পাতা:প্রবাসী ভাদ্র ১৩৪৪ সংখ্যা ৫.pdf/১১২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

लोङ मङ्गे । سریخ ۹ প্রবাসী ১৩৪৪ যকৃগে, তুই এখন শো গিয়ে, অনেক ভোরে কাল উঠতে হবে।” মৃণাল বাক্স বন্ধ করিয়া উঠিয়া পড়িল। ঘরের দুই দিকে দুইখানা বড় বড় খাট, তিন-চার জন করিয়া মানুষ এক-একটাতে বেশ শুইতে পারে। সম্প্রতি এখন এক খাটে শোয় মৃণাল, টিনি আর চিনি। অন্যটায় মামীম। গোপাল আর কালুকে লইয়া শয়ন করেন। দু-খানা থাটেই মশারি টাঙানো, পাড়াগায়ে মশার উৎপাত ত আছেই, তাহার উপর সাপেরও অভাব নাই, কাজেই মশারি বারো মাসই খাটানে থাকে। মামীম বলিলেন, “নে তুই ঢুকে পড়, আমি মশারি গুজে দিচ্ছি। চিনির আবার যা পাতলা ঘুম, কানের কাছে একটা মশা ভন্‌ভন্ন করলেই সে উঠে বসবে। না-হয় এমন পা ছড়বে যে কাউকে আর ঘুমুতে হবে না।” মৃণাল বিছানায় উঠিয়া পড়িল । জায়গার অভাব নাই, টিনি চিনি এক কোণে বিড়ালছানার মত পরস্পরকে আঁকড়াইয়া কুণ্ডলী পাকাইয়া আছে। মামীমাও হারিকেন লণ্ঠনট নিবাইয়া শুইয়। পড়িলেন। মৃণালের ঘুম আসিতেছিল না। আসয় বিচ্ছেদকাতর মনটা তাহার কেবলই ছটফট করিতেছিল। কিন্তু মামীমা সারাদিন খাটিয়া খুটিয়া শ্রান্ত হইয়া শুইয়াছেন, এখন বক্‌বক্‌ করিয়া উহাকে জাগাইয়া রাখা ঠিক নয়। খানিক বাদে এ-পাশ হ-পাশ করিতে করিতে মৃণালও ঘুমাইয়া পড়িল । ভোরের দিকে কেমন একটু শীত শীত করিতে লাগিল । চিনি গড়াইতে গড়াইতে মৃণালের কোলের কাছে আসিয়া তাহার আঁচল ধরিয়া টানাটানি করিতে লাগিল, সে গায়ে মঞ্জস্টার। মৃণালের ঘুম ভাঙিয়া গেল, মাথার কাছে একথান নক্সাকাটা কথা ছিল, তাহাই টানিয়া আনিয়া ८न ८वश्न कब्रिम्न ििनत्र प्यि अम्लदिँच्न नििज । ििन खा-ात्र নিশ্চিন্তমনে ঘুমাইতে লাগিল । মৃণালের বালিশের তলায় একটা ইলেক্‌টিক টর্চ থাকিত, সেটা বাহির করিয়া পাশের টেবিলের উপর আলো ফেলিয়া দেখিল, পাঁচটা বাজিল নিয়াছে। ভোর হইতে আর দেরি নাই। উঠয়। পড়িবে কিনা ভাবিতে লাগিল, এখন আবার ঘুমাইতে স্থর করিয়া কিন্তু শীতের রাত, লেপের মায়া সহজে Ҹ ҹин ছাড়িতে ইচ্ছা করে না । থাকিতেও ইচ্ছা করে না । কিন্তু ইহারই মধ্যে মামৗমারও ঘুম ভাঙিয়া গিয়াছে। তিনি ডাকিয়া জিজ্ঞাসা করিলেন, “মিনু উঠেছিস নাকি ?” মৃণাল বলিল, “উঠি নি, তবে জেগে আছি। যা শীত, আরও অাধ ঘণ্ট থানেক পরে উঠব সবে এখন পাচটা মামীম বলিলেন, “আচ্ছা তুই শে, আমি উঠি। দেখতে দেখতে স্থঘ্যি উঠে যাবে, তোকে সকাল সকাল দুটো রেখে দিতে হবে ত ? না থেয়ে ত আর যাওয়া হয় না ? রাষ্ট্র ছড়িকে ভোরে আসতে বলেছিলাম আজ, এলে ক্ৰ বাচি ।” মামীম বিছানা ছাড়িয়া নামিয়া পড়িলেন। মুশান্নৰ বিছানায় উঠিয়া বসিয়া বলিল, “আমিও উঠলাম মামীম, আমার আর শুতে ভাল লাগছে না।” বাহিরে তখনও আকাশের গায়ে তারা ফুটিয়া আছে। মামাবাবুরও ঘুম ভাঙিয়াছে, তিনিও উঠবার ঘোগড় করিতেছেন। তাহার স্ত্রী তাহার সাড়া পাইয়া বলিলেন, ‘ধন্তি সহি বাপু তোমার। এই দারুণ শীত, হাত না যেন পেটের মধ্যে ঢুকে যাচ্ছে, কেমন ক’রে এই খোলা বারান্দায় শুয়ে থাক তাই ভাবি ।” মল্লিক-মহাশয় বিছানায় বসিয়া অন্ধকারে পা বাড়াই চটি জুতা খুজিতেছিলেন, তিনি বলিলেন, “শীতে আমার কিছু এসে যায় না, কিন্তু আকাশ দেখতে না পেলে আমি বাচি না। বর্ষার দিন ক’টা আমার যে কি কষ্ট্রে কারে তা আর ব’লে কাজ নেই।” মৃণাল বলিয়া উঠিল, “দিদিমাও এমনি ছিলেন, ন মামাবাবু ? তিনি ত ঘরে শুতেই পারতেন না। বৃষ্টির সময়ও না।” - মল্লিক-মহাশয় চটি পরিয়া উঠিয়া দাড়াইলেন, বলিলেন, | “মায়ের জন্তে ত সব সময় একটা জানালার দু-একটা গুরা | শুধু শুধু অন্ধকার ঘরে জানি কাটা থাকত, ঘরে শুলেও মাথাটা সেই ফাক দিয়ে বার ক’রে রাখতেন । তিনি মারা যাবার পর তোর মামীম আবার সে জায়গাগুলো শিক বসিয়ে বন্ধ ক’রে দিয়েছেন।" মামীম বলিলেন, “যা বেরাল আর ভামের উৎপাত, বন্ধ না ক’রে করি কি ? টিনি চিনিও ঠাকুরমার ধাত্ত