পাতা:প্রবাসী ভাদ্র ১৩৪৪ সংখ্যা ৫.pdf/১৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

उiष्टा বিবিধ প্রসঙ্গ—ৰ্যৰসন ও বাণিজ্য এবং ভূমি ও আপনি ԳՅԳ পায় না। সমান বেতনের মুহুরী, কেরানী, পেয়াদা, আরদালি, চাপরাসি, কনেষ্টবল, গুরুমহাশয় সমান শিক্ষিত ও সমান সামাজিক মৰ্য্যাদ-বিশিষ্ট হইলেও, গুরুমহাশয়, কেরানী ও म्हठीक “আপনি” বলিয়া সম্বোধন করা অনেকের অভ্যাস, কিন্তু চাপরাসি পাহারাওয়াল প্রভৃতিকে “তুমি” বলা অভ্যাস। আপনি বলা অবশুই ঠিক । মাড়োয়ারী ও হিন্দুস্থানী লক্ষপতি বণিক-জাতীয় কোন কোন ব্যবসাদারকে নিজের ব্রাহ্মণ দারোয়ানকে “পায় লাগি দরোয়ানজী’, বলিয়া অভিবাদন করিতে শুনা গিয়াছে। পাচক ব্রাহ্মণকে ছাত্রদের কোন কোন মেসে ও কোন কোন ভদ্রলোকের বাড়ীতে “আপনি” বলিয়া সম্বোধন করিবার রীতি ছিল। এখন হতে কোথাও নাই । বস্তুতঃ ভাষার মধ্যে, তুই তুমি আপনি এবং সে ও তিনি, এই প্রকার বিভিন্ন সৰ্ব্বনামের উৎপত্তি ও প্রয়োগে সুবিধা বাহাই হউক, অস্থবিধাও অনেক হইয়াছে। ইহাদের পরিবর্তে যদি শুধু তুমি বা আপনি এবং শুধু তিনি বা সে শব্দের প্রয়োগ থাকিত, তাহা হইলে তাহাতে অনেক সুবিধা হইত ও তাহ গণতান্ত্রিক যুগের অধিকতর উপযুক্ত হইত। যাহাকে খুব স্নেহ করা হয়, খুব নিজের মনে করা হয়, বর্তমান রীতি অনুসারে তাহাকে “তুই’ বলিলে কোন দোষ হয় না। কিন্তু বাড়ীর চাকর বা অফিসের চাকরকে কি কেহ এত স্নেহ করেন, যে, তাহাকে তুই বলিলে এই সম্বোধন তাহার মিষ্ট লাগিতে পারে ? সামাজিক ব্যবহার ও অল্প পারিশ্রমিকের কাজ মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মধ্যে বেকারের সংখ্যা এত বাড়িয়াছে, যে, আমাদের কারবার সামান্য হইলেও গ্র্যাডুয়েটদের নিকট হইতেও আমরা এরূপ চিঠি খুব কম পাই না যাহাতে লেখকের কেবল গ্রাসাচ্ছাদনের বিনিময়ে যে-কোন সামান্ত কাজও করিতে ইচ্ছা প্রকাশ করেন । অনেক সরকারী অফিসে, মিউনিসিপালিটি ডিষ্ট্রক্টবোর্ডের অফিসে, সওদাগরী অফিসে, ডাকঘরে, বেসরকারী নানা দোকানে ও অফিসে অল্প বেতনের এমন বিস্তর কাজ আছে, যাহার পারিশ্রমিক বাস্তবিক অল্প বেতনের কেরানীগিরি গুরুমহাশয়গিরি প্রভৃতির চেয়ে কম নয় । কিন্তু لكـ ‘ভদ্র’ শ্রেণীর ছেলেরা এই সব কাজ করিতে চায় না । তাহার একটা প্রধান কারণ এই সকল কাজকে মিনিয়্যাল বা ভৃত্যশ্রেণীর কাজ মনে করা হয়। সমাজ-মন হইতে এই মনোভাব অবিলম্বে দূরীভূত হওয়া আবশুক । মুটে মজুর দারোয়ান পেয়াদা চাপরাসি भारठेद्भ 5ांधौকাহারও যাহাতে অমৰ্য্যাদা হয় বা অমৰ্য্যাদা স্বচিত হয়, এরূপ সম্বোধন ও ব্যবহার অবিলম্বে সম্পূর্ণ রহিত হওয়া উচিত ও আবশুক । সকল মানুষেরই মর্যাদা যাহাতে রক্ষিত হয়, বঙ্গীয় সমাজে সৰ্ব্বত্র এইরূপ কথাবাৰ্ত্তা ও ব্যবহারই শিষ্ট বলিয়া চলিত ও স্বীকৃত হইলে, অন্য অনেক স্থবিধা ত হইবেই, প্রকৃত গণতান্ত্রিকতা ও স্বাজাতিকতা ত বাড়িবেই, অধিকন্তু এই লাভও হইবে, যে, বঙ্গের শিক্ষিত যুবকেরা অল্প বেতনের নানা রকম চাকরিও গ্রহণ করিতে এবং অল্প মজুরীর দৈহিক শ্রমের কাজও করিতে এখনকার চেয়ে কম কুষ্ঠিত ও সঙ্কুচিত হইবেন। ব্যবসা ও বাণিজ্য এবং তুমি ও আপনি এইরুপ নয় চলিত আছে, যে, এক ভদ্রলোক তাহ অপেক্ষা বহুগুণে ধনী এক স্যাকরাকে প্রশ্ন করিয়াছিলেন, “ওহে দ্বারিক, শুনছি তোমার একটি ছেলে নাকি বি-এ পাস করেছে ও তুমি তার জন্তে একটা কেরানীগিরিBfর গড় ? তুমি ত ওরকম মাইনের অনেক লোককে কৰ্ম্মচারী রাখতে পার, তোমার এ খেয়াল কেন ?” স্যাকরা করজোড়ে নিবেদন করিলেন, “আজ্ঞে মশাই, আমাকে ত কেউ আপনি বলে না, ছেলেটাকে যদি বলে সেই চেষ্টা কচ্ছি।” বস্তুতঃ নানা প্রকারের ছোট বড় ব্যবসা র্যাহারা করেন, তাহাদিগকে কেন যে সম্মান করা হইবে না, ভণহার কোন সঙ্গত কারণ নাই । তাহাদের মর্যাদাবৃদ্ধি বেকার-সমস্ত সমাধানের অন্যতম পরোক্ষ উপায় । - * বিলাতে টাকাওয়াল গুড়ীরা পৰ্য্যন্ত লর্ড হইয়া অভিজাতশ্রেণীভূক্ত হয় । আমাদের দেশে সাশন マ] চাই না। এ রকম উন্নয়নের আমরা পক্ষপাতী নহি ।