পাতা:প্রবাসী ভাদ্র ১৩৪৪ সংখ্যা ৫.pdf/১৩৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

برا (ANC ব্যাপার মনে করা হয় ; যেন “ইংরেজ বনাম কালা-আদমী” মোকদ্দমা হইতেছে, যেন মন্ত্রিমণ্ডলের সমর্থক দল এবং মন্ত্রিমণ্ডলের বিরোধী দলের একটা ঝগড়া হইতেছে, এইরূপ মনে করা হয়। বিষয়টি যে ন্যায়বুদ্ধির দিক্ হইতে যে উদার মানবিকতাপ্রণোদিত হৃদয়-মন লইয়া বিবেচনা করা উচিত ছিল, তাহ করা হয় নাই। অধিকাংশ মুসলমান সদস্য হয়ত ভাবিয়াছেন, প্রায়োপবেশকেরা ত সবাই বা প্রায় সবাই হিন্দু ; অতএব আমাদের তাহাতে কি আসে যায় ? ইংরেজ সদস্যেরা ভাবিয়া থাকিবেন ইহা বিদ্রোহী কাল-আদমীদের ব্যাপার, তাহাদিগকে সায়েস্ত করাই উচিত। কাগজে দেখিলাম, প্রায়োপবেশকদের সংখ্যা হইতে ২৫০-এ পৌছিয়াছে। পরে হয়ত আরও বাড়িবে। অনেক উপবাসীর অবস্থা সঙ্কটাপন্ন। জোর করিয়া খাওয়াইবার চেষ্টায় বা অন্ত কারণে কত জনের প্রাণ সংশয় হইবে বা প্রাণ যাইবে, বলা যায় না। গবক্সেণ্টকে ও জনগণকে মনে রাখিতে হইবে, যে, এই বন্দীর প্রথমেই প্রায়োপবেশন করে নাই ; তাহার প্রথমে দরখাস্ত করিয়াছিল, তাহা মঞ্জুর না-হওয়ায় তাহার অনাহারে প্রাণত্যাগ করিবে প্রতিজ্ঞা করিয়াছে। তাহার বে বিচারাস্তে দণ্ডিত ও বন্দীকৃত কয়েদী, এই কথার উপর &वाब न-निध, 4है कथछि ड्रलिब त्रिीब्र, ८कदत्र इंझाडे বিবেচনা করা উচিত, যে, কতকগুলি মানুষ কোন কারণে মৃত্যু পণ করিয়াছে। সেই কারণগুলি বিবেচ্য। আগেই বলিয়াছি, তাহারা প্রথমেই প্রায়োপবেশন করে নাই ; প্রথমে দরখাস্ত করিয়াছিল, তাহ মঞ্জুর না-হওয়ায় প্রায়োপবেশন করিয়াছে। মাহৰ এক একা বা দলবদ্ধ ভাবে মুদি রাষ্ট্রীয় বা শাসন-সম্বন্ধীয় কোন পরিবর্তন হওয়া বাঞ্ছনী মনে করে, তাহা হইলে তাহ ঘটাইবার একাধিক পন্থা ও উপায় আছে । শাস্তিপূর্ণ বা অহিংস একটা রীতি তদন্ধে আন্দোলন ও কর্তৃপক্ষের নিকট তদৰ্থে আবেদন প্রেরণ। ইতিহto a যায়, অনেক দেশে ভিন্ন ভিন্ন সময়ে এই উপন সিদ্ধিলাভ না-হওয়ায় কিংবা জনগণের এই উপায় অবলম্বনে বাধা aaaa বা তাহার এই উপায় অবলম্বন করিবার সুযোগ না-পাওয়ায়, >br A প্রবাসী ՏՎ 88 সশস্ত্র বিদ্রোহ ও বিপ্লবচেষ্টা হইয়াছে, এবং তাহা কং= সফল কখন বা ব্যর্থ হইয়াছে । এই যে দ্বিতীয় উইহার পশ্চাতে এই মনোভাব থাকে, যে, “কর্তৃপক্ষ আমান কথা শুনিলেন না, সুতরাং আমরা বল-প্রয়োগদ্বারা আমান কথামত কাজ করিতে কর্তৃপক্ষকে বাধা করিব কি কর্তৃপক্ষের উচ্ছেদসাধন করিব।” ভারতবর্ষে বস্তুত যুগে প্রথম উপায়ই অবলম্বিত হইয়া আমিত্রে নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিরা, কেহ বা অহিংসা তাহাদের ক্ষে একটি সার অংশ বলিয়া, কেহ বা সশস্ত্র বিদ্রোহ ও ংি বর্তমান অবস্থায় অসাধ্য ও অসমীচীন বলিয়, আর অন্য কেহ বা উভয়বিধ কারণে, দ্বিতীয় উপায় অর্থাং মল বিদ্রোহের পথ অবলম্বনের বিরোধী। আমরাও হিমূলক বিপ্লবচেষ্টার বিরোধী। তৃতীয় উপায়, অন্তকে স্থা না দিয়া, অন্তের প্রাণবধ না করিয়া, নিজেই দুঃখ সহ এ প্রয়োজন হইলে মৃত্যুকে বরণ করা। ইতিহাস-গ্রনি বিদ্রোহ ও বিপ্লবসমূহে বিদ্রোহীরা যেন কর্তৃপক্ষকে বলিয়ন্ত্ৰ “তোমরা আমাদের কথা শুনিলে না, অতএব তোমাঙ্কিং বাধ্য করিবার নিমিত্ত বল প্রয়োগ করিব, দুঃখ নি, প্রয়োজন হইলে তোমাদের বিনাশসাধন করিব।” এই প্রকার মনোভাব রাষ্ট্রনীতিক্ষেত্রে ভারতবর্ষের বক্ষয় নেতৃবর্গের অনুমোদিত নহে । তাহারা, প্রয়োজন হইবে কর্তৃপক্ষকে দুঃখ না দিয়া স্বয়ং দুঃখ বরণ করিয়াছেন, কারাবা করিয়াছেন, লাঠির আঘাত সহিয়াছেন ; তাহদের ময়ে লোকেরাও তাহা করিয়াছেন । কর্তৃপক্ষীয় কাহারও এা বধ না করিয়া তাহারা কেহ কেহ নিজে মৃত্যু বরণ কৰিৰে প্রস্তুত। তপশীলভুক্ত জাতিদের এবং অন্য হিন্দু জাতি প্রতিনিধি নির্বাচন একেবারে পৃথক হইবে, সাম্প্রদানিং বাটোয়ারার প্রথম ব্যবস্থায় এইরূপ একটা বিধি ছিল। মহাত্মা গান্ধী হিন্দুসমাজকে দ্বিখণ্ডিত করিবার এই ৰিষি ৰ উপায়ের প্রতিবাদ করেন । প্রতিবাদ নিস্ফল হওয়ায় তিনি পুনা জেলে প্রায়োপবেশন করেন। তখন কর্তৃপক্ষ সাম্প্রদায়িক বাটোয়ারা প্রথম যেভাবে করা হইয়াছিম, তাহার কিছু পরিবর্তন করেন। আমরা আগে বলিয়াছি, আওীমানের বীরা যায়। করিয়াছে, তাহার বিচার করিতে হইলে, ইহা ভাবা উচিত্ত ।