পাতা:প্রবাসী ভাদ্র ১৩৪৪ সংখ্যা ৫.pdf/১০৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ԳՏՅ

তাহারই বিবাহের সময়কার পাওনা, এখনও সেগুলি নূতন রহিয়াছে। এ-সব দেখিয়া কি মৃগাঙ্ক দিনে দশ বার সেই হারানো গৃহলক্ষ্মীকে স্মরণ করেন না ? ভাবিতেই প্রিয়বালার মনে যেন কাটা ফুটিয়া যাইত । থাইতে বসিয়া মনে হইত, এই থালা বাটি গেলাস, সবই ত সতীনের সঙ্গে আসিয়াছিল। শুইতে গিয়া মনে হইত, এই খাটেই শৈলজাও শুইতেন নিশ্চয়। নিজে বিবাহের সময় কিছুই পান নাই, শাখাশাড়ী দিয়া তাহার পিতা কন্যাদায় হইতে অব্যাহতি পাইয়াছিলেন, তাহ না-হইলে প্রিয়বালা বোধ হয় এ-সব জিনিষে আগুন লাগাইয় দিতেন। কিন্তু মনে वख्झे कॅfü| ফুটুক, এইগুলি দিয়াই তাহাকে নিজের সংসার গুছাইয়া পাতিতে হইল। ভালর মধ্যে ইহার। জড় পদার্থ, ইহাদের মুখে ভাষা নাই, চোখে দৃষ্টি নাই। কেহ যদি ইহাদের ভুলিতে চায়, ইহারা জোর করিয়৷ অতীতের স্মৃতি জাগাইয়৷ দেয় না। প্রিয়বালা জোর করিয়াই সব কথা ভূলিতে চেষ্টা করিতেছিলেন, স্বামীকেও আদর-যত্নে যতটা পারেন একেবারে নিজের করিয়া লইবার চেষ্টারও ক্রটি ছিল না। কিন্তু মৃণাল তাহার সংসারে একটা মূৰ্ত্তিমতী উৎপাতের মত আসিয়া উপস্থিত হইল। এ-যে মৃত শৈলজার চোখমুখ গলার স্বর সব চুরি করিয়া লইয়া আসিয়াছে। নিজে কিছু নাই বলিল, কিন্তু কালে চোখের দৃষ্টিতে, গলার স্বরে, হাত নাড়ার স্বকুমার ভঙ্গীতে সে দিনে দশ বার করিয়া তাহার পিতাকে মনে পড়াইয়া দিতে লাগিল যে সে শৈলজার মেয়ে । প্রিয়বালা মনে মনে জলিতে লাগিলেন। মৃণালকে মুখে কিছু বলিতে পারেন না, হাজার হউক সবে মাত্র তিনি এ-সংসারে আসিয়াছেন, তাহার দাবী আর কতটুকু? ইহার মত তবু পাঁচ-ছয় বৎসর স্বামীর ঘর করিয়া গিয়াছেন, সন্তানের জননীও হইয়া গিয়াছেন। মরিয়াও এখনও তিনিই জিতিয়া আছেন। প্রিয়বালা মৃণালকে মুখে কিছু বলিলেন না বটে, তাহাকে খাইতেও দিতেন, লোকদেখানে বতুe করিতেন, কিন্তু সংসারটা তাহার নিজের কাছে বিম্বাদ হইয় ap তাহার খাইয়া মুখ নাই, শুইয়। স্থখ নাই। চোখের দৃষ্টিতে মনের বর্ণঝ যেন ঠিকরাইয় পড়ে । মৃগাঙ্ক ব্যাপার দেখিয়া দমিয়া গেলেন ; দুই বৎসর প্রবাসী ১৩৪৪ একলা লক্ষ্মীছাড়া জীবন যাপন করিয় তাহার অরুচি ৰাৱ গিয়াছিল। তাই বিবাহ করিয়াছিলেন, এবং আর স্থা না পান, আরাম পাইয়াছিলেন। শৈলজাকে বিবাহ কৱি তাহাকে লইয়। প্রথম সংসার-রচনার যে অনিৰ্ব্বচনীয় জাৰ তিনি লাভ করিয়াছিলেন, এই দ্বিতীয়বার পাতা সমান মধ্যে, প্রিয়বালার সাহচর্য্যে সে আনন্দ অবশ্ব তিনি প্রভা করেন নাই, পানও নাই। আরামটুকুর খাতিরেই তি নীচু ঘরে, অর্থের প্রত্যাশ না-রাখিয়াও ৰিকরিয়াছিলেন । নিশ্চিন্ত আরামের চেয়ে অধিক কাম্য তখন তাহার = কিছুই ছিল না। সেই আরামই যদি টুটিয়া যায়, ক্রিয় যদি রাগ করিয়া স্বত্তনিতে টক দিয়া দেন এবং উs. হইয়া বিছানা ঝাড়িতে ভুলিয়া যান ও ভাল কথা বলিনে ঝঙ্কার দিয়া উত্তর দেন, তাহা হইলে বিবাহ করিয়া জন্ম লাভ হইল কি ? তাহার চেয়ে মেয়ে যেমন মামার বাড়ীৰে ছিল তাই না হয় থাকু। এমন ত নয় যে সেখানে ৰি অযত্ন হয় ? মামা, মামী দুই জনেই তাহাকে যথেষ্ট ক্ষে করেন, তাহারা ত মৃণালকে এখানে পাঠাইতেই চান নাই খরচও মৃগাঙ্ক দিতে রাজী, যদি মল্পিক-মশায় নিতে ৱাং থাকেন। সারারাত ধূলাবালিভৰ্ত্তি বিছানায় শুইয়া, ৰং ঘুমের ব্যাঘাত হইতে লাগিল, ততই মেয়েকে অৰিজন মামার বাড়ী পাঠ:ইয়া দিবার সঙ্কল্প মূগাঙ্কের মনে দৃঢ়তৰ হইতে লাগিল । - সকালে উঠিয়াই তিনি বলিলেন, “আমি বলি কি, a তার মামার বাড়ীই থাকুক এখন কিছুদিন ।” প্রিয়বালাও ত তাই চান, কিন্তু তৎক্ষণাৎ রাজী হন্ত । গেলে লোকে বলিবে কি ? তাই বলিলেন, “এই সবে এs | - দুদিন না থেকেই চলে যাবে ? লোকে আমায়ই ত দ্বষৰ বলবে সৎমা-মাগী ঘরে ঢুকেই পর ক'রে দিলেক গা।" মৃগাঙ্ক মনে মনে বলিলেন, “নিতান্ত মিথ্যা বলতে নত কিন্তু স্বয়োরাণীর মুখের উপর আর সেকথা বলিতে স্তানৰ সাহস হইল না। বলিলেন, “না, তা বলবে কেন। বলে ত বয়েই গেল। আমরা কারও থাইও না, পৰিও । না। খুঁকির একলা এখানে ভাল লাগে না, মামার বাড়ীৰে । ভাই বোনে মিশে বেশ থাকবে। তোমারও খাটুনি বাৰে