পাতা:প্রবাসী ভাদ্র ১৩৪৪ সংখ্যা ৫.pdf/১২৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

उल्न নিষিদ্ধ দেশে সওয়া বৎসর 7 3১ ধন এই দ্বীপটি ডুবিয়া যায় তখন ঐ বিরাট ত্রিকোণাকার লিটি মাত্র জাগিয়া থাকে। । পরদিন প্রাতে যাত্র করিয়া আমরা জম্‌-লিঙ গ্রামে পৌছিলাম। কিছু দূরে এক নালার কাছে নেপালের বৌদ্ধ স্তুপের মত একটি স্তুপ দেখা গেল । ব্রহ্মপুত্রের এই উত্ৰাক-অঞ্চল থেষ্ট গরম এবং এখানে বহু আখরোটের বৃক্ষ আছে। চেষ্টা করিলে আরও অনেক ফুল এখানে অনায়াসেই উৎপাদন করা যায় কিন্তু সনাতন ধর্মের কৃপায় তাহ হওয়া সম্ভব নহে। নৌকার মাঝি বলিয়াছিল এখান হইতে সম্-য়ে লইয়া নাইবার লোক জোগাড় করিয়া দিবে কিন্তু কাৰ্য্যতঃ তাহার কোনও লক্ষণ না দেখায় আমরা স্থির বরিলাম যে তিন মাইল পথ মাত্র ব্যবধান পার হইয়া दिशाद्रशें आथग्न जश्व । o ব্ৰহ্মপুত্র ও উই-ছু নদীর ত্রিবেণীর উত্তরের অঞ্চলকে এদেশে উদ্ব-যুল (মধ্যদেশ ) ও দক্ষিণে ছু-শরের নিকট ত্ৰিবেণীর নীচের অঞ্চলকে স্হে-খা ( দক্ষিণ দেশ) বলে। ব্ৰহ্মপুত্রের উপর পশ্চিম অঞ্চল টশীলামার চাঙ প্রদেশ ও পূৰ্ব্ব দিকে লহো-খা প্রদেশ । বৰ্ত্তমান ( এখন গত ) দলাইলাম ও টশীলামা উভয়েই এই প্রদেশে জন্মগ্রহণ করিয়াছেন। নৌকা হইতে নামিয়া পাহাড়ের ধার দিয়া সম্য়ের দিকে চলিলাম। পথে পর্বতগাত্র হইতে খোদিত ছোট ছোট স্তপ দেখিলাম, যেরূপ আমাদের দেশের গুহা বিহারে আছে। এই সব দেখিতে দেখিতে দুই ঘটা চলিবার পর সম্-য়ে বিহার দেখা দিল । সমতলভূমির উপর চারি দিকে দেওয়াল-ঘেরা এই বিহার ੋ ভোট অপেক্ষ ভারতেরই কথা মনে করাইয়া দেয়। বিহারের চতুদিকে ফলহীন বৃক্ষের বাগানও আছে।

  • পশ্চিম দ্বার দিয়া প্রবেশ করিতে পরিক্রমায় চীনদেশের কালোচশমাযুক্ত এক ভিক্ষুর সঙ্গে দেখা হইল। ইনি সিকিম দেশের লোক এবং উর্গোন-কুশে নামে পরিচিত । তিনি কিছুক্ষণ অতিশয় প্রীতির সহিত কথাবাৰ্ত্ত কহিবার পর তাহার লোককে সঙ্গে দিয়া অামার থাকিবার ব্যবস্থা

করিয়া দিলেন। করিলাম। ভোট দেশের গ্রন্থে লিখিত আছে যে, সম্-য়ে বিহার আচাৰ্য্য শাস্তরক্ষিত উড়ন্তপুরী বিহারের অনুকরণে করাইয়াছিলেন। উড়ন্তপুরী নিৰ্ম্মাণ করেন মহারাজ ধৰ্ম্মপাল, তাহার শাসনকাল ৭৬১-৮০৯ খ্ৰীঃ পৰ্য্যন্ত । সম-মেনিৰ্ম্মাতা সম্রাট ঠি-সোঙ দে-চন ভোট শাসন করিয়াছিলেন ৭৩০-৮৪ খ্ৰীষ্টাব্দে, এবং সম্-য়ে fiifis یچiiff :تول-ده ۹ آت খ্ৰীষ্টাব্দে। ভিতরের চারি কোণের চারি ইষ্টকময় স্তুপ ( স্তুপশিখরে এখনও প্রাচীন ভারতের স্তুপের ন্যায় ছত্র বিরাজ করিতেছে ) নিশ্চয়ই নবম শতাব্দীর মধ্যে নিৰ্ম্মিত হইয়াছিল । আশেপাশে বহু চন্দ্র-স্বৰ্য্যযুক্ত বজ্রযানী স্তুপ রহিয়াছে, এবং সকলের মধ্যে গ চুগ-লগ-খঙ, বিহার রহিয়াছে। একবার এখানের প্রায় সকল অট্টালিকাই অগ্নিদগ্ধ হইয়া যায়, পরে একাদশ শতাব্দীতে র-লোচ-ব পুননিৰ্ম্মাণ করেন। বিহার প্রায়চতুষ্কোণ এবং ছয়-সাত হাত উচ্চ দেওয়ালে ঘেরা, ইহার চার প্রধান দিক-কোণে চারটি দ্বার আছে। মধ্যস্থলে প্রধান বিহার যাহার চারি দিকের পরিক্রমায় ভিক্ষুদিগের জন্য দ্বিতল আবাস আছে। মূলবিহার প্রায় সমস্তই দারুময় ও ত্রিতল, নীচের তলায় বুদ্ধমূৰ্ত্তিই প্রধান। বাহিরে আচাৰ্য্য শাস্তরক্ষিতের বৃদ্ধাবস্থার মূৰ্ত্তি আছে, সঙ্গে তাহার ভোট দেশীয় ভিক্ষু শিষ্য বৈরাচন ও গৃহস্থ শিষ্য সম্রাট ঠি-স্রোঙ-দে-চন এই দুই জনেরও মূৰ্ত্তি আছে। শত বৎসর বয়সে দেহরক্ষা করার পর বিহারের পূৰ্ব্ব দিকের এক পাহাড়ে এক স্ত,প নিৰ্মাণ করিয়া তাহার দেহ না জালাইয়। রাখিয়া দেওয়া হয়। সাৰ্দ্ধ দশ শতাব্দীর উপর ঐ স্তুপ হইতে তিনি নিজহস্তে রোপিত এই ক্ষেত্র দর্শন করিবার পর, চল্লিশ বৎসর পূৰ্ব্বে ঐ জীর্ণ স্তপ ভাঙিয়া যায়। স্তুপের ভিতর হইতে তাহার কঙ্কাল ও করোটি বাহির হইয়া পড়িলে এথানের লোকে তাহা সযত্নে অগনিয়া এক কা5ময় আধারে স্থাপন করিয়া বিহারের প্রধান বুদ্ধমূৰ্ত্তির সম্মুখে রাখিয়া দেয়। যখন আমি সেই আধারের সম্মুখে দাড়াইয় তাহার সেই বৃহৎ করোটি দেখিলাম তখন আমার মনের অবস্থা অবর্ণনীয়। ৭৫ বৎসর পর হইবার পর দুর্গম হিমালয় পার হইয়া ধৰ্ম্মবিজয়, এবং তন্ত্রপরি সেদিন কেবলমাত্র আরামে শ্রাস্তি দূর