পাতা:প্রবাসী ভাদ্র ১৩৪৪ সংখ্যা ৫.pdf/১১১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

उiप्च মাটির বাস। ԳՏԳ BDD DD DD BB BDDDDS BBB BBB BBBBBBS BBB S S BBB BBB BBBB BBBB BB BBBB gSBBBBB DD BD BBB DDBB uB BBB BB BBBB BBB BBBB BB BBB BB BB BD S BBBB বুহিয়াছে। ডিবাটিও বিবাহের দান-সামগ্রীর জিনিষ। গোট দুই বই শৈলজা বিবাহে বা বৌভাতে উপহার পাইয়ছিল। সেগুলির পাতাও কাটা হয় নাই, যেমন আসিয়াছে তেমনই তোলা আছে। বাক্সের এক কোণে ন্যাকড়ায় বাধা কালজিরা, আর এক কোণে গুটি চার কপূরের দাসা। কাপড়ে পোকামাকড় না লাগে তাহারই জন্ত মামীমার এই ব্যবস্থা। সবার উপর পাট-করা একটি ফিক সবুজ রঙের অল্পদামী শাল, সেটার স্থানে স্থানে ছিড়িয়া গিয়াছে। মামীম কাপড়গুলি হাত দিয়া নাড়িতে নাড়িতে বলিলেন, “ঠাকুরঝির বড় যত্ন ছিল জিনিষপত্রের ; এমন গুছিয়ে রাখত যে দে’থে মুখ হ’ত । আমার আর ওর কত কাগড় একসঙ্গে কেনা হ’ত, আমারটা দু-দিন না যেতে যেতে বিচ্ছিরি হয়ে যেত, ওর থানা থাকত যেমনকে তেমন, পাট ভেঙে যে পরেছে তাও বোধ হ’ত না । নে, কোনগুলো নিবি নে।” . মৃণাল কাপড়গুলি এক-একখানি করিয়া বাক্স হইতে বাহির করিয়া পাশে রাখিতে লাগিল। একখানি লাল বালুচরী শাড়ী, ইহা তাহার মায়ের বিবাহের কাপড়। লাল জমির উপর বড় বড় রেশমের ফুল তোলা। ফুলগুলি ফিক সোনালী রঙের, আঁচলাটি বড়ই বাহারের, কত ছবিই যে নিপুণ কারিগর কাপড়ের গায়ে বুনিয়া দিয়াছে তাহার ঠিকানা নাই। ফুল আছে, বাগান আছে, বাঘসিংহ আছে, পান্ধি-বেহারা আছে। মৃণাল শিশুকালে এই শাড়ীখানি দেখিয়া বিস্ময়মুগ্ধ দৃষ্টিতে চাহিয়া থাকিত । বারবার নরম রেশমের গায়ে হাত বুলাইয়া শাড়ীখানিকে -রেজদের করিত। এমন স্নিগ্ধ রং, যেন দুই চক্ষু জুড়াইয়া বায়। আর ছবিগুলিই বা কি সুন্দর । কলিকাতা যাইবার এর কত রকম স্বন্দর দামী শাড়ী দেখিয়াছে, কিন্তু এত সুন্দর তাহার চোখে আর কিছুই লাগে নাই। কাহারও কাছে মুখ ফুটিয়া সে একটি কথা বলে নাই, কিন্তু মনে মনে তাহার সঙ্কল্প ছিল, তাহার নিজের বিবাহ যদি কোনও দিন হয় তাহ হইলে এই শাড়ীখানি পরিয়াই যেন হয়। আর একখানি হাল্কা নীল-রঙের পাসীশাড়ী মখমলের এ-শাড়ীখানিও ভারি ভাল লাগিত। কলিকাতার মেয়েরা এই শাড়ী পরিলে নিশ্চয় তাহাকে ঠাট্টা করিবে, না হইলে মৃণাল কাপড়খানি লইয়া যাইত । আর একখানি লালপেড়ে গরম, ইহাও তাহার বয়সী মেয়েরা বিশেষ পরে না, গিন্নীবাল্পী মানুষকেই উহা মানায় । তবু এই কাপড়থানিই মৃণাল নিজের বাক্সের ভিতর তুলিয়া লইল। ইহা পরিলে ক্লাসের মেয়েরা বড় জোর তাহাকে ঠাকুরমা বলিয়া ক্ষ্যাপাইবে, তাহার বেশী কিছু করিবে না । আর একখানি সেই রকমই চওড়া পাড়ের তসরের শাড়ী, ইহা মৃণাল এবার রাখিয়া দিল, পরে কোনও সময় আছয় বাইবে। আর দুখানি শাস্তিপুরী শাড়ী, পাড়গুলি স্বন্দর, তাহাই বাছিয়া বাহির করিয়া লইয়া সে বলিল, “এবার বান্ধটা বন্ধ করে ফেল মামীম, আর কাপড় চাই না। ঐ তিনখান পোষাকী কাপড়েই আমার ঢের হবে। কোথায়ই বা আমি যাই ?” মামীম ছোট বাক্সটিতে তালা বন্ধ করিয়া আবার তাহা সিন্দুকে তুলিলেন। একবার জিজ্ঞাসা করিলেন, “পাউডারটা নিবি ? তোদের বোর্ডিঙের মেয়ের মাথে না এ-সব ?” মৃণাল হাসিয়া বলিল, “মাখবে না কেন মামীম, খুব এক-একজন এত মাথে যে মনে হয় যেন ময়দার আমার কিন্তু ভারি লজ্জা ८दरलझे মাথে । বস্তা থেকে সবে বেরিয়েছে। করে। যতই পাউডার মাখি, যে কেলে রং সেই থেকে যাবে।” so মামীম হাসিয়া বলিলেন, “তবে থাকৃ, নিস নে ও সব শহরের মেয়েদেরই মানায়। তুই এতকাল কলকাতায় ...কেও শহুরে হতে পারলি না। সেদিন মুখুজে-গিয়ী বলছিল তার মেয়ে চিঠিতে লিখেছে, আজকাল কলকাতায় ভদ্রলাকের মেয়েরাও নাকি মুখে রং মেখে বেড়' ' शृशाज वजिज, “८वड़ाञ्चड़े उ, अभिई क७ দেখেছি। আহা, যা ছিরি সব বেরোয় ।” -- o মামীমN বলিলেন, “কালে কালে কতই হবে মা

  • . . .

-o - - - o,