পাতা:প্রবাসী কার্তিক ১৩৪৪ সংখ্যা ৭.pdf/৩৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ԶՔ প্রবাসী ՏՀԶՅՑ মৃণালের মায়েরও গহনাগাটি কিছু কিছু আছে। বেশী উঁচু নজর না করিয়া, যেমন মানুষ তেমন জামাই দেখিয়া যদি দিতে রাজী থাকেন ত মৃণালের বিবাহ সহজেই হইয়৷ যায় । মেয়ে দেখিতে স্বত্র, ঘরও ভাল। মৃগাঙ্ক ই-না কিছুই স্পষ্ট করিয়া বলেন না। এই আজন্ম-পল্লীবাসী মানুষটির মনে মেয়েকে উচ্চশিক্ষিত করিবার এমন দৃঢ়প্রতিজ্ঞার কেন যে আবির্ভাব ঘটিল তাহা কেহ ভাল করিয়া বুঝিতে পারে না। মোটের উপর বুঝা যায়, মৃণালের স্কুলের পড়াটা শেষ না হওয়া পৰ্য্যস্ত তিনি অপেক্ষাই করিবেন। মৃণাল ইহাতে খানিক আশ্বাস পায়, কিন্তু মামামামীর ভাব দেখিয়া তাহার মাঝে মাঝে ভয় হয় যে পাছে তাহারা মৃণালের বাবার অপেক্ষা না রাখিয়াই তাহার বিবাহ দিয়া দেন। বোর্ডিঙের মেয়ে দুই-একটি ইহারই মধ্যে চলিয়া যাইতে আরম্ভ করিয়াছে। স্থবিধামত সঙ্গী পাইলে দুই-চার দিন আগে চলিয়া ধাওয়ার অনুমতি সহজেই মিলে । মৃণালেরও এক দুরসম্পর্কের মেসোমশায় দুই দিন পরে তাহার মামার *ीडीब थॉट्स बाईएउटछ्न। यूनाज ड्रेच्छा कब्रिट्नई उंॉक्षत्र সদে যাইতে পারে। কিন্তু যাইবে কি ? একটা মাস **वाप्बई दि नछे श्रद ना ? बांeग्ना कि डाशत्र लुक्लिड ? কিন্তু নাযাইতে পারিলেও প্রাণ তাহার একেবারে অস্থির হইয়া উঠিবে। নির্জন সদ্যহীন বোর্ভিঙে দিন তাহার কাটিবে কেমন করিয়া ? তাহার ক্লাসের মেয়ের প্রায় नदरलझे छलिब्र घोडेरद । বিকাল হইয়া আসিয়াছে। আজ শনিবার, স্কুল মাত্র তিন ঘট হয়, অনেক আগেই ছুটি হইয় গিয়াছে। চুল বাধিয়া, কাপড় বদলাইয়া, মৃণাল বোর্ডিঙের লনে বেড়াইতে চলিল, এমন সময় মাঝপথে দরোয়ান আসিয়া একখানা মেট তাহার চোখের সম্মুখে উচু করিয়া ধরিল। তাহার সেই মেসোমশায় তাহার সহিত দেখা করিডে আসিয়াছেন। মৃণাল আবার ঘুরিয়া স্কুলবাড়ীর দিকে চলিল । ছোট্ট একখানি ঘর, মাঝে একটা চৌকে টেবিল, তিন দিকে তিনখানা চেয়ার। ইহার বেল আসবাব এ-ঘরে ধরে না। যুগলি ঘরে ঢুকিয়া বলিল, “আপনার পরও যাওয়াই ঠিক না-কি মেসোমশায় ?” ভদ্রলোকটি বলিলেন, “হ্যা। তুমি যাবে নাকি তাই জানতে এলাম।” - মৃণাল আর কিছু না ভাবিয়া-চিন্তিয়া ফস করিয়া বলিয় বসিল, “হ্যা, যাব।” বলিয়াই তাহার~নিজেরই यदाद् লাগিয়া গেল। এক মিনিট আগে পর্য্যন্ত তাহার মন যাওয়া-না-যাওয়ার মধ্যে দোলা থাইতেছিল। যাক, মুখ দিয়া কথাটা যখন বাহির হইয়াই গিয়াছে, তখন যাওয়াই ঠিক । তাহার মেসোমশায় বলিলেন, “তাহলে সকাল সাড়েআটটার মধ্যে তৈরি থেকো, আমি একেবারে গাড়ী নিয়েই আসব। পার ত কিছু খেয়ে নিও, পৌছতে সেই ত বেল গড়িয়ে যাবে।” o A মৃণাল বলিল, “আচ্ছ, যদি খেতে পাই ত খেয়েই নেব, না-হলেও ভাবনা নেই, তিনটের সময় বাড়ী গিয়েই খাওয় যাবে।” তাহার মেসোমশায় চলিয়া গেলে মৃণাল আবার সঙ্গিনীদের মধ্যে গিয়া জুটিল। প্রমীলাকে বলিল, “বাড়ী যাওয়াই ঠিক ক’রে এলাম রে ।” প্রমীলা বলিল, “বেশ করেছিস, এক মাস ধরে মামমামীর আদর ই ক’রে গিলে, টেষ্টে গোল্লা পাস এখন।" মৃণাল বলিল, “ন, এবার পড়াশুনো একটু একটু করতে চেষ্টা করব ।” ച - -- মাঝের দিন দুইটা কাটিতেই যেন চায় না। নীল । সরিলে ঘণ্টাগুলিকে ঠেলা মারিয়া পার করিয়া দেয়। সুখের ক্ষণগুলি যেন হাওয়ায় উড়িয়া চলে আর অন্য সময় তাহাদের গতি কি একেবারেই লুপ্ত হইয়া যায় ? ক্রমাগত ঘড়ি দেখিতে দেথিতে মৃণালের চোখ যেন টাটাইতে থাকে। যাইবার আগের দিনটায় তবু জিনিষপত্র গুছাইবার কাজে সময়টা কিছু তাড়াতাড়ি কাটিল। রাত্রে বেড়িঙের মেট্রনের কাছে গিয়া মৃণাল বলিল, “মাসীম, কাল সকালের ট্রেনে আমি যাচ্ছি, ভাত তখন হবে কি ?” মাসীমা বলিলেন, “আলুভাতে ভাত হবে আর কি ? অত সকালে ত্ব আর মাছ-মাংস হতে পারে না?” : আলুভাতে ভাত পাইলেই ঢের হয়। মাছ-মাংস |