পাতা:প্রবাসী ভাদ্র ১৩৪৪ সংখ্যা ৫.pdf/১৩১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কার্য্যের স্বত্রপাত করিবেন। ভাদ্র বিবিধ প্রসঙ্গ—ভারতে “প্রাদেশিক আত্মকর্তৃত্বে’ ব্রিটেনের সুবিধা ৭৩৫ রিয়াছেন, শুনা যাইতেছে। অকংগ্রেসী মন্ত্রীদের শাসিত কোন প্রদেশে এরূপ কিছু হইবার সম্ভাবনা নাই । মান্ত্রাজের কংগ্রেসী গবন্মেটি নেশার জন্য স্থরা এবং তাড়ি প্রভৃতি বিক্রয় ও সেবন সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করিতে সংকল্প করিয়াছেন। প্রথমতঃ, তাহারা সালেম জেলায় এই শুভ অকংগ্রেসী কোন গবন্মেণ্ট এরূপ কাজ করেন নাই । o ছুটি প্রদেশে যাহা হইতেছে, তাহার বিপরীত অবস্থা བཱ་ཐ། যে বাংলা দেশেই ঘটিতেছে তাহা নহে, অন্যত্রও এইরূপ হইতেছে। বঙ্গে যেমন ১৪৪ ধারার প্রয়োগ হইতেছে, সেইরূপ অন্যত্রও হইতেছে। সম্প্রতিও করমসিং ধূত নামক এক ব্যক্তি পঞ্জাব হইতে বহিস্কৃত হইয়াছে, এবং রাজেশ্বর, শিবকুমার শারদ, ও বিজয়কুমার নামে তিন ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করিয়া লাহোর দুর্গে আটক করা হইয়াছে | অতি অল্প দিন হইল কংগ্রেসী মন্ত্রীরা কাজের ভার লইয়াছেন। ইতিমধ্যেই তাহদের শাসিত প্রদেশগুলি ও অন্য প্রদেশগুলির শাসনকার্য্যের মধ্যে পার্থক্য লক্ষিত হইতেছে। কালক্রমে এই পার্থক্য বাড়িয়াই চলিবে । অবস্থাটা এইরূপ দাড়াইতেছে এবং আরও স্পষ্টভাবে ভবিষ্যতে দাড়াইতে পারে যেন ছয়টি প্রদেশ ভারতবর্ষের অংশ নহে, ভারতবর্ষে অবস্থিত নহে ; কিংবা যেন ছয়টি এক দেশে অবস্থিত, বাকী পাচটি অন্য দেশে অবস্থিত ; ছয়টি একবিধ শাসনতন্ত্রের অধীন একটি রাষ্ট্র, পাচটি অন্তবিধ শাসনতন্ত্রের অধীন অন্ত একটি রাষ্ট্র। এই জন্যই বলিতেছিলাম, তথাকথিত প্রাদেশিক “আত্মকর্তৃত্বের” দ্বারা যে ভারতবর্ষের একত্ব বিনষ্ট করিবার কথা জয়েণ্ট সিলেক্ট পালেমেন্টারী কর্মীটির রিপোর্ট আছে, তাহার বাস্তব রূপ দৃষ্ট হইতে আরম্ভ इंद्रादृक्। ছয়টি কংগ্রেসী প্রদেশের লোকেরা, ব্যবস্থাপক সভার সভোর, ও হয়ত মন্ত্রীরাও পাচটি প্রদেশের লোকদের সহিত কোন কোন সময়ে কোন কোন অবস্থায় সমবেদন প্রকাশ সম্ভবত: করিবেন । কিন্তু তাহাতে অকংগ্রেসী প্রদেশগুলির সামান্য উপকারও হইবে কি না সন্দেহস্থল। ভারতবর্ষের লোকের আবিসীনিয়া, স্পেন ও প্যালেষ্টাইন সম্বন্ধেও ত উদ্বেগ প্রকাশ করিয়া থাকে। তাহাতে সেই সব দেশের লোকদের বুকে বল বাড়ে কিনা, জানি না । প্রাদেশিক আত্মকর্তৃত্বের গুণাবলী ব্রিটিশ রাজনীতিজ্ঞেরা এই নূতন আবিষ্কার করেন নাই। বহু পূৰ্ব্বেই, গত খ্ৰীষ্টীয় শতাব্দীতেই, তাহারা ইহা আবিষ্কার করিয়াছিলেন । স্বৰ্গত মেজর বামনদাস বহু মহাশয় কর্তৃক প্রণীত “কন্সলিডেখন অব দি ক্রিশ্চিয়ান পাওয়ার ইন ইণ্ডিয়া" নামক পুস্তক হইতে এ বিষয়ে কিছু জ্ঞান লাভ করা যায় - ব্রিটিশ রাজনীতিজ্ঞেরা ভারতবর্ষে প্রাদেশিক আত্মকর্তৃত্বের এই একটি গুণ বুঝিতে পারিয়াছিলেন, যে, প্রদেশগুলি তাহ পাইলে সমগ্রদেশব্যাপী কোন একটা সাধারণ অভাবঅভিযোগ থাকিবে না, সুতরাং ভারতব্যাপী প্রবল কোন আন্দোলনও হইবে না, অতএব এরূপ অবস্থা ব্রিটিশ প্রভুত্ব রক্ষার অনুকূল হইবে।

  • “Before the Parliamentary Committee on the Colonization and Settlement of the Britishers in India, Major G. Wingate, who appeared as a witness on 13th July, 1858, on being asked,

“7771. You speak of the dangers that arise from a central government and you say that it leads to a community of aims and feelings that might be dangerous * answered : “Yes, I think that if there be any one subject in which the whole population of India would be interested, that is more likely to be dangerous." the foreign authority than if a question were simply agitated in one division of the empire; if a question were agitated throughout the length and breadth of the empire, it would surely be much more dangerous to the foreign authority than a question which interested one Presidency only.” He gave expression to the feeling which was uppermost in the minds of the Britishers at that time, not to do anything which might “amalgamate” the different creeds and castes and pro„;„ces of India, So everything Wa* being done to prevent the growing up of * coromunity of feelings and interests throughout India which would make the peoples of India politically a nation.” “pp. 76-77).