পাতা:প্রবাসী ভাদ্র ১৩৪৪ সংখ্যা ৫.pdf/১০৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

מכלף ন্যায় মাথা ও ঘাড় ঘুরাইয়া ফিরাইয়া এমন কি গলা বাড়াইসু ও হেলাইয়ু দোলাইয়। চতুর্দিকের অবস্থা তদারক করিবার কৌশল আয়ত্ত করিয়া লইয়াছে। দূর হইতে আবছাগোছের কিছু একটা তীরচিহ্নিত স্থানের ফড়িংটিকে শিকার করিবার জন্য সাড়াশি উদ্যত করিয়া গঙ্গাফড়িং প্রস্তুত । প্রবাসী পা বা হাত দুইখানি প্রসারিত চকরিয়া মাথ৷ उँछू दद्रिद्रा रु চাহিয়া থাকে । বস্থটা কি তাহ। সম্যক্‌ উপলব্ধি করিত্রে = পারিলে—লঙ্গ। কাঠির মত গলাটি হেলাইয়া দোলাইয়। এর ওদিক বেশ করিয়া দেখিবার চেষ্টা করে, কিন্তু পরিষ্কার অন না বুঝিয়া সহস নিকটস্থ হয় না । ইহাতেও সুবিধা = হইলে মাথাটি ঘুরাইয়। ফিরাইয়া চারি দিকের অবস্থা জিৰ ভাবে তদন্ত করে । জিরাফের লম্বা গল। যেমন বহুদুর ইত্ৰ কোন নির্দিষ্ট স্থানের অবস্থা লক্ষ্য করিবার সহায়তা কন ইহঁদেরও ঠিক তেমনি । সমগ্র শরীরের প্রায় অৰ্দ্ধেক লম্বা কা মত গল। উচু করিয়৷ ইহার জিরাফদের মতই দূর হইতে শিক্ষ অথবা শত্রুর গতিবিধি পৰ্য্যবেক্ষণ করে । তখন ইহাৰুি দেখিয়া মনে এক অদ্ভুত ভাবের উদয় হয়—নিম্নশ্রেণীর নয় জাতীয় প্রাণী বলিয়া কিছুতেই ধারণা করিতে প্রবৃত্তি হয় - পৃথিবীর প্রায় সকল দেশেই বিভিন্ন আকৃতির গঙ্গাৰদেখিতে পাওয়া যায় । সম্মুখের পা দুইখানি অনন। প্রার্থনারত মনুষ্যের যুক্ত-হস্তের মত ভাজ করিয়া রাখে ৰাম সাধারণতঃ ইহারা “প্রার্থনারত ম্যাটিস" নামে অভিহিত হয়। থাকে। এদেশে ইহুদিগকে গঙ্গাইলাস বা গঙ্গাফড়িং বন থাকে। ফড়িঙের সঙ্গে ইহাদের দৈহিক আকৃতির অনেক সামঞ্জস্য থাকিলেও গঙ্গাফড়িং নামের তাৎপৰ্য্য ঠিক বুঝা যাৰ । পূৰ্ব্ববঙ্গের কোন কোন অঞ্চলে ইহাদিগকে “সাপের মালী” ৰন থাকে এবং সাধারণ পতঙ্গ হইতে ভিন্ন ইহাদের অত্যভূত চালs দেখিয়া কতকটা ভীতিবিমিশ্রিত চোখে দেখে । সাপ যেমন - তুলিয়া এদিক-ওদিক দুলিতে থাকে—ইহাদিগকেও ঠিক সেইজন দেখায় । বোধ হয় এই কারণেই সাপের মাসী' নামকরণ হইয়াৰ পৃথিবীতে এপর্য্যন্ত প্রায় আট শতের উপর বিভিন্ন জাগু। গঙ্গাফড়িং শিকারটিকে সাড়াশি দ্বার চাপিয় ধরি - * আহারের উদ্যোগ করিতেছে । দেখিতে পাইলেই যুক্তকরে প্রার্থনাবত মায়বের মত সম্মুখের বামে, শুদপত্র-অনুকরণকারী পুরুষ গঙ্গাফড়িং ; দক্ষিণে, সবুজ, গঙ্গাফড়িং। উভয়ে দেখা হইবামাত্র লড়াই বাধিবার উপক্রম হইয়াছে।