পাতা:প্রবাসী ভাদ্র ১৩৪৪ সংখ্যা ৫.pdf/১৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

いシミ তাহার স্ত্রী কিছু বুঝিতে না পারিয়া স্বামীর মুখের দিকে ই করিয়া চাহিয়া রহিল। কুটুবাবুর দৃষ্টি তাহার মুখের উপর নিবদ্ধ হইতেই সে আবার কাদিয়া ফেলিল । কুটুবাবু বলিলেন, "আচ্ছা, দুটো বছর সময় আমাকে দাও । এর প্রতিকার অামি করব।” তাহার পরই তিনি মোক্তারী পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত হইতে আরম্ভ করিলেন। এক বৎসরেই মোক্তারী পাস করিয়া তিনি রামপুর মহকুমায় প্র্যাকটিস আরম্ভ করিয়া দিলেন। তৃতীয় বৎসরের পূজায় সধবা-ভোজনের সময় একটা অভাবনীয় কাণ্ড ঘটিয়া গেল। মাছ পরিবেশন চলিতেছিল, পরিবেশক কুটুবাবুর স্ত্রীর পাতার নিকট আসিতেই সে প্রকাও একটা টাকার তোড় কাপড়ের ভিতর হইতে বাহির করিয়া সশব্দে নামাইয়া দিয়া বলিল, ‘এই এদের সমান গহনাই আমার হবে, এই তার টাকা । এখন ওঁদের সমান মাছ আমাকে না দাও—একথানার চেয়ে কম আমাকে দিও না !? পরিবেশকের হাত হইতে মাছের বালতিটা খসিয়া পড়িয়া গেল। তার পর গ্রাম জুড়িয়া দেশ জুড়িয়া সে এক o তুমুল আন্দোলন। লোকে কুটুবাবুকেই দোষ দিয়া ক্ষতি হয় নাই তাহার উদ্ধতন পুরুষগণকেও দোষ দিয়া বলিয়ছিল; বিছুটির বাড়–গোড় থেকে আগ পর্য্যন্ত সৰ্ব্বাদে হল । জালা-ধরান ওদের স্বভাব । शृंवाद्त्र निडाभइ ड्रिलन भाळछ *७िड *** *ि* পাণ্ডিত্যের খ্যাতির তুলনায় অপ্রিয় সত্য ভাষণের অথ্যাতি ছিল বেশী। সে-আমলের কোন এক রাজবাড়ীতে শ্রাদ্ধ উপলক্ষে শাস্ত্র-বিচারের আসনে যুবরাজ র্তাহার নাসিকাগ্র अस्वस्थ कब्राइब्रो काखुन निप्ड निएड ीडोब 4को झाँक জtestছদ উঠিয়াছিলেন–‘মশায়, স্বয়ং ভগবান ব’লে ६शहछन, यन्त बन्नाहि वर्षथ-" কুটুবাবুর পিতামহ বাধা দিয়া বলিয়াছিলেন, ‘জিহবার জড়তা দূর হয় নি আপনার আরও মার্জন দরকার, জদ জদ নয়, যদ যদ o হুটুবাবুর পিতার নাম ছিল কুনে কালিগ্রসাদ । তিনি বিস্তায় বিশেষ পণ্ডিত ছিলেন না বা অন্য কোন বিশেষত্বও তাহার ছিল না। সমাজে স্তাহার কোন প্রতিষ্ঠাও হয় _ প্রবণসী S নাই, সেজন্ত দাবিও কোন দিন তিনি করেন নাই। সমস্ত জীবনটা তিনি ঘরের কোণে বসিয়াই গিয়াছেন । শক্রতা তিনি কাহারও সহিত কোন দিন নাই, কিন্তু তবু লোকে বলিত—কি অহঙ্কার লোকটার। যাক, ওসব পুরাতন কথা । কুটুবাবু, কঙ্কণার জমিদারদের শপথের কথা স্তু বিচলিত হইলেন না। এদিকে কঙ্কণার বাবুরা তাহ চিরাচরিত প্রথায় প্রতিশোধ গ্রহণের পন্থা অবলম্বন করি কিন্তু র্তাহাদের চর বিফলমনোরথ হইয়া ফিরিয়া মন্ত্ৰ দিল হুটুবাবুর ঋণ কোথাও নাই । বাবুরা সংবাদ লই ছিলেন কোথায় কাহার কাছে হুটু মোক্তারের হা বা তমলুক আছে। থাকিলে সেগুলি কিনিয়া ঋণৰ আবদ্ধ হুটুকে আয়ত্ত করিয়া তাহাকে বধ করিতেন। মুখুজেদের বড়কর্ভা অনেকক্ষণ চুপ করিয়া থাকিয়া জৰ কৰ্ম্মচারীকে প্রশ্ন করিলেন, ‘লাট কমলপুরের জমিদার এখন অবস্থা কেমন ? কমলপুরেই হুটুবাবুর বাড়ী, তাহার জমিজমা, গুৰু বাগান যাহা কিছু সম্পত্তি সমস্তই কমলপুরের এলাকার সরকার উত্তর দিল, অবস্থা অবিহি তেমন ভাল । তবে ওই চলে যায় কোন রকমে সব । দু-এক অবস্থা একেবারেই ভাল নয়।’ কৰ্ত্ত বলিলেন, তবে কিনে ফেল তাদের অংশ। টাই বেশী লাগে লাগুক। হ্যা, তবে আমাদের সকল সরিক একবার জিজ্ঞাসা কর।’ 普 事 * মাস-চারেক পর । সন্ধ্যার সময় কুটুবাবু সন্ধ্য উপাসনা করিতেছিলেন তাহার স্ত্রী আসিয়া ঘরে প্রবেশ করিয়া দাড়াইয়া রহিল। হুটুবাৰু কিন্তু দেখিয়াও দেখিলেন না। কিছুক্ষণ আগেও করিয়া দী বলিল, “ওগো, কমলপুর থেকে আমাদের মহাভারত মোড়ল এসেছে ' কুটুবাবু চোখ বুজিয়া ধ্যানে বসিলেন । স্ত্রী বলিল, তাকে না কি কঙ্কণার বাবুরা মারধর কৰেছে ভীর পুকুর থেকে মাছ ধরিয়ে নিয়েছে, গরুগুলো খোয়ান দিয়েছে ? -