পাতা:প্রবাসী ভাদ্র ১৩৪৪ সংখ্যা ৫.pdf/১০৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মাটির বাসা শ্রীসীতা দেবী * * *. ( S) রাত আটটার বেশী হয় নাই, কিন্তু পাড়াগায়ে ইহারই মধ্যে চারিদিকু নিঝুম। মাঝে মাঝে কুকুরের ডাক বা দূরে শিয়ালের ডাক শোনা যায়, বা বিঝিপোকার ঝঙ্কার নীরবতার সাগরে মুহু তরঙ্গ তুলিয়া যায়। কৃষ্ণপক্ষের রাত্রি, নিকষ কালো অন্ধকারের শ্ৰোতে গ্রামখানি যেন নিশ্চিহ্ন হইয়া গিয়াছে। গৃহস্থবাড়ীতে কোথাও বা প্রদীপ জলিতেছে, কোথাও বা ঘর আঁধার, সব কয়টি মানুষই ঘুমাইয়া পড়িয়াছে। শীতকাল, সন্ধ্যা श्रउ-न-श्रउ बाश्री হউক কিছু খাইয়া, কাথা লেপ যাহার যা জুটিল তাহাই গায়ে দিয়া শুইয়া পড়িতে পারিলে সকলে বঁাচে । বড় শহর নয় যে দিনকে রাত করিয়া কোনও লাভ ठ्ड्रेटव । দিনের বেল অনেক কাজ থাকে, রাত্রে ঘুমানো ছাড়া আর যে কি করা যায় তাহ পাড়াগায়ের লোক খুজিয়া পায় না। নিত্য আমোদ-প্রমোদের কোনও ব্যবস্থা এখানে নাই, নিতান্ত কাহারও বাড়ী বিবাহ, অন্নপ্রাশন বা পৈতা কিছু থাকিলে কয়েকটা দিন হৈচৈ করিয়া ইহাদের কাটে ভালই । পড়াশুনার অভ্যাস কাহারও বিশেষ নাই, সুতরাং অনর্থক তেল পোড়াইয়া লেখাপড়া করিতে কেহ তেমন বসে না । ৎসব পথ বাঁহাদের আছে, তাহারা গ্রামে থাকিবে কোন হণ বড় বড় শহরগুলি তাহাদের জন্য পaি আছে । গ্রামের স্কুলে যাহারা পড়ে, তাহাদেরও রাত্রিতে পড়িবার প্রয়োজন পরীক্ষার আগের সপ্তাহ ছাড়া আর কোনও সময়েই হয় না। তবু মল্লিকদের বাড়ীর বড় ঘরখানা এখনও এa জলিতেছে। এই ঘরখানি এ-বাড়ীর মধ্যে সকল a, ও ভাল, আরও ছোট ছোট দুখানি ঘর আছে বটে, কিন্তু বিশেষ লোকজনের ঠেলাঠেলি না হইলে সেগুলিতে কেহ শুইতে যায় না। জিনিষপত্রে সর্বদাই সেগুলি ঠাল, কর্তক বা দরকারী জিনিষ, নিত্য ব্যবহার্য্য, কতক একেৰা অকেজো ভাঙাচোরা সাতকেলে পুরানো, তবু প্ৰাণ ধনি গৃহস্থ সেগুলিকে বিদায় দিতে পারে নাই । সেগুলির = কত হারানো প্রিয়জনের, কত বিগত মুখের দিনের মন্ত্ৰ স্মৃতি জড়িত। তাই তাহারা এখন ঘর জুড়িয়া আছে বড় ঘরখানিতে মল্লিক-গৃহিণী সব কয়টি ছেলেমের লইয়া শয়ন করেন। কৰ্ত্ত নিতান্ত শীত বা বর্ষ। *ज्रःि তবে ঘরে ঢোকেন, ভিতরের দিকের দাওয়ায় তীয় তক্তাপোযথানি সদাসৰ্ব্বদা পাতা থাকে । মৃণাল আলো জালিয়া জিনিষ গুছাইতেছে। ৰান দশটার গ্যড়ীতে তাহাকে কলিকাতা যাত্রা করিতে হইৰে৷ পূজার ছুটি শেষ হইয়া গেল, তাহার স্কুল খুলিতে আৰু মাত্র দুই দিন দেরি। এবার পূজা পড়িয়াছিল কান্তিৰে কাজেই ইহারই মধ্যে রীতিমত শীত দেখা দিয়াছে। অনেক দিনের পুরানো রংচটা একটা ষ্টীল ট্রাঙ্কে মুগা নিজের বই খাতা, কাপড়চোপড় সব গুছাইয়া রাখিতেছিল। মামীম তখন পাশের ঘরে কি যেন করিতেছেন, হাড়িজুৰি নাড়ার শব্দ মাঝে মাঝে পাওয়া যাইতেছে । ছেলেমেন চারিটিই ঘুমাইয় পড়িয়াছে। ইহারা জাগিয়া থাকিয়ে কাহারও সাধ্য হয় না কোনও কাজ নিরিবিলিতে করিবার। গুছানো জিনিষ অগোছাল করিতে, জিনিষপত্র বাড়ীমঃ छ्प्लॉईंप्उ, थङि काट्छ वांधी खबाई८ङ ईशब्रा अविडौश। ছোট থোকা কাহকে তাহার মা কোমরে গামছা বাধিয় তক্তাপোষের খুরার সহিত বাধিয়া রাখিয়া তবে রান্নাবাঙ্গন কাজ করিতে পারেন। না হইলে তেলে ঘিয়ে মিশাইম, দুধের কড়া উণ্টাইয়া ফেলিয়া, বাটনা লইয়া গায়ে মাৰিয় এবং তরকারির ডাল হইতে কাচা লঙ্কা তুলিয়া খাইয়া, সে বিধিমতে র্তাহাকে সাহায্য করিতে থাকে। তাহার বড় বোন দুটিও দুষ্টামিতে অদ্বিতীয়, তবে বেশী " .