পাতা:প্রবাসী ভাদ্র ১৩৪৪ সংখ্যা ৫.pdf/১৩৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ԳՅՅ প্রবাসী SOS. গবন্মেন্টের স্বরাষ্ট্রসচিব ছিলেন, তখন ঐ গবন্মেণ্ট যথাযোগ্য অনুসন্ধানাস্তে এই সিদ্ধাস্তে উপনীত হন, যে, তাহারা আণ্ডামান দ্বীপপুঞ্জকে আর দণ্ডিতদের নির্বাসনস্থানরূপে ব্যবহার করিবেন না। সর উইলিয়ম ভিন্সেন্ট বিশেষ করিয়া বলিয়াছিলেন, রাজনৈতিক বন্দীদিগকে ও সৰ্ব্ববিধ বন্দিনীদিগকে সেখান হইতে ভারতবর্ষে আনা হইবে। সর উইলিয়ম বলেন, এই প্রকারে ভারতশাসনের একটি ব্লট বা কলঙ্ক মুছিয়া ফেলা হুইবে । ভারত-গবন্মেটি এখন যাহাই বলুন, ১৫১৬ বৎসরের মধ্যে আণ্ডামান-নরক ভূম্বর্গে পরিণত হয় নাই ; এবং গত বৎসর গবলোটি কর্তৃক প্রেরিত রামুজাদা হংসরাজ আণ্ডামান হইতে ফিরিয়া আসিয়া সেদিনও বলিয়াছেন, বন্দীদের তথায় বাল নরকবাসের তুল্য। - যুক্তপ্রদেশের গবন্মেন্ট ভারত-গবন্মেণ্টকে অনুরোধ করিয়াছেন, যে, যুক্তপ্রদেশের দণ্ডিত কয়েদীদের মধ্যে মাহারা আণ্ডামানে আছে তাহাদিগকে যুক্তপ্রদেশে ফিরাইয়৷ আনা হউক এবং ভবিষ্যতে যুক্তপ্রদেশের কাহাকেও তথায় আর যেন পাঠান না হয়। বিহার-গবমোটও এইরূপ অনুরোধ করিয়াছেন। অতএব আণ্ডামানের বন্দীদের তৃতীয় দাবীটি আমেৰিক न८ठ् । সমুদয় বন্দীকে একশ্রেণীভুক্ত করিয়া সকলেরই এাসাচ্ছাদন বাসগৃহ প্রভূতির ব্যবস্থা উন্নতত্তর করা হউক, এই “দাবী” বহুবার ভারতবর্ষের বহু নেতা করিয়াছেন। যুক্তপ্রদেশের গবন্মেটি সম্প্রতি তাহদের ৰে কৃত্য-তালিকা (প্রোগ্র্যাম ) প্রকাশ করিয়াছেন, জেলসমূহের এবং কয়েদীদের অবস্থার উন্নতি তাহার অস্তুগত ৷ রাজনৈতিক বন্দীর সাধারণতঃ সেই শ্রেণীর লোক বাহাদিগকে “ভদ্রলোক বলা হয়। গবলে৯ a क८घ्नौदल्लन्न মধ্যে শ্রেণীবিভাগ করিয়াছেনই এবং যে নিজের বাড়ীতে যেরূপ গ্রাসাচ্ছাদনে অভ্যস্ত তাহাকে জেলেও স্বভক৪ সেইরূপ গ্রাসাচ্ছাদন দেওয়া যখন এই শ্রেণীবিভাগের উদেও স্বনি কথিত হইয়াছে, তখন রাজনৈতিক বন্দীদিগকে বিজয় শ্রেণীতে ফেলাই সঙ্গত । “দাবীগুলি সম্বন্ধে আমাদের শেষ একটি বক্তব্য আছে। যে-সকল সভ্য দেশে গণতন্ত্রমূলক স্বশাসন প্রবর্তি তথায় সাধারণ কয়েদী অন্য দেশেরই মত, অল্পাধিক, অআমাদের দেশে যত রকম আইন, রেগুলেশন, প্রভৃতির প্রয়োগ দ্বারা যত মাহুষ দণ্ডিত ও কারাক্তত্ব । ঐ সব দেশে তাহা হয় না। এই জন্ত রাজনৈতিক নামক এক শ্রেণীর বন্দী তথায় নাই, বা খুব অল্প আছে । কোন দেশ স্বশাসন-অধিকার পাইলে তা পূৰ্ব্বেকার আমলের রাজনৈতিক বন্দীর সশস্ত্র ৰি অপরাধে দণ্ডিত কয়েদীরা পৰ্য্যস্ত, খালাস পায়—ম অা গুণসনের পরামর্শে আয়াল্যাণ্ডেও পাইয়াছিল। কয়প্রাদেশিক গবন্মে ট যে ছয়টি প্রদেশে প্রবর্তিত হয়। তথfকার কংগ্রেসী নেতারা মনে করেন তাহারা স্ব** অধিকার পাইয়াছেন । এই জন্য ঐ সব প্রদেশে রাজনৈ বন্দীরা খালাস পাইতেছে এবং স্বশাসক দেশের জন্ম হুবিধা ও তথায় প্রবর্তিত করিবার চেষ্টা হইতেছে। । ২১শে শ্রাবণ বঙ্গীয় ব্যবস্থাপরিষদে স্বরাষ্ট্ৰচি নং সর নাজিমুদিন বলেন, “আমি সদস্যদের নিকট এই নিজ করিতেছি, বৰ্ত্তমান শাসনতন্ত্রে আমরা সম্পূর্ণ স্বায়ুক্তক্ষ লাভ করিয়াছি ; এক্ষণে শাসনকার্য্যের দায়িত্ব মৰ্ম্ম আমাদের।” তাহা হইলে বাংলা দেশও স্বশাসন-অধিক পাইয়াছে। সুতরাং অন্য কোন দেশ ঐ অধিকার গাং তথায় যেরূপ রাজনৈতিক পরিবর্তন ঘটে, বঙ্গেও মোৰ পরিবর্তন ঘটুক, এরূপ অনুরোধ বা “দাবী" অনীেতি বা বিবেচনার অযোগ্য নহে । এখানে বলা আবহাক, যে, আমাদের মতে ১৯৩৫ সারে ভারতশাসন আইন ভারতবর্ষকে বা তাহার প্রদেশগুলিই স্বশাসন-অধিকার দেয় নাই, যদিও সরকারী মত বলে, sে দিয়াছে । - কোন দেশ স্বশাসন-অধিকার পাইলে রাজনৈতিৰ বন্দীদের সম্বন্ধে বিবেচনা করিবার যে রীতি আছে, তা কারণ এই, যে, তাহার দেশের জন্য স্বশাসন-অধিনা অর্জন করিবার চেষ্টা করিয়াছিল—যদিও অবশু তা বে-আইনী উপায়ে করিয়াছিল । --