পাতা:প্রবাসী ভাদ্র ১৩৪৪ সংখ্যা ৫.pdf/১৪২

ԳՅՏ) গবন্মেণ্টের কাজ দেশের লোকদের মত অনুসারে নির্বাহিত হুইত, তাহা নহে। কিন্তু লর্ড কার্জনই দেশের লোকের মতকে অবজ্ঞার সহিত উপেক্ষা করিয়া চলিতে ও তাহাকে দমন করিতে আরম্ভ করেন । তাহার প্রতিক্রিয়া-স্বরূপ দেশের লোকদের স্বমত-প্রতিষ্ঠার চেষ্টার ও বিদ্রোহী ভাবের স্বত্রপাত হয়। দমন-ব্যবস্থাও উত্তরোত্তর কঠোরতর ও ব্যাপকতর হইতে থাকে। সন্ত্রাসন প্রচেষ্টা ও অন্যান্য বিপৰ্য্যাসক প্রচেষ্টার জড় খুজিতে হইলে রাষ্ট্রনীতিঘটিত এই সকল ব্যাপারের মধ্যে খুজিতে হইবে । সন্ত্রাসনবাদ-উৎপাদনে বেকার অবস্থা রাষ্ট্রনৈতিক কারণের উত্তরসাধক হইয়াছে বটে। তাহারও উচ্ছেদ আবখ্যক বটে। কিন্তু বিপৰ্য্যাসক সব প্রচেষ্টার মূলীভূত কারণ স্বশাসন-অধিকারের অভাব । স্বশাসন-অধিকার কার্য্যভঃ স্বীকৃত ও প্রতিষ্ঠিত না-হইলে বিপৰ্য্যাসক কোন প্রচেষ্টার বীজ সম্পূর্ণ নষ্ট হইবে না। এই প্রকার সকল প্রচেষ্টা বিনষ্ট করিবার ঘঞ্জাসাধ্য আয়োজন ও চেষ্টা করিয়াও যে বাংলাগবন্মেটি আশঙ্কা করিতেছেন, যে, তাহাদের পুনরাবির্ভাব ঘটিতে পারে, তাহা দ্বারা জ্ঞাতসারে বা অজ্ঞাতসারে স্বীকৃত হইতেছে, যে, জনগণের স্বশাসন-আকাজক্ষ পূর্ণ হয় নাই । কিন্তু এই আকাজক্ষ পূর্ণ করিবার ক্ষমতা প্রাদেশিক গবন্মে ন্টের ও মন্ত্রিমণ্ডলের নাই, ভারত-গবন্মেণ্টেরও নাই। কৰ্ত্ত ছয় হাজার মাইল দূরবর্তী প্রধানতঃ বণিগ বৃত্তিও প্রভূত্বদৃপ্ত ব্রিটিশ জাতি । বাংলার টাকা বাংলাকে ধার দিয়া হুদ গ্রহণ স্বদের বজেট-প্রসঙ্গে বলা হইয়াছে, যে, বঙ্গে সংগৃহীত রাজস্বের খুব বেশী অংশ ভারত-গবন্মেণ লইতে থাকায় বাংলা-গবমোট দরিদ্র হইয়া পড়ে। ঘাটতি পুরাইয়৷ আয়ব্যয়ের সমতা সাধন ও রক্ষার নিমিত্ত এই গবন্মেণ্ট ভারতগবন্মেন্টের নিকট টাকা ধার टाईप्ड बांधा इन। डाब्रडগবলেট যাহা ঋণস্বরূপ বাংল-গবন্মে ষ্টকে দেন, তাহ অপেক্ষা অনেক বেশী টাকা বাংলা দেশ হইতেই লইতেছিলেন । স্বতরাং বাংলার টাকা বাংলাকেই ধার দিতে লাগিলেন বলিলে অন্যায় বা মিথ্যা কিছু বলা হয় না। এই অপূৰ্ব্ব ঋণের স্বদস্বরূপ ভারত-গবন্মেণ্ট বাংল প্রবাসী ՏNՅՅՅ গবন্মেণ্টের নিকট হইতে লইয়াছেন ১৯৩২-৩৩ মা বার লক্ষ, ১৯৩৩-৩৪ সালে আঠার লক্ষ, এবং ১৯৩s> おこなーにど 9 সালে বাইশ লক্ষ করিয়মোট ছিয়ানব্বই লক্ষ টাকা । সর অটে। मीमाप्तः । প্রস্তাব অনুসারে ভারত-গবন্মে ট বাংলা-গবন্মেটিকে এ ঋণদায় হইতে মুক্ত করিয়াছেন । > 。 ことか-○" বেকার-সমস্যা সমাধান সম্বন্ধে যৎকিঞ্চিৎ ইহ সুবিদিত এবং ইহা বাঙালীদের একটা ঈর্ষ্যামিত্রি অভিযোগেরও বিষয়, যে, অনেক অ-বাঙালী নিঃস্ব ব্যক্তি বঙ্গে আসিয়া পরিশ্রম, মিতব্যয়িতা ও বুদ্ধিবলে নিজ ব্যয় নির্বাহ ত করেই, অধিকন্তু পরিবার-প্রতিপালন নিমিত্ত দেশে টাকা পাঠায়, সঞ্চয় করে, এবং কেহ ৰে অযুতপতি লক্ষপতি ক্রেরপতি হয়। ব্রিটিশ জাতির জন্ম আইন এবং অন্যান্য ব্যবস্থা ও রীতি বিশেষ করিয়া ব্রিট ব্যবসাবাণিজ্যের শ্ৰীবৃদ্ধিসাধক এবং ভারতীয়দের বাবাবাণিজ্যের অবসাদজনক হইলেও, অ-বাঙালী ভারতীয়। বঙ্গে উপার্জক, সঞ্চয়শীল ও বিত্তশালী হয়, অথচ সমৰ্থ বয়ন বুদ্ধিমান বাঙালীরা বেকার ও দরিদ্র থাকে ; ইহা হয়ন্ত্ৰ বাঙালী-চরিত্রে কিছু খুও আছে আহুমান করা অন্যায় নহে। এই খুং যদি বঙ্গের মাটি জলবায়ু, বঙ্গের ম্যালেরি এবং আমাদের পূৰ্ব্বজদিগের চাকরিজীবিত মসীজীবিত বচনজীবিত হইতে জন্মিয়া থাকে- তাহা হইলেও আমরা ৰে তাহার সংশোধন ও পরিহার করিতে যথেষ্ট চেষ্টা স্কন্ধ । ইহা আমাদের দোষ । ইচ্ছাশক্তির প্রয়োগ করিয়া দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হইলেই শ্রমলীল হইতে পারা যায় এবং সহপায়ে উপার্জনশী হইবার নিমিত্ত দৈহিক শ্রমকেও, লজ্জার কারণ মনে নকরিয়া, স্বাভাবিক বলিয়া গ্রহণ করিতে পার! যায়। তুই তুমি আপনি সে তিনি যাহার কাজ করিয়া উপার্জন করিতে চায়, সব দোষী । যে ভtহাদের তাহী নহে । আমরা পূৰ্ব্বে কখন কখন এক্ষণ । লিখিয়াছি বলিয়া মনে হইতেছে, যে, পুলিস-বিভাগে ংে ভদ্রলোকের ছেলেরা কাজ করিতে অনিচ্ছুক তাহার এক্স কারণ তাহার উপরওয়ালাদের নিকট হইতে শিষ্ট ব্যৰমৰ