পাতা:প্রবাসী কার্তিক ১৩৪৪ সংখ্যা ৭.pdf/৯৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

* Է, Շo প্রবণসী ՏՎՅՅ হেমেন্দ্র ধীরেসুস্থে চা জলখাবার শেষ করিয়া প্লেট ও পেয়ালা নামাইয়া রাখিয়া জিজ্ঞাসা করিল, “বাইরে ত মেঘ যথেষ্ট, আবার ঘরের ভিতরে কেন ?" - হুনয়নী বলিল, “তোমাদের কি, দিব্যি থাছদচ্ছি, ধবিত্ব করছ। আমরাও ত মাহুম, আমাদেরও ত স্থখদুঃখ আছে, ঙা ত তোমাদের মনেই থাকে না।” হেমেন্দ্র বলিল, “বাপ, মনে আবার থাকে না! কার জন্তে এই দশটার থেকে ছ’ট অবধি নাকে দড়ি দিয়ে থাটি শুনি ?” স্বনয়নী বলিল, “তা জানি না।” হেমেন্দ্র অতিশয় আহত মুখ করিয়া বলিল, “ত জানবে কেন ? তা হলে আর মেয়েমানুষ হয়ে জন্মাবে কেন ? তা না-হয় জানই না, কিন্তু ভোর সন্ধোবেলা কেঁদে নাক-মুখ ফুলিয়ে বসে আছ কেন শুনি ?” বলিয়া কোন লাভ নাই, কিন্তু কাহারও কাছে মনের দুঃখ না বলিয়া মানুষ কি বঁচে ? সুনয়নী বলিয়াই ফেলিল, “বাবার বড় অসুখ, মা আমাকে নেবার জন্যে চিঠি লিখেছেন, তা এরা দেবেন না।” বলিতে বলিতে সে আবার র্কাদিসু ফেলিল । হেমেন্দ্র সিগারেট-কেস হইতে আর-একটা সিগারেট বাহির করিয়া ধরাইয়া বলিল, “কেন পাঠাতে চান Fil ?" - স্বনয়নীর কণ্ঠস্বরে এবার একটু ক্রোধের স্থর ধরা গেল, সে বলিল, “সে কি তুমি আমার চেয়ে কম জান ? তোমার মা-বাবা, তোমারই ত বেশী জানবার কথা।” স্ত্রীকে রাগিতে দেখিলেই হেমেন্দ্রের মেজাজ তৎক্ষণাৎ সপ্তমে চড়িয়া যাইত। স্ত্রীলোক আবার রাগিবে কি ? তাৎ শ্বশুরবাড়ীর কাহারও উপর। ইহা একেবারেই অনাচার, এবং স্বামীর প্রতি প্রীতির অভাব । বলিল, “হ্যাঁ, হ্যা, তারা যে আমার মা-বাপ আর তোমার পরম শক্র তা আমার জানা আছে, তোমাকে মনে করিয়ে দিতে হবে না। তবু তারা কি এমন বললেন, যাতে এমন মহাপ্রলয় ঘটে গেল, সেইটাই শুনি না ?” মুনমুনী বলিল, “তোমার শুনতে চাওয়াই বা কেন, আর তা নিয়ে অত মেজাজ দেখানই বা কেন ? আমি | ত তোমায় যেচে বলতে আসিনি ? আমার মনে কষ্ট । হলে আমি কাদব না ? তোমরা না-হয় আমাকে কলের পুতুল ভাব, কিন্তু আসলে ত আমি রক্তমাংসের মানুষ?" হেমেন্দ্র বলিল, “এই নাও, কোথা থেকে কি কথা এনে ফেললে ? মাহুষ তা কে অস্বীকার করছে ? কলেৱ পুতুলই যদি হতে তাহলে তুমি কাদলেই বা আমার কি এসে যেত! তোমরা মোটেই লজিক্যাল জাত নও " হুনসুনী বলিল, “তা লজিক-পড়া মেয়ে নিয়ে এলেই ত হত ? তারও ত আজকাল অভাব নেই ? তবে তাকে নিয়ে এমন কাণ্ডকারখান। চলত না।” হেমেন্দ্রের পৌরুষে আঘাত লাগিল। সে বলিল, তাই নাকি ? লজিক-পড়া মেয়েরা এসেই বুঝি শ্বশুর-শাস্ত্রীকে ঝাটা মেরে তাড়িয়ে দেয় আর স্বামীর নাকে দড়ি দিৰে ঘোরাতে থাকে ? তা হলে ত স্ত্রী-শিক্ষা অতি উত্তম জিনিষ বলতে হবে।” স্বনয়নীর এখন ঝগড়া করিবার ইচ্ছা ছিল না। মে ८°ब्रांव्ल त्रीब्रिम्ल खेzाइंग्र टाईम| पत्र श्,उ बांश्ञि इहेछ cभज। এখনও রান্নার কাজ বাকি, বাড়ীম্বদ্ধ সকলকে পরিবেশন করিয়া খাওয়াইতেও তাঁহাকেই হইবে। এমনই তাহার আজ অবসর, স্বামীর সহিত আবার একপালা ঝগড়া হইরে সারারাত্রি তাহার শাস্তি থাকিবে না। ভোরে উঠাই তাহাকে রান্নাঘরের কাজে লাগিতে হয়, রাত্রিক্তে একটু না ঘুমাইলে সে বঁাচে না। পেয়ালী-পীরিচ ধুইয়া তুলিয়া রাথিয় সে ভাত চড়াইবাৰ । আয়োজন করিতে লাগিল । এ-বেলা রান্নাঘরে আন কাহারও সাক্ষাংলাভ ঘটে না। সকালে তাড়া থাকে, কাজেই স্বরবাল বধুর কাজে সাহায্য করিতে আসেন। সাহায্যট। অবখ্য সমালোচনার রূপ ধরিয়াই বেশীর ভাণ প্রকাশ পায়। যাহা হউক, ঠিক। ঝি শীতলের মা অনেকটাই সাহায্য করে, পুটুরাণীর মর্জি হইলে সেও মধ্যে মধ্যে আসিয়া তরকারিট কুটিয়া দেয় বা মাছে নুন-হলুদ মাখাইম দেয়, কাজেই এক রকম করিয়া কাজ উদ্ধার হইয়া যায়। এ-বেলা স্ননয়নী একলাই যাহা করিবার করে। হেমেন্দ্রের কিন্তু মাঝপথে কথাটাকে চাপা দিবার ইচ্ছ ছিল না । স্ত্রীকে সোজাসুজি ডাকা যায় না, বাবা অথবা