পাতা:প্রবাসী কার্তিক ১৩৪৪ সংখ্যা ৭.pdf/৬৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কাভিক জণপণন ষণত্রণ ԳՓ এদিক ওদিক্‌ ঘুরছে, সকালে কেউ বা জলে দাড়িয়ে স্বৰ্য্যস্তব করছে, কেউ বা তাড়াতাড়ি স্নান সেরে ফিরে যাচ্ছে, কাকে ঝণকে পায়রা কখনও উড়ে এসে ভিজে বালির উপর বসছে, কথনও বা ভাটার টানে বেরিয়ে-পড়া পাথরগুলার মধ্যে একটা ঘোড়া এসে চুপ ক'রে দাড়িয়ে আছে। সমুদ্রের ধারের এই পথে সকালে ও বিকালে অসংখ্য মোটর বিহারী ও পথচারী দেখা যায়। কত জা’তের সব মানুষ ! মেয়েদের পোষাক দেখলেই বোঝা যায় গুজরাটি না পাশী না মারাঠি । পুরুষদের চেনা অত সহজ নয়। কয়েক বছর আগে ভদ্র মারাঠি মেয়েদের মধ্যে কাছ দিয়ে কাপড় পরার প্রথা যতটা ছিল এখন আর ততটা নেই। অনেকেই শুধু কোচ দিয়ে ঘুরিয়ে কাপড় পরেন। মেয়েদের অবশু এতেই বেশী ভাল দেখায়। আগে মারাঠি মেয়েদের মাথায় কাপড় দেওয়া বেশী দেখতাম না, এবার মনে হ’ল অনেকেরই মাথা ঢাকা । বাংলা দেশে মাথায় কাপড় দেওয়া ক্রমেই ক’মে যাচ্ছে ব’লে কি মহারাষ্ট্রে বাড়ছে ? ঘে দেশে যেটা চলতি নেই, সেইটাই ফ্যাশন হয় - नट्८छ । বোম্বাই মিউনিসিপ্যালিটির একটা নিয়ম দেখে আমার বেশ ভাল লাগল। আমরা যে বাড়ীতে ছিলাম তার কাছাকাছি কোথাও ময়ল ফেলা টিন দেখলাম না। কিন্তু সকালবেলাই দেখি একটা মস্ত বন্ধ গাড়ী এসে বাড়ীর সামূনে দাড়িয়ে সজোরে বাণী বাজাচ্ছে। বাশীর স্বরে প্রত্যেক বাড়ী থেকে ঝি-চাকরের ঝুড়ি বালতি ও টিন নিয়ে ছুটে বেরিয়ে এল। সেগুলি আবর্জনাতে ভৰ্ত্তি। মোটর গাড়ীটির গায়ে ইংরেজীতে লেখা আছে “আমাকে বোঝাই ক’রে দাও, কিন্তু রাস্তা নোংরা ক’রো না।” চাকর-বকিরেরা তাদের বাড়ীর আবর্জনাগুলি গাড়ীর ভিতর ঢেলে দিতেই গাড়ীটা আর একটু এগিয়ে গিয়ে অন্য দরজায় বাণী বাজাতে সুরু করল । গাড়ীটার উপর ও চারপাশ বন্ধ, আমাদের কলিকাতা কর্পোরেশনের গাড়ীর মত খোলা নয় । আবর্জন ফেলার এই রকম নিয়মে পথঘাট নোংরা হয় না, রোগ ছড়ায় না এবং মানুষের চোখ ও নাক অনেক অত্যাচারের হাত থেকে মুক্ত থাকে। বোম্বাই শহরে সর্বত্র এই রকম নিয়ম আছে কি না জানি না, কিন্তু যেটুকুতে আছে সেইটুকুই অন্যান্য স্থানের অন্তকরণ করবার যোগ্য । ছয় বৎসর আগে প্রথম যখন আমি বোম্বাই আসি, তখন শহরটিকে যত পরিষ্কার ও সুন্দর মনে করেছিলাম, এবার দেখলাম ঠিক তেমন নয়। অনেক জিনিষ তখন চোখে পড়েনি, এবার দেখতে পেলাম। এখানেও ফ্ল্যাটওয়ালা বাড়ীর সিড়ি থুতুতে ভৰ্ত্তি, রাস্তার উপর ময়লা কাপড় শুকানো ও অন্যান্ত অপরিচ্ছন্নতা বাংলা দেশের মতই রয়েছে। অবশ্য বাংলার চেয়ে কতটা কম কি বেশী দু-চার দিনে তা বোঝা যায় না। জাপানে শীতের প্রভাত । ৯ই দুপুর বেলা দেড়টায় আমাদের জাহাজ আনিও মারু'র ছাড়বার কথা। সমুদ্রযাত্রা আজকাল বাংলা দেশে অনেকেই করছেন। মেয়েরাও বাদ যান না, মৃতরাং বাঙালীর কাছে এটা আর আগের মত তাজব ব্যাপার নেই। তবে আমি নিজে ইতিপূৰ্ব্বে জাহাজে কোথাও যাইনি ব’লে আমার কাছে অনেক জিনিষই নূতন লাগছিল। আলেকজান্দ্র ডকের গেটে আমাদের গাড়ীটা ঢুকতেই পুলিস আটকাল । তাদের এলাকায় ঢোকবামাত্র তাদের আইনকানুন মত চলতে হবে। অবহু পোট চার্জের টাকা