পাতা:প্রবাসী ভাদ্র ১৩৪৪ সংখ্যা ৫.pdf/১০৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভাদ্র মাটির বাস। ৭১৫ ৪ থাকলে ।” অতএব মৃণাল আবার ফিরিয়া চলিল । কিন্তু যাইবার সময় নিজের অজ্ঞাতে সংমাকে আরও ভাল করিয়া চটাইয়া দিয়া গেল। শৈলজার পোষাকী কাপড়চোপড়, আট গাছ সোনার চুড়ি, একটি হেঁসো হার, এক জোড়া অনন্ত আর কানের একজোড়া কানবাল, এই বড়জে একটি ছোট বাক্সে তোলা ছিল। সাবধানতার খাতিরে মৃগাঙ্ক আবার তাহা শুইবার ঘরে বড় আমকাঠের দিন্দুকটার ভিতর ঢুকাইয়া রাখিয়া দিয়াছিলেন । সিন্দুকের চাবি নূতন গৃহিণীর হাতে পড়িয়াছিল বটে, কিন্তু ছোট বাক্সের চাবিটা কৰ্ত্ত তাহার হাতে দেন নাই । প্রিয়বালা বুঝিতেন যে জিনিষগুলির উপর আইনত: তাহার কোনও অধিকার নাই, সতীনের মেয়ে যখন বাচিয়া আছে। কিন্তু বে-আইনী কাণ্ডও ত জগতে কম হয় না ? তাহার প্রেমের বন্যায় ভাসিয়া গিয়া স্বামী হয়ত কোনদিন ঐ বাক্সটি তাহার হাতে তুলিয়া দিবেন, এ আশা তাহার মনে একেবারেই যে ছিল না তাহা বলা যায় না। কিন্তু মৃণাল যখন বিছানা কাপড় পুটুলি বাধিয়া গাড়ীতে উঠিয়া বসিল, তখন মুগাঙ্ক দেই ছোট বাক্সটি হঠাৎ সিন্দুক হইতে বাহির করিয়া তাহার পাশে রাখিয়া দিলেন। বলিলেন, “খুব সাবধানে নিয়ে যাস মা, তোর মায়ের সব জিনিষ আছে ওর মধ্যে। গিয়ে মামীমার হাতে দিস, তিনি তুলে রাখবেন।” .., F. গরুর গাড়ী গ্রাম্য পথে ধূলা উড়াইয়া চলিতে লাগিল, যুগান্ধও নিশ্চিন্ত হইয়া ঘরে ঢুকিলেন। মৃণাল সাগ্রহে পথ দেখিতে দেখিতে চলিল, কতক্ষণে পথটা যে শেষ হইবে কে জানে ? মামার বাড়ী ফিরিয়া যাওয়ায় তাহার লেশমাত্র আপত্তি ছিল না। নূতন মায়ের সংসারে আসিয়া অবধি তাহাঙ্গ প্রাণ খাইটাই করিতেছিল। তাহার সমস্ত মন পড়িা ছিল মামার বাড়ীর দিকে। বাবা তাহার কাছে o প্রা অপরিচিতই ছিলেন, দুই জনের ভিতর ভালবাসার বন্ধনও বিশেষ দৃঢ় হয় নাই । মামীম সন্ধ্যার প্রদীপ জালাইয়া তুলসীতলায় প্রণাম করিতেছেন এমন সময় মৃণাল ফিরিয়া আসিল । মামীমার কোলের খুকির মুখে তখন সবে ভাষা ফুটিয়াছে, সে কলরব তুলিল, “ডি ডি, আঃ আঃ ।” 5 ל-9י"b . মামীম আসিয়া মৃণালকে কোলের কাছে টানিয়া লইয়া বলিলেন, “হয়ে গেল বাপের বাড়ী বেড়ানো ?” মৃণাল ঝণকড়া চুল দোলাইয়া বলিল, “ছ”। পর ভাইবোনদের সঙ্গে খেলায় ভিড়িয়া গেল। তাহার পর মৃণালকে আর কোনও দিন বাপের বাড়ী যাইতে হয় নাই, মুগাঙ্কও আর তাহাকে ডাকেন নাই। প্রিযুবালার সংসারে এখন তাহারই পরিপূর্ণ দখল, অনেকগুলি ছেলেমেয়ে তাহার। এ-বাড়ীতে যে শৈলজার কন্যার আর কোনও স্থান নাই তাহা মৃগাঙ্ক ভাল করিয়াই বুঝিয়াছেন। জোর করিয়া এখন মৃণালকে এখানে জায়গা দিতে গেলে গৃহবিপ্লব বাধিয়া যাওয়া নিশ্চিত। তাহাতে মৃণালেরও স্বখ হইবে না। কাজেই মৃণাল মামার বাড়ীতেই থাকিয়া গেল । বাবার কাছ হইতে মাসে মাসে কিছু খরচ পাহঁত, একেবারে পরের গলগ্রহ তাহাকে হইতে হইল না। বছর দশ বয়স পর্যন্ত সে গ্রামেই ছিল। তাহার পর মৃগাঙ্কের নিকট হইতে অনুরোধ আসিল, মেয়েকে যেন কলিকাতার কোনও স্কুলে ভৰ্ত্তি করিয়া দেওয়া হয়, আজকালকরে দিনে মেয়েছেলেরও লেখাপড়া শেখা বিশেষ দরকার। মৃগাঙ্ক অনেক ভাবিয়া এই সিদ্ধাস্তে উপনীত হইয়াছিলেন। তিনি ধনী মানুষ নহেন এবং কন্যার সংখ্যা ক্রমেই বাড়িয়া চলিতেছে। টাকাকড়ি খরচ করিয়া কয় জনের বিবাহ দিতে श्रोत्रिएदन ८क छाप्न ? ७काe धनि भाश्व इहब निस्वब পথ নিজে করিয়া লইতে পারে ত মন্দ কি ? মৃণাল কাদিতে কাদিতে বোর্ডিঙে চলিল। কেন যে তাহার প্রতি এই দণ্ডবিধান হইল তাহী সে কিছুই বুঝিতে পারিল না। বৎসরের ভিতর যে দুই-তিন মাস মামার বাড়ী কাটাইতে পারিত, সেই মাস-কয়টির প্রত্যাশায় তাহার বৎসরের বাকি দিনগুলি কাটিয়া যাহত । ক্রমে সহিয়া গেল, অন্ত মেয়েদের সঙ্গে ভাব হইল, রাজধানীতে বাস করার সুবিধার দিকুও যে আছে তাহাও বুঝিল । তবু প্রাণের क्लीन এখনও তাহার সেই শৈশবের লীলাভূমির প্রতি । *75 ইটির শেষে বোডিঙে ফিরিতে তাহার কান্না পায়। তাহার ( R ) - পাশের ঘরে মামামার কাজ এতক্ষণ শেষ হইল। একটা বড় হাড়ি, মূপে তাহার পরিষ্কার ঠাকুড়া বাধা, ও একটা