উঠিল—সত্যি । সাহেব আবার বলিল-আভিজাত্যের সঙ্গে কালচারের খুব নিকট-সম্বন্ধ! মিষ্টার চৌধুরী, তোমার রক্তের যুগে ললিতকলার কালচার রয়েছে ! .... - বিশ্বনাথ তখন মুখর হইয়া উঠিয়াছে, সে কালচার লইয়া কথা আরম্ভ করিয়া দিল । চাকরির কথা তুলিতে ঘৃণা হইল। +...+ * * পনর দিনের পরিবর্ভে বিশ্বনাথ দুই মাস সেখানে থাকিয়া গেল। কোন রূপেই সে আসিতে পারিল না। আশেপাশে প্রায় কলিয়ারীতেই বাঙালী বাবুদের থিয়েটারক্লাব আছে, তাহারা আসিয়া তাহাকে ধরিল। আজ এ ক্লাব আসে—কাল আর এক দল, পরদিন আবার অন্য দল, এই দশ দিন পরে প্লে দাদা, এ দশ দিন আপনি যেতে পাবেন না । সে এখানে সাৰ্ব্বজনীন দাদা হইয়া উঠিয়াছে। তালরা আবার ধরে— আপনাদের পূর্বপুরুষের সঙ্গে নবাবের যুদ্ধের কথা বলুন। ইতিমধ্যে দেশ হইতে সংবাদ আসিয়া:ছ তাহার একটি পুত্রসস্তান হইয়াছে। প্রস্থতি ও নবকুমার ভালই আছে। পরিশেষে প্রত্যেক পত্রেই মা লেখেন—কাজের কি কিছু সুবিধা করিতে পারিলে ? * > . পত্র যখন পায় তখন সে একবার সঙ্কল্প করিয়া বাহির হয়, কিন্তু বাহির হইয়া সে-সঙ্কল্প সে রাথিতে পারে না। বহুবার এমন হইয়াছে। শেষ পত্র আসিল, ছেলেটির সূত্র অস্থখ–এবং ঘোষবাবুরা নাকি নালিশ করিয়াছেন। ভূমি পত্র পাঠ আসিবে। তখন হাতে তাহার এক কপদকও মাই। হাতে একটা আংটি ছিল সেটাকে পাচ টাকায় গোপনে বিক্রয় করিয়া সে ফিরিল। পথে সে কিনিল চার পয়সায় একখানি স্যাম্পেল সাবান ও একটি ছোট কোঁটা সস্তা মে। বাড়ীর দরজাতেই সে শুনিল—মৃদুস্বরে বাড়ীর মধ্যে statল ধ্বনি উঠিতেছে। সে একটা দীর্ঘনিশ্বাস ফেলিয়৷ বাড়ীতে প্রবেশ করিয়া ডাকিল—-বাণী ! বাণীমা, রক্ষম বলিবার মত শক্তি তথন আর তাহার ছিল না। মা তাহাকে দেখিয়াই ফোপাইয়া কাদিয়া বলিলেন—এলে বাৰ, আসতে পারলে ! সোনার চাদ আমার বিনা-চিকিৎসায় মারা গেল বাবা ! ছি-ছি-ছি! আমার কপ" ছি! বলিতে বলিতেই তিনি নিৰ্ম্মমভাবে আপনার কপালে - * -- -