পাতা:প্রবাসী ভাদ্র ১৩৪৪ সংখ্যা ৫.pdf/১৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

WシNごg তাড়াতাড়ি চোখ মুছিয়া ঈষৎ লজ্জিতভাবে বলিল—“আন্দ্রে ७झे यांझे !' ইটুবাবু বলিলেন, ‘তোমার ক্ষতি ঘা হয়েছে সে আমি পূরণ করে দেব, কিন্তু অপমানের ক্ষতি পূরণ ত করতে পারব না। সেজন্যে তোমাকে মামলা করতে হবে, রাজার দোরে দাড়াতে হবে।’ মহাভারত এবার আবার কাদিয়া ফেলিল, হুটুবাবুর কণ্ঠস্বরের স্নেহস্পর্শে তাহার শোক যেন উথলিয়া উঠিল, বলিল, ‘আঞ্জে বাবু ছোট কচি মাছ, এই বছরের হালিপোন—এক পো, তিন ছটাকের বেশী নয়! ইটুবাবু এবার বিরক্ত হইলেন না, ক্রোধ প্রকাশ করিলেন না, হাসিলেন না, বলিলেন—ঘাও, তামাক-টামাক থেয়ে ভাত খেয়ে নাও গিয়ে ? মহাভারত চোখ মুছিতে মুছিতে চলিয়া গেল। ভিতরে গিয়া হুটুবাবু স্ত্রীকে বলিলেন, “আজ থেকে আর আমার বাড়ীতে লক্ষ্মীপুজো হবে না ? সবিস্ময়ে স্ত্রী বলিয়া উঠিল—“সে কি ? ও কি সব্বনেশে কথা ? ইটুবাবু বলিলেন, ‘না—হবে না।’ স্ত্রী প্রতিবাদ করিতে সাহস করিল না। 来 菁 HR মোকদ্দমা দায়ের হইয়া গেল । হুটুবাবুর পরিচালনাগুণে, তাহার তীক্ষুধার প্রশ্নে প্রশ্নে সমগ্র ঘটনাটার উপরের সাজান আবরণ খান খান হইয়া খসিয়া পড়িয়া সত্যের নগ্নমূৰ্ত্তি প্রকাশিত হইয়া পড়িল । তাহার উপর তাহার স্বল্প এবং দৃঢ় যুক্তিতর্কের প্রভাবে কঙ্কণার বাবুদের গোমস্ত ও চাপরাসীকে বিচারক দোষী স্থির না করিয়া থাকিতে পারিলেন না । তিনি তাহাদের প্রতি কঠিন দণ্ড বিধান করিলেন । দেশময় একটা সাড় পড়িয়া গেল । কিন্তু এইখানেই শেষ হইল না, কঙ্কণার বাবুর জজ-আদালতে আপীল করিলেন। সেদিন সন্ধ্যার সময় বৃদ্ধ মুন্সেফ বাৰু আসিয়া বলিলেন, স্কটুবাবু যথেষ্ট হয়েছে, এইবার ব্যাপারট মিটিয়ে ফেলুন।’ সবিস্ময়ে তাহার মুখের দিকে চাহিয়া নুটুবাবু বলিলেন, বলছেন কি আপনি ? —ভালই বলছি। বিরোধের ত এইখানেই শেষ ধরুন জজ-আদালতেও যদি এই সাজাই বাহাল থাকে, জ্ঞ ওঁরা হাইকোট যাবেন । তার পর ধরুন নতুন বিরোধ পারে । ওদের ত পয়সার অভাব নেই। লোকে কঙ্কণায় লক্ষ্মী বাধা আছেন।” হুটুবাবু বলিলেন, ‘বিরোধ ত আমার ওই লক্ষ্মীর ম: ওই দেবতাটির অভ্যাস হ’ল লোকের মাথার ওপর পা চলা । তার পা দুটি আমি মাটির ধুলোয় নামিয়ে দেব। মুন্সেফবাবু বলিলেন, ‘ছি-ছি, কি যে বলেন কুটুবাবু! হুটুবাবু উত্তর দিলেন, “ঠিকই বলি আমি মুন্সে কিন্তু আপনার ভাল লাগছে না।’ * ~ * তার পর হাসিয়া আবার বলিলেন, ‘না লাগবারই কং লক্ষ্মীর পা যে আপনার মাথায় চেপেছে, পায়ের পথ । সঙ্কীর্ণ—রথ চলবার মত রাজপথ তৈরি হয়ে গিয়েছে টাকটি আপনার বেশ প্রশস্ত!’ মুন্সেফবাবু হো হো কংি হাসিয়া উঠিলেন, বলিলেন, ‘কথাটা বলেছেন বড় ভাল উঃ বডড বলেছেন মশাই ।” তার পর কিন্তু আর ও প্রসঙ্গে তিনি কোন ৰং বলিলেন না। হাস্য পরিহাসের মধ্যে সন্ধ্যাট কাটি C하키 | - কিন্তু লক্ষ্মীর পরাজয় এত সহজে হয় না, জজ-আদালন্তে আপলে মামলাটা ডিসমিস্ হইয়া গেল। হুটুবাবু মুখ না। করিয়া আদালত হইতে বাহির হইয়া আসিলেন । সত্তো অপমানে পরাজয়ে ক্ষোভ ও লজ্জার তাহার আর সীম ছিল না। কিন্তু বিস্মিত তিনি হন নাই। জজ-আদালতে উকীলের সওয়াল শুনিয়াই তিনি এ পরিণতি বুৰিৰে পারিয়াছিলেন । সদর হইতে রামপুরে ফিরিয়া বাসায় আসিয়া সম্ভাৰ নিয়মিত সন্ধ্যা-উপাসনায় বসিয়াছেন এমন সময় বাড়ী বাহিরে বোধ করি খান-দশেক ঢাক একসঙ্গে তুমুল শৰে বাজিয়া উঠিল। কয়েক মুহূৰ্ত্ত পরেই তাহার স্ত্রী নিৰ্ম্ম | বিহালের মত আসিয়া বলিল, ‘ওগো, কঙ্কণার বাৰু দোরের সামনে ঢাক বাজাতে হুকুম দিয়েছে। ধেই মেই ক’রে নাচছে গো সব ! কুটুবাবু কিছুমাত্র চাঞ্চল্য প্রক্ষা .