পাতা:প্রবাসী ভাদ্র ১৩৪৪ সংখ্যা ৫.pdf/১১৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ঐীক্ষিতিমোহন সেন শাস্ত্রী - 上 হুইটম্যান-স্মৃতিসভার সম্পাদক'মহাশয়কে লিখিত পত্র আপনার তাগিদ পত্ৰখানি পরশু পাইয়াই একটা লেখায় হাত দিয়াছিলাম। আপনি আমার একটি পুরাতন প্রবন্ধের কথা জানিতে চাহিয়াছেন। ‘প্রবাসীতে ১৩২৩ সালে তাহা বাহির হইয়াছিল। সেই প্রবন্ধটির নাম হইল “চরৈবেতি চরৈবেতি” । ঋগ্বেদের ঐতরেয় ব্রাহ্মণের রচয়িতা ঋষি ঐতরেয় তাহার প্রখ্যাত ব্রাহ্মণ গ্রন্থের সপ্তম পঞ্জিকার তৃতীয় অধ্যায়ের তৃতীয় খণ্ডে ঋষি শুনঃশেপের উপাখ্যানের মধ্যে এমন পাচটি শ্লোকের অবতারণা করিয়াছেন যাহা মানবসাধনার নিত্য সচলতার, নিত্য অগ্রসর হওয়ার একটি শাশ্বত মহামন্ত্র। প্রত্যেকটি শ্লোকের অস্তেই আছে—হে রোহিত, “তুমি চলিতে থাক, চলিতে থাক”—অর্থাৎ “চরৈবেতি চরৈবেতি । সেই জন্যই সেই প্রবন্ধটির নাম দেওয়া হইয়াছিল “চরৈবেতি চরৈবেতি” । তার প্রথম শ্লোকেই আছে— শেরেহস্ত সর্বে পাপমান: শ্রমেণ প্রপথে হুতাঃ” যে ব্যক্তি নিত্য অগ্রসর হইয়া চলে তাহার আর নিজের পাপু প্রভৃতি সব খুচরা সমস্যা লইয়া মাথা ঘামাইবার কুমে মাহ । তাই ঐতরেয় বলিলেন, “তাহার সকল পাপ তাহার চলিবার উদ্যমের শ্রমে আপনি হতবীৰ্য্য হইয়া সেই চলার মুক্ত পথে শুইয়া পড়ে।” “প্র-পথ" হুইল সেই পথ যাহা নিত্য আমাদিগকে সম্মুখ দিকে লইয়া চলে; এই বাণীটি কবি হুইটম্যানের বিখ্যাত “Open Road”কেই স্মরণ করাইয়া দেয়। “চরৈবেতি চরৈবেতি” প্রবন্ধে উল্লিখিত, ঐতরেয়-ভাষিত পাচটি বাণীই সেই হিসাবে अश्रुवि ।। 6गई छछ आभि ७ई श्ई निन येउरब्रग्र जाकरमब्र বাছা বাছা সব বাণীগুলি সাজাইয়া ঋষির অন্তরের মহাh 在 - - - * - সত্যটির দ্বারা আমাদের চিত্ত-মন-প্রাণকে উদ্বোধিত করি চাহিয়াছিলাম । দুই দিন ক্রমাগত থাটিয়াও তাহা লেখা পূর্ণ হইল - যদিও অনেকটা লেখা ইতিমধ্যে হইয়াছে । আর অত ত্ৰ একটা বিষয়কে এইরূপ যেমন-তেমন ভাবে সারি দেওয়ার অর্থই হইল সেই বিষয়টিকে অপমান করা। স্ত্র আমি ঐতরেয় ব্রাহ্মণের সেই ভিতরের কথাটি পরে জ্ঞা করিয়া সবার কাছে উপস্থিত করিব । ইতিমধ্যে যাহা চাহেন তাহারা আমার ( প্রবাসীতে লেখা ) “চৱৈৰেভি চরৈবেতি” নামক পুরাতন প্রবন্ধটি পড়িয়া দেখিতে পারেন। এই ক্ষেত্রে অার একটি কথাও মনে আসিতেন্তে তাহাও এখানেই বলা ভাল ঋষিদের সমস্ত ৱি র্তাহীদের সমস্ত জীবনের পূর্ণতার সাধনা। সেই সাধনার কেমন করিয়া সভ্য হইবে তাহা তাহারা নানা ভাবে গৰুৰ করিয়া দেখিতে চাহিয়াছেন। তাই তাহাদের বাণী— “কস্মৈ দেবায় হবিষ বিধেম” “আমাদের শ্রদ্ধার আহুতিটি কোথায় সমর্পণ করি ?" যাগযজ্ঞে, ইষ্টকা-ব্যবস্থায়, তপস্যায়, কৃচ্ছাচার্তা ব্রহ্মচর্য্যে, ধ্যানে, মননে, নিদিধ্যাসনে, যোগে নানা ভাবে তাহারা নিজেদের সেই পূর্ণতাকেই ব্যাকুলভাবে খুজিয়াছেন। এই খোজার পথে আনুষঙ্গিকরুপে কিছু কিছু যে "বাই' বাহির হইয়া পড়িয়াছে তাহা তাহদের সাধনার যুগ্ধ : নয়, তাহা একান্তই গৌণ। তাহাদের প্রধান কথাই হই। মানবজীবনের পরিপূর্ণ সার্থকতার জন্য ব্যাকুল সন্ধানও সাধনা ৷ আর সাহিত্যিকদের কথা স্বতন্ত্র। তারা চান “বান্ধী"ক্ষেই পূর্ণ প্রকাশ দিতে। প্রকাশের নিখুত সম্পূর্ণতাই