পাতা:প্রবাসী ভাদ্র ১৩৪৪ সংখ্যা ৫.pdf/১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ჯ)v·,ჯა পড়িলন। হুটুবাবুর তদ্বিরে তদারকে স্বয়ং এল-ডি-ও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করিয়া গেলেন এবং শেষ পৰ্য্যন্ত কঙ্কণার বাবুদের নায়েব গোমস্তাকে পর্য্যস্ত আসামী-শ্রেণীভূক্ত করিয়া মামলাটা দায়রা আদালতে বিচারার্থ পাঠাইয় দিলেন। হুটুবাবু নিজেও সদরে গিয়া বসিলেন, শুধু বসিলেন নদ-সরকারী উকীলের সহযোগে নিজেই মামলা চালাইতে আরম্ভ করিলেন। কয়েক দিনের মধ্যেই নানা জনে বহু বিনীত অনুরোধ এবং বহু প্রকারে লোভনীয় প্রস্তাব লইয়া হুটুবাবুকে আসিয়া ধরিয়া বলিল, ‘মিটিয়ে ফেলুন— তাতে আপনারই মর্য্যাদা বাড়বে। ইটুবাবু বলিলেন, ‘বড়লোকের সঙ্গে গরিবের ঝগড় কি আপোষে মেটে? কোন কালে মেটে নি–মিটবেও না।’ শেষ পর্যন্ত বলিলেন, ‘বাবুরা যদি ঢাক কাধে ক’রে আদালতের সামনে বাজাতে পারে, কি মহাভারতের ঘরের চালে উঠে নিজের চাল ছাওয়াতে পারে, তবে না-হয় দেখি ? - প্রস্তাবকারীরা মুখ কাল করিয়া উঠিয়া গেল, বিচার চলিতে লাগিল। সাক্ষী-সাবুদ শেষ হইয় গেলে সরকারী উকীলের সন্মতিক্রমে হুটুবাৰু প্রথমে সওয়াল আরম্ভ করিলেন। সে যেন অকস্মাৎ আগ্নেয়গিরির মুখ খুলিয়া গেল। গভীর আস্তরিকতাপূর্ণ প্রদীপ্ত ভাষায় সমগ্র ঘটনা যেন চোখের সম্মুখে প্রত্যক্ষ হইয়া উঠিল-প্রবলের অত্যাচারে দুৰ্ব্বলের হাহাকার যেন রূপ পরিগ্রহ করিল। বিবাদের মূলস্বত্র হইতে আরম্ভ করিয়া এই অদিহি পৰ্যন্ত প্রতিটি ঘটনা সাক্ষীদের উক্তির সহিত মিলাইয়া দেখাইয়া অবশেষে বলিলেন, “আজি সমস্ত পৃথিবীময় ধনের মত্ততায় মত্ত ধনীর অভ্যাচারে পৃথিবী জর্জরিত হয়ে উঠেছে। এই বিচারাধীন ঘটনাটি তার একটি প্রকৃষ্ট দৃষ্টান্ত। কিন্তু একান্ত দুঃখের বিষয় যে ধনীর অপরাধে ধনীর অনুগ্রহপুষ্ট দুৰ্ব্বলের উপর দণ্ড বিধান করা ছাড়া আজ ধৰ্ম্মাধিকরণের গত্যন্তর নেই। কিন্তু সে বিচার এক জন করবেন, নিনি नश्चि-*** *ि*ीजमीन, गनिम्नख-डिनि ७त्र विशत्र ********न I cग दिsारव्रब्र ब्रारब्रव्र नभाछ একটু অংশ শনিবা জানি, ঈশ্বরের পুত্র মহামানৰ বাস্তফ্রষ্ট জানিয়ে দিয়ে প্রবাসী cologii, fifi agazā-It is easier for a carto go through the eye of a needle than for rich man to enter into the Kingdom of God” [ ধনীর স্বৰ্গরাজ্যে প্রবেশের অপেক্ষা স্বচীমুখে উক্ট প্রবেশ ও সহজ ] তাহার সওয়ালের পর সরকারী উকীল আর কিছু প্রয়োজন মনে করিলেন না। বিচারে অপরাধীগণের কা দণ্ড হইয়া গেল । বিচারশেষে হুটুবাবু বাহিরে আসিতে তাহার মুহুরী বলিল, ‘তিনটে মামলার কাগজ নিয়ে ম ব’সে অাছে।’ কুটুবাবুর মাথায় তখনও ঐ মোকদ্দমার কৰ ঘুরিতেছিল, তিনি ললাট কুঞ্চিত করিয়া মুহুরীম নির চাহিলেন । ৯ সে বলিল, ‘একট। দায়রা, আর দুটো এস-ডি-s কোর্টের মামলা। ফি বলেছি চার টাকা ক’রে— পিছন হইতে এক জন পুরাতন মোক্তার-বন্ধু আমি অভিনন্দন জানাইয় বলিল, ‘চমৎকার আগু মেণ্ট হয়েছে। এবার কিন্তু ছেড়া জুতো জামা পাণ্টাও ভাই। আমাৰ হাতে একটা কেস আছে—তোমাকেই ওকালত-নাম দেৰ মকেল কিন্তু গরিব ? কুটুবাবু সঙ্গে সঙ্গে বলিলেন, ‘পানি দিয়ে ৷ পয়সার জন্যে কিছু এসে যাবে না ! 崔 来 靶 বিচিত্র পৃথিবী, কিন্তু সে বৈচিত্র্য অপেক্ষাও পৃথিবী বুকের ঘটনাপ্রবাহের ধারা বিচিত্ৰতর এবং বিস্ময়কর। সেই বিচিত্র ধারার গতিতেই কঙ্কণার বাবুদের সহিত ইটুবাবুর বিরোধ অকস্মাৎ একট। অসম্ভব পরিণতিতে | আসিয়া শেষ হইয়া গেল। পনর বৎসর পর। সেদিন হঠাৎ কঙ্কণার বাবুদেৱ জুড়িটা আসিয়া কুটুবাবুর বাড়ীতে প্রবেশ করিষা। গাড়ীবারান্দায় দাড়াইল । গাড়ীর ভিতর হইতে নামিলেন কঙ্কণার বৃদ্ধ বড়কৰ্ত্ত, তাহার পুত্র এবং সেজতরফেৱ । কৰ্ত্তা। হুটুবাবুর দারোয়ান কায়দ-মাফিক সেলাম করিয়া দরজা খুলিয়া দিল । সঙ্গে সঙ্গে জুই জন খানসামা আসিয়া সসন্ত্রমে অভিবাদন করিয়া ঝাড়ন দিয়া আসনগুলি ঝাড়িয়া দিয়া সরিয়া দাড়াইল । ৰুদ্ধ