পাতা:প্রবাসী কার্তিক ১৩৪৪ সংখ্যা ৭.pdf/৩৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কাভিক ইবে না। মৃণালকে তিনি কটা টাকা দিয়াই পিতৃত্বের r্য হইতে অব্যাহতি লইয়াছেন, সেই ক’টাতে তাহার চলে কিনা সে খোজ ও তিনি করিতে ষান না। বাদবাকী ষা লগে মৃণাল মামামামীর কাছেই চাহিয়া লয়। এটুকুও দি না করেন, তাহা হইলে মৃগাঙ্কমোহন জনসমাজে মুখ দেখাইবেন কি করিয়া ? প্রিয়বালারও সে হতভাগী সম্বন্ধে কাচিদাও আনিবেন । কর্তৃব্যের কোনও বালাই নাই, তিনি চীৎকার করিয়াই ६fनtन । সুতরাং রান্নাঘরে বসিয়া প্রিয়বালার অমন চোথাচোখ স্বগতোক্তি সব উপেক্ষা করিয়া তিনি ভাত খাওয়া ঘে করিয়া উঠিয় গেলেন । কাছারি যাইবার ফরসা জামকাপড় দড়ির আলনায় ঝুলানো থাকে, তাহ পাড়িয়া, বেশ কুরিদা ঝাড়িয়া পরিধান করিলেন, এবং জীর্ণ ছাতাটি হাতে করিয়া বাহির হইয়া গেলেন । ছোট ছেলেমেয়ে গোট। দুই-তিন, খানিক পথ তাহার পিছনে ছুটিতে ছুটিতে চলিল, তাহার পর ফিরিয়া গৈল । প্রিয়বালা রান্না শেষ করিয়া টেপ, ক্ষেপীকে, আর ছোট ছেলে দুইটাকে লইয়া স্নান করিতে চলিলেন। এই কাকে কাপড়চোপড়, কাথা, প্রভূতি যাহা কাচিবার তাহা সময় খানিকটা যাইবে । এতক্ষণ বাড়ী একলা ফেলিয়া যাওয়া যায় না, ‘ কাজেই স্কুল রাটা আগলাইয়া রহিল। মা ফিরিলে পর সে /*ाहेzप । * সকলের স্নান খাওয়া সারিতে সারিতে একট-দেড়টা বাজিয়া যায়, তাহার পর দাওয়ায় মাকুর পাতিয়া প্রিয়বালা একটু গড়াইয়া নেন । গড়াইতে গড়াইতে ঘুম আসিয়া যায়। রোদ দাওয়ার কোল হইতে নামিয়া গেলে একটু শীত-শীত করে, তাহাতেই তাহার ঘুম ভাঙিয়া যায়। ছেলেটাকে কাথা চাপা দিয়া উঠিয়া পড়েন। আবার বিকালের পাট नांद्रिzड श्इं८ब ड ? বিকালে রান্না বড় বেশী করিতে হয় না। ওবেলার ডাল-তরকারি সবই থাকে, শুধু কোনওমতে এক হাড়ি छाउ नाभाङ्ग्रेग्रो ९न्6छ| নেহাৎ অবেলায় মাছ-টাছ আসিয়া পড়িলে অন্য কথা । তাহা না হইলে শীত গ্রীষ্ম বারো মাস এই নিয়মেই প্রিয়বালার সংসার চলে।

মাটির বাস। ^ ve ” صے-م ( و ) আবার বৎসর ঘুরিয়া পূজার ছুটি আসিয়া পড়িল । আর তিন-চার দিন পরেই স্কুল বন্ধ ट्झेरद् মৃণালের এবার পরীক্ষার বৎসর, ডিসেম্বর মাসের প্রথমেই টেষ্ট, দিতে হইবে। এবার ছুটিতে সে বাড়ী যাইবে কি না তাহা এখনও ভাবিয়া ঠিক করিতে পারে নাই। পড়াশুনা অনেক বাকী, মামার বাড়ীতে ছেলেপিলের গোলমালে পড়িবার স্থবিধা মোটেই হয় না। বাড়ীর ভিতর জায়গা এমন নাই যে নিরিবিলি বসিয়া সে পাঠচর্চা করিবে। চিনি, টিনি আর কান্ত ত দিদি বাড়ী গেলে তাহার আঁচল ছাড়িয়া এক দণ্ড নড়িতে চায় না, তাহাদিগকে মৃণাল ঠেকাইয়া রাখিবে কি করিয়া ? বাড়ীর বাহিরে জায়গার অভাব নাই, কিন্তু পড়ায় মন বসে কই ? পল্লীগ্রামের স্থনীল উদার আকাশ, দিগন্তবিস্তৃত খোলা মাঠ, ঘন নীল গাছের সারি মৃণালের মনকে যেন হাতছানি দিয়া ডাকিতে থাকে, হাতের दङ्के কখন হাত হইতে খসিয়া কোলে লুটাইয় পড়ে তাহা সে জানিতেও পারে না। এমনভাবে পড়া করিলে টেষ্টে । তাহার উত্তীর্ণ হওয়া শক্ত। বয়স তাহার এমনিই সতর বৎসর হইতে চলিল, এখনও যদি ম্যাটিক দিতে না পারে ত কবে পরিবে? আর বাবাই বা আর কতদিন তাহাকে খরচ দিবেন তাহাই বা কে বলিতে পারে। হাপানির অমুখ বাড়িয়া তিনি ত ক্রমেই অক্ষম হইয়া পড়িতেছেন। জমিদারী-সেরেস্তার কাজটি যদি যায়, তাহা হইলে অতগুলি ছেলেমেয়ে লইয়া অৰ্দ্ধেক দিন তাহাকে না খাইয়াই কাটাইতে হইবে, তখন কি আর তিনি মৃণালকে পড়াইবার টাকা দিতে পারিবেন ? মামাবাবুর অবস্থা পাড়াগায়ের হিসাবে সচ্ছল হইলেও এতটা নগদ টাকা তাহার নাই যে মাসে মাসে অতগুলি টাকা মৃণালকে পাঠাইতে পারেন। আর কেনই বা পাঠাইবেন ? মৃণালের স্কুলে পড়া তাহারা মোটে পছন্দই করেন না, মামীমার ত ইহাতে ঘোর আপত্তি। মৃণাল এত বয়স পৰ্য্যন্ত অবিবাহিত থাকায় পাড়াপ্রতিবেশীর কাছে তাহাকে নানা রকম কথা শুনিতে হয়। এখন মধ্যে মধ্যে মৃগাঙ্কের কাছে তাহারা অন্তরোধ করিয়া চিঠি লেখেন শীঘ্র শীঘ্ৰ কন্তর্গর वैितांइ - দিবার জন্য। মল্লিক-মহাশয় যথাসাধ্য সাহায্য করিবেন।