পাতা:প্রবাসী ভাদ্র ১৩৪৪ সংখ্যা ৫.pdf/১০৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

マt了 পঞ্চশস্য ՀՏՏ প্লাড়ি দেখিতে পাওয়া গিয়াছে। আমাদের দেশেই প্রায় লিপচিশ রকমের বিভিন্ন শ্রেণীর গঙ্গাফড়িং দেখিতে পাওয়া যায়। :া কচি কলাপাতার মত সবুজ রঙের গঙ্গাফড়িংই সমধিক 覽 এই প্রসঙ্গে আমরা সবুজ গঙ্গাফড়িঙের বিষয়ই আলোচনা ऋग्निडहि। क्लेशद्रा 2ाग्न थाऽाझे श्प्ड डिग रुद्द्िं ज्ञश्वरः। : ইছাদের দেহের আকৃতি অদ্ভুত ; অন্যান্য সাধারণ ফড়িং বা দের মত নহে।-পেটের দিক প্রায় দেড় ইঞ্চি লম্বী । সৰু কাঠির ন গলাটও এক ইঞ্চি দেড় ইঞ্চি লম্বা হয় । বড় বড় চোখওয়াল ফলাকার মস্তকটি যেন এই কাঠির মাথায় আলাভাবে স্থাপিত দিছে। মাথার দুই পাশে শিঙের মত দুইটি শুড় আছে । সদস্যভাগে মস্তকের ঠিক নিয়েই এক জোড়া চ্যাস্ট পী । এই হাড় বড়ই অদ্ভূত। উপরে নীচে করাতের দাতের মত সারলগবে অনেগুলি কাটা সজ্জিত। এই পা-জোড় ঠিক সাড়শির তে রদ হাতের কাজ করে । সৰ্ব্বদাই দুইখানি পা জোড় করিয়া প্রানের ভঙ্গীতে অবস্থান করে । পেটের সম্মুখভাগে বাকী চারদান প। ইহাদের গঠন সাধারণ কীট-পতঙ্গের পায়ের মত । প্রাভাগে বৃক্ষ সূক্ষ বাকানে। নখ আছে। এই ঢারিখানি পায়ের নামেই ইহার লতাপাতার উপর চলাফের করে । সম্মুখের পী ইদানির সাহায্যে শক্রকে আক্রমণ শিকার ধর বা আহার্য গলাধঃগণপ্রভৃতি কাৰ্য্য করিয়া থাকে। শিকার একবার এই সাড়শির মত পায়ের কবলে পড়িলে আর পলাইবার উপায় থাকে না ; তার পর শিকার মুখের কাছে লইয়া ঠিক হনুমানের মত ভঙ্গীতে ধীরে ম: ভক্ষণ করিয়া থাকে। ইহার নানা জাতীয় ফড়িং, কীটপতঙ্গ প্রভৃতি খাইয়া উজাড় করিয়া ফেলে। কোন কোন দেশে দেন গঙ্গাফড়িংও দেখিতে পাওয়া যায়, যাহার ছোট ছোট পাখী, বা টিকটিকি প্রভূতি ধরিয়া খাইয় থাকে। এদেশীয় সবুজ রঙের গঙ্গাফড়িগুলি অপেক্ষাকৃত ছোট ছোট স্বজাতীয়দের খাইয়া থাকে। স্বাগঙ্গাফড়িং সুবিধা পাইলে পুরুষদিগকে ধরিয়া খাইয় ফেলে। ইহা সাধারণতঃ লতাপাতার মধ্যে শিকার অন্বেষণে হাটিয়া বেড়ায় ; প্রয়োজন বোধ করিলে ডান মেলিয়া দূরতর স্থানে উড়িয়া না। ইহাদের গায়ের রং সবুজ লতাপাতার মধ্যে এমন ভাবে শিয়া থাকে যে, শত্র কিংবা শিকার কেহই ইহাদিগের অস্তিত্ব টুপী না। শিকার দেখিতে পাইলেই অতি সন্তপণে নিকটে আদি সম্মুখের সাড়াশি উচাইয় নিশ্চল ভাবে অবস্থান করে এর সুবিধামত আক্রমণ করিয়া সাড়াশি দিয়া চাপিয়া ধরিয়া নদ । এদেশীয় গঙ্গাইলাসূ-গঙ্গাইলয়েডস্ ও সবুজ রঙের গঙ্গাপ্রিল শিকার ধরিবার জন্য সময়ে সময়ে অদ্ভুত কৌশল অবলম্বন দি থাকে। লতাপাতার গুচ্ছ বা পল্লবের উপর এমন ভাবে দি থাকে ধিন এক জাতীয় ফুল বা কচিপাতার মত মনে হয় । ট্রান্তদে ফুল বা পাতাগুলি যেমন আস্তে আস্তে দোলে, ;ia সেইরূপ গলা নাড়িয়া আস্তে আস্তে দোল খাইতে থাকেজলজ কীটপতদের ভ্রান্ত ধারণার বশবৰ্ত্তী হইয়া ঐস্থানে অবsণ করিবামাত্রই গঙ্গাফড়িঙের কবলে পড়িয়া প্রাণ হারায় । গণতঃ গঙ্গাফড়িঙের অনুকরণশক্তি অত্যন্ত প্রবল এবং নিখুত । হেন দেশীয় এক জাতের গঙ্গাফড়িং উই ধরিয়া খায়, এজন্য জন উইয়ের চেহারার অনুকরণ করিয়া থাকে। আমাদের দেশীয় সবুজ, কাল-ডোরাকাটা ও ধুসর রঙের গঙ্গাফড়িংকেও লতাপাতার মধ্য হইতে চিনিয়া বাহির করা দুষ্কর । উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের অনেক জাতীয় গঙ্গাফড়িংকে হাতে ধরিয়াও বুঝিতে পারা যায় না যে ইহার শুষ্ক পত্র না জীবন্ত প্রাণী । এমনই ইহাদের দেহের কারিগরি যে দেখিলে অবাক হইয়া থাকিতে হয়। ছবিতে দেখা যাইতেছে এইরূপ এক জাতীয় পুরুষ-গঙ্গাফড়িংকে সবুজ গঙ্গাফড়িঙের নিকটে একই গাছে ছাড়িয়া দেওয়াতে লড়াই বাধিবার উপক্রম হইয়াছে। লড়াইয়ের ফলে অবশেষে গঙ্গাফড়িংটিকে সবুজ ফড়িংটির হাতে পড়িয়া প্রাণত্যাগ করিতে হইয়াছিল । আমাদের দেশে নালা, ডোবা ও পুকুরের মধ্যে অনেকটা গঙ্গাফড়িঙের অনুরূপ ধূসর রঙের এক জাতীয় পতঙ্গ দেখিতে পাওয়া যায়। ইহাদের মুখের সম্মুখে হাতের মত ভাজকরা দুইখানি সাড়াশি আছে ; ইহার সাহায্যে তাহারা শিকার ধরে এবং গঙ্গাফড়িঙের মত ডানাও আছে—প্রয়োজন-মত এক জলাশয় হইতে অন্য জলাশয়ে উড়িয়া যাইতে পারে। শিকার ধরিবার কৌশলও ঠিক গঙ্গাফড়িঙের অনুরূপ। ইহাদিগকে অনেকে মেছো-গঙ্গাফড়িং বলিয় থাকে । কারণ মাছই ইহাদের প্রধান শিকার। - স্ত্রী-গঙ্গাফড়িং সুপারির মত এক দিকে স্বচলে একটি গুটার মধ্যে ডিম পাড়িয় তাহ গাছের ডালে আটকাইয়া রাখে। এক-একটা গুটীর মধ্যে ২৫ ৩০ হইতে ৩-৪ টা পৰ্য্যন্ত ডিম থাকে । সাধারণতঃ গ্রীষ্মের প্রারম্ভেই ডিম কুটিয়া বাচ্চাগুলি গুটা হইতে বাহির হইয় আসে। আকুতি-প্রকৃতিতে বাচ্চাগুলিকে দেখিতে পরিণতবয়স্কদের মতই, কিন্তু ইহাদের ডানা থাকে ন। আবদ্ধ স্থানে রাখিয়া ইহাদের ডিম ফুটাইয়া দেখিয়াছি—দলবদ্ধ ভাবে ইহাদের চালচলন ও গতিভঙ্গী অত্যন্ত কৌতুহলোদ্দীপক। আলিপুরের পশুশালায় নীল-গলাওয়াল সারসগুলির গতিভঙ্গী বোধ হয় অনেকেই লক্ষ্য করিয়াছেন ; কেহ এক দিক দিয়া অগ্রসর হইলেই छझाद्र। गदtञझे १ञा वाऽडेिअ হেলিয়া ছলিয়া একসঙ্গে এক দিকে সরিয়া যায়। একটিতে যেরূপ করিবে অপরগুলিও ঠিক গড্ডলিকাপ্রবাহের মত সেইরূপই করিবে: এই গঙ্গাফড়িঙের বাচ্চাগুলিও ঠিক সেইরূপ—এক দিক দিয়া একটু ভয় দেখাইলে বা কোন কিছু আগাইয়া ধরিলে जीवनंज्ञिंद्र भयं *न) বাড়াইয়া ও হেলিয়া তুলিয়৷ দলবদ্ধভাবে অপর দিকে ছুটির সাপ * ** স্থানে জটলা করিয়া ফিরাইয়া অতি অদ্ভুত ভঙ্গীতে শক্রর মাথা ও লম্ব। গলা ঘুরাইয়। - গতিবিধি পৰ্য্যবেক্ষণ করিতে থাকে। বায়স্কোপে আফ্রিকার জঙ্গলের জিরাফের দলকে যেরূপ ভাবে ছুটিতে দেখিয়াছি—গপ ফড়িঙের বাচ্চাগুলির একযোগে পলায়ন দেখিতেও অনেকটা সেইরূপ ৷ গঙ্গাফড়িং সম্বন্ধে পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলে নানাবিধ অভূত ধারণা ও কুসংস্কার প্রচলিত আছে। প্রাচীন গ্রীকেরা ইহাদিগকে দৈবশক্তিসম্পন্ন এক অদ্ভুত প্রাণী "" করিত । তুকা ও আরবীদের ধারণা যে ইহারা সৰ্ব্বদাই মক্কার দিকে মুখ করিয়া প্রার্থনায় রত থাকে। ইহাদের অভূত আকৃতি-প্রকৃতি হইতেই এই সব নানাবিধ ধারণ স্থষ্টি হইয়াছে ৷ - শ্ৰীগোপালচন্দ্র ভট্টাচাৰ্য্য এই প্রবন্ধের চিত্রগুলি লেখক কর্তৃক গৃহীত । ] ائے۔